তবে আল্লাহ তায়ালা যেহেতু সাধ্যাতীত কাজ বান্দার উপর চাপিয়ে দেননা,তাই এ ধরনের কথা বলা উচিত নয়।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
لَا یُکَلِّفُ اللّٰہُ نَفۡسًا اِلَّا وُسۡعَہَا ؕ لَہَا مَا کَسَبَتۡ وَ عَلَیۡہَا مَا اکۡتَسَبَتۡ ؕ
আল্লাহ কারো উপর এমন কোন দায়িত্ব চাপিয়ে দেন না যা তার সাধ্যাতীত।
(সুরা বাকারা ২৮৬)
যদি বিবাহিত হন তাহলে নিয়মিত স্ত্রীসহবাস করুন। কেননা রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
إِذَا أَحَدُكُمْ أَعْجَبَتْهُ الْمَرْأَةُ ، فَوَقَعَتْ فِي قَلْبِهِ ، فَلْيَعْمِدْ إِلَى امْرَأَتِهِ فَلْيُوَاقِعْهَا ، فَإِنَّ ذَلِكَ يَرُدُّ مَا فِي نَفْسِهِ
যখন তোমাদের কাউকে কোন স্ত্রীলোক মুগ্ধ করে এবং তা তার মনকে প্রলূব্ধ করে তখন সে যেন তার স্ত্রীর নিকট আসে এবং তার সাথে মিলন করে। এতে তার মনে যা আছে তা দূর করবে। (মুসলিম ১৪০৩)
বিবাহিত না হলে বিবাহ করার চেষ্টা করুন।
নতুবা রোযা রাখুন।
তালিমের পরিবেশ, আমলের পরিবেশ, তেলাওয়াতের পরিবেশ, জিকির-মুরাকাবা, দোয়ার পরিবেশে বেশি বেশি সময় দিবেন।
আর যখনই নির্জনে থাকবেন, অবসর থাকবেন তখনই নিজেকে কোনো কাজে ব্যস্ত করে নিবেন।
কুচিন্তা চলে আসে এমন কাজ ও পরিবেশ–বিশেষত ইন্টারনেটের এডাল্ট কন্টেন্ট থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখুন।
মাঝে মাঝে কবর জেয়ারত করবেন। এর দ্বারা দিল নরম হবে। গুনাহর প্রতি আকর্ষণ কমে যাবে। আমলের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যাবে।
হাদিস শরিফে এসেছে,
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
فَإِنَّهَا تُرِقُّ الْقَلْبَ ، وَتُدْمِعُ الْعَيْنَ
، وَتُذَكِّرُ الآخِرَةَ
কবর জিয়ারত অন্তরকে নরম করে, চোখের পানি বের করে এবং আখেরাতের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। (মুসতাদরাক হাকিম ১৫৩২)
اعوذ بالله من الشيطان الرجيم
এমন চিন্তা আসলেই এটি পড়তে হবে।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন-
وَإِمَّا يَنْزَغَنَّكَ مِنَ الشَّيْطَانِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللهِ إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
‘‘যদি শয়তানের পক্ষ থেকে তুমি কিছু কুমন্ত্রণা অনুভব কর, তবে আল্লাহর শরণাপন্ন হও। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।’’