আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
232 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (42 points)
reshown by
ধরুন,কারো কলেজের পাশে একটা 100 বছরের পুরনো বটগাছ ছিল। সে ক্লাস শেষে ওই বট গাছের সামনে দাঁড়িয়ে দোয়া করতো গাছের কাছে। মানে শিরক করত।

এরপর সে তওবা করে আল্লাহর কাছে ওয়াদা করে আর কোনদিন ওই গাছের কাছে দোয়া করবে না

কিন্তু কিছুদিন পর আবারও সে ওই গাছের সামনে গাছের কাছে দোয়া করে ফেলেন

এরপর আবার আল্লাহর কাছে তওবা করে আর ওয়াদা করে যে আর যদি কোনদিন ওই গাছের সামনে গিয়ে গাছের কাছে দোয়া করবে না

এবং আল্লাহর কাছে এটাও ওয়াদা করে যে আর যদি কোনদিন ওই গাছের কাছে দোয়া করে ফেলে তবে সারা জীবনের জন্য কলেজ যাওয়া বন্ধ করে দিবে

এরপর একদিন সে সিলেটে বেড়াতে গেল এবং একটা মাজারে সিজদা করল

এখন তার একটা কথা মনে হল যে যেহেতু এখানে শিরক করল,তাই এখন শুধু তওবা করলেই চলবে কিন্তু যদি ঐ গাছের সামনে গিয়ে গাছের কাছে দুয়া করার মাধ্যমে শির্ক করত তাহলে তাকে তওবা করার সাথে সাথে কলেজ যাওয়াও বাদ দেওয়া লাগতো। এই ভেবে তার কাছে মনে হইল যে আল্লাহ বাচাইছে।


ওই গাছের সামনে গিয়ে গাছের কাছে দুয়া করার মাধ্যমে শিরক করার চেয়ে এখানে শিরক করা ভালো, কেননা এতে শুধু তওবা করলেই চলবে, কলেজ যাওয়া বাদ দেওয়া লাগবে না।

এবং সে সিলেটের মাজারে সিজদা করার জন্য আল্লাহর কাছে মাফ চাইল।


এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে, এই ছেলে কোনোভাবেই শিরক করা পছন্দ করেনা।

এবং শিরক করতে চায়ও না।

কিন্তু যখনই কোন শির্ক করে ফেলে তখন সে মনে করে যে গাছের কাছে দুয়া করার চেয়ে এই ভাবে শিরক তুলনামুলক ভাবে ভালো কেননা এতে তওবা করলেই চলে কলেজ যাওয়া বাদ দেওয়া লাগেনা

এই যে সে অন্যান্য শিরক কে গাছের সামনে গিয়ে শিরক করা থেকে তুলনামূলক ভাবে ভালো হিসেবে নিচ্ছে এতে কি শিরক হবে??

(সে কোন শিরকই করতে চায় না,আর হয়ে গেলে সাথে সাথে তাওবা করে)


মানে মাজারে সিজদা দেওয়া শিরক সেটা জানি।সে এটার জন্য তাওবা করেছে।
আবার গাছের কাছে দুয়া করাও শিরক।সে এটার জন্যও তাওবা করেছে।


কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে, ওই লোক কলেজ এর পাশের গাছের কাছে দুয়া করার মাধ্যমে শিরক করার চেয়ে অন্য শিরক কে একটু কম অপছন্দ করে, কেননা ওইসব শিরকে শুধু তওবা করলেই চলে,কিন্তু গাছের সামনে গিয়ে শিরক করলে তাকে কলেজ যাওয়া বাদ দেওয়া লাগবে, যেহেতু সে আল্লাহর কাছে ওয়াদা করেছে যে যদি কলেজ এর পাশের ওই গাছের সামনে গিয়ে শিরক করে, তবে কলেজ যাওয়া বাদ দিবে।

তার এই মনভাব কি শিরক হবে??
যদি এই মনভাব শিরক হয়েই থাকে তবে করনিও কি??

কলেজ যাওয়া বাদ দেওয়া লাগবে?
by
উক্ত চিন্তা কি শিরক??? 

1 Answer

0 votes
by (589,200 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
হাসান ইবনে আলী রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে।
ﻭﻋﻦ ﺍﻟﺤَﺴَﻦِ ﺑﻦ ﻋَﻠﻲٍّ ﺭﺿﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﺣَﻔِﻈْﺖُ ﻣِﻦْ ﺭَﺳُﻮﻝ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﷺ : « ﺩَﻉْ ﻣَﺎ ﻳَﺮِﻳﺒُﻚَ ﺇِﻟﻰ ﻣَﺎ ﻻ ﻳﺮِﻳﺒُﻚ » ﺭﻭﺍﻩُ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ﻭﻗﺎﻝ : ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ ﺻﺤﻴﺢٌ 
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি।তিনি বলেন,সন্দেহ যুক্ত জিনিষকে পরিহার করে সন্দেহমুক্ত জিনিষকে গ্রহণ করো।(সুনানু তিরমিযি-২৪৪২)

নু'মান ইবনে বশির বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি-
عن عامر، قال: سمعت النعمان بن بشير، يقول: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: "الحلال بين، والحرام بين، وبينهما مشبهات لا يعلمها كثير من الناس، فمن اتقى المشبهات استبرأ لدينه وعرضه، ومن وقع في الشبهات: كراع يرعى حول الحمى، يوشك أن يواقعه، ألا وإن لكل ملك حمى، ألا إن حمى الله في أرضه محارمه، ألا وإن في الجسد مضغة: إذا صلحت صلح الجسد كله، وإذا فسدت فسد الجسد كله، ألا وهي القلب "
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,(কোনো জিনিষ)হালাল (হওয়া)পরিস্কার।(এবং কোনো জিনিষ) হারাম(হওয়া) ও পরিস্কার। হ্যা এ দুয়ের মধ্যে কিছু বিধান রয়েছে সাদৃশ্যপূর্ণ। যার সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষই জানেনা।যে ব্যক্তি সন্দেহপূর্ণ জিনিষ থেকে বেঁছে থাকল, সে যেন তার দ্বীন এবং ইজ্জতকে হেফাজত করে নিল। আর যে ব্যক্তি সন্দেহপূর্ণ জিনিষে পতিত হল, সে যেন হারামে পতিত হল। যেমন রাখাল ক্ষেতের দেয়াল ঘেষে পশু চড়ালো।এখানে সম্ভাবনা রয়েছে যে, পশু ক্ষেতে নেমে যাবে। 
জেনে রাখ! প্রত্যেক বাদশারই একটি সীমান্তরেখা রয়েছে।এবং আল্লাহ যমীনে তার সীমারেখা হল,তার হারাম বিধি-বিধান।জেনে রাখ! শরীরে একটি মাংসপিণ্ড রয়েছে। যখন সেই মাংসপিণ্ড ভাল থাকে তখন সারা শরীর-ই ভাল থাকে।আর যখন সেই মাংসপিণ্ড নষ্ট হয়ে যায়,তখন সমস্ত শরীরই নষ্ট হয়ে যায়। সেই বস্তু হল,ক্বলব বা অন্তর।(সহীহ বুখারী-৫২)


সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
সকল প্রকার শিরক ইত্যাদি থেকে নিজেকে বাচিয়ে রাখতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
reshown
উক্ত চিন্তা কি শিরক হবে?? 

by (589,200 points)
না, শিরক না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...