জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
اِنَّمَا حَرَّمَ عَلَیۡکُمُ الۡمَیۡتَۃَ وَ الدَّمَ وَ لَحۡمَ الۡخِنۡزِیۡرِ وَ مَاۤ اُہِلَّ بِہٖ لِغَیۡرِ اللّٰہِ ۚ فَمَنِ اضۡطُرَّ غَیۡرَ بَاغٍ وَّ لَا عَادٍ فَلَاۤ اِثۡمَ عَلَیۡہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۱۷۳﴾
তিনি আল্লাহ তো কেবল তোমাদের উপর হারাম করেছেন মৃত জন্তু, রক্ত, শূকরের গোশত এবং যার উপর আল্লাহর নাম ছাড়া অন্যের নাম উচ্চারিত হয়েছে, কিন্তু যে নিরূপায় অথচ নাফরমান এবং সীমালংঘনকারী নয় তার কোন পাপ হবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
(সুরা বাকারা ২৭৩)
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِنَّمَا الۡخَمۡرُ وَ الۡمَیۡسِرُ وَ الۡاَنۡصَابُ وَ الۡاَزۡلَامُ رِجۡسٌ مِّنۡ عَمَلِ الشَّیۡطٰنِ فَاجۡتَنِبُوۡہُ لَعَلَّکُمۡ تُفۡلِحُوۡنَ ﴿۹۰﴾
হে মুমিনগণ! মদ, জুয়া, মূর্তিপূজার বেদী ও ভাগ্য নির্ণয় করার শর তো কেবল ঘৃণার বস্তু, শয়তানের কাজ। কাজেই তোমরা সেগুলো বর্জন কর-যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।
(সুরা মায়েদা ৯০)
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত হারাম খাবার দ্বারা কি উদ্দেশ্য?
যদি এ থেকে যে দ্রব্য আল্লাহ তায়ালা মুসলমানদের উপর হারাম করেছেন,(যেমন মদ,শুকরের গোশত ইত্যাদি) সেটি উদ্দেশ্য হলে পূর্বের হারাম খাওয়ার কারনে তওবা করতে হবে,আগামীতে না খাওয়ার প্রতিজ্ঞা করতে হবে।
এ দ্রব্য কাফেরকেও দেওয়া যাবেনা।
,
আর যদি এখানে হারাম খাবার থেকে হারাম টাকায় ক্রয়কৃত খাবার উদ্দেশ্য হয়,যেমন সূদের টাকার খাবার,চুরি করা খাবার,হারাম ইনকামের খাবার ইত্যাদি।
তাহলে তাহা গরিবকে ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করতে হবে।
গরিব কাফেরকেও দেওয়া যাবে।
যেই পরিমান এ ধরনের টাকায় ক্রয়কৃত খাবার খেয়েছেন,সেটির মূল্য মুল মালিকের কাছে ফেরত দতে হবে, নতুবা সমপরিমাণ মূল্য গরিবকে ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করতে হবে।