আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
538 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
1. আমি যদি কোন যুক্তিসঙ্গত কারণে  বিয়ে না করতে চাই তাহলে  আমার কি পাপ হবে?? আমি কোন হারাম কাজে লিপ্ত না। আর হবও না ইনশাআল্লাহ।
2. আমি আমার  খালু,  ফুপা, মামা, দুলাভাই, দাদা, বাবা, ভাই, নানা, এদেরকে দেখেছি এরা যেমন (  বৌদের সাথে দাসীর মত আচরণ করে)  এদের দেখে আমার বিয়ে করার ইন্সপাইরেশন হারিয়ে ফেলছি।  অথচ আমার এরা পরিবারের লোক ।উল্টা এদের দেখে ইন্সপাইরেশন হয়েছি যে  আমি কখনো বিয়ে করবো না।

3.  এখন আমি আমার বাপের বাড়িতে কত সুখে আছি। যদি বিয়ে করি  তাহলে তাঁর কথামতো আমার চলতে হবে  আলহামদুলিল্লাহ আমার এতে কোন আপত্তি নেই।  আমি কাউকে বিয়ে করলে  দেনমোহরও নিব না। কারন সে আমার জীবনে আসবে  এটাই অনেক বড় নিয়ামত। আমার উপর স্ত্রীর অধিকার পালন করতে হবে না। ক্ষমা করে দেবো।  কারণ আমি তাকে ভালোবাসি।  আর আমি চাইবো  সে আমাকেই ভালোবাসুক । আমার কাছে অধিকার  এসব কোন মূল্য নেই । কাউকে ভালবাসলে তার জন্য সবকিছু ছেড়ে দিতে পারি ।

4. আমার প্রবলেম হল, সে যদি আর একটা বিয়ে করে  আমি কখনোই মেনে নিতে পারব না।  এখন আসুক সমতা বিধান।  আমি তো  আগেই অধিকার ক্ষমা করে দিয়েছি । তাহলে সমতা বিধান আর কি করবে।  আমি কাউকে টাকার জন্য বিয়ে করছি না।  যে সে  এক বউকে যত  টাকা দিবে আমাকে অত টাকা দেবে । আমার এসবের দরকার নেই।  I NEED ONLY LOVE  ।
5.  আমি তাকে বাধা দিব না। বাধা তো তো দূরের কথা এই বিষয়ে তার সাথে কথাই বলব না । আমি তাকে ডিভোর্স দিয়ে দিব। কারণ আমার শুধু তাকে প্রয়োজন ছিল।  আমি তার পাশে কাউকে সহ্য করতে পারবো না। এখন আমি যদি তাকে ডিভোর্স দেয় তাহলে কি   আমার  পাপ হবে ?? আমার একসাথে থাকাটা অনেক কষ্টকর। আমি কেন কষ্ট পাবো  শুধু শুধু।

6. এখানে আমার চিন্তাধারা আমার প্রেক্ষিতে উত্তর দিবেন???  সবার চিন্তা করে উত্তর দিতে বলিনি । একদম স্পষ্ট উত্তর দিবেন??

1 Answer

0 votes
by (559,530 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছে,

عن علقمة، قال: كنت مع عبد الله، فلقيه عثمان بمنى، فقال: يا أبا عبد الرحمن إن لي إليك حاجة فخلوا، فقال عثمان: هل لك يا أبا عبد الرحمن في أن نزوجك بكرا، تذكرك ما كنت تعهد؟ فلما رأى عبد الله أن ليس له حاجة إلى هذا أشار إلي، فقال: يا علقمة، فانتهيت إليه وهو يقول: أما لئن قلت ذلك، لقد قال لنا النبي صلى الله عليه وسلم: «يا معشر الشبابمن استطاع منكم الباءة فليتزوج، ومن لم يستطع فعليه بالصوم فإنه له وجاء»

‘আলক্বামাহ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন আমি ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম, ‘উসমান (রাঃ) তাঁর সঙ্গে মিনাতে দেখা করে বলেন, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! আপনার সাথে আমার কিছু দরকার আছে। অতঃপর তারা দু’জনে এক পাশে গেলেন। তারপর ‘উসমান (রাঃ) বললেন, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! আমি কি আপনার সঙ্গে এমন একটি কুমারী মেয়ের বিয়ে দিব, যে আপনাকে আপনার অতীত কালকে স্মরণ করিয়ে দিবে? ‘আবদুল্লাহ্ যখন দেখলেন, তার এ বিয়ের দরকার নেই তখন তিনি আমাকে ‘হে ‘আলক্বামাহ’ বলে ইঙ্গিত করলেন। আমি তাঁর কাছে গিয়ে বলতে শুনলাম, আপনি আমাকে এ কথা বলছেন (এ ব্যাপারে) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বলেছেন, হে যুবকের দল! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিয়ে করে এবং যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে না, সে যেন ‘সওম’ পালন করে। কেননা, সওম যৌন ক্ষমতাকে দমন করে।(সহীহ বোখারী-৫০৬৫)

অবস্থাভেদে বিয়ে করা ফরয,ওয়াজিব,সুন্নত ও হারাম হয়।

«النِّكَاحُ حَالَةَ الِاعْتِدَالِ سُنَّةٌ مُؤَكَّدَةٌ مَرْغُوبَةٌ، وَحَالَةَ التَّوَقَانِ وَاجِبٌ، وَحَالَةَ الْخَوْفِ مِنَ الْجَوْرِ مَكْرُوهٌ.» - «الاختيار لتعليل المختار»
 (3/ 82)

স্বাভাবিক অবস্থায় বিয়ে করা সুন্নতে মু’আক্কাদা। আর যিনা ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনায় বিয়ে করা ওয়াজিব। আর স্ত্রীর জুলুম করার আশংকা থাকলে তখন বিয়ে করা মাকরুহ।(আল-এখতিয়ার লি তা’লিলিল মুখতার-৩/৮২)

অথবা এভাবেও বলা যায়,
বিবাহের সামর্থ রয়েছে, আর্থিক শারিরিক উভয় রকম সামর্থ্য রয়েছে,এবং যিনা ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে,তাহলে এমতাবস্থায় বিয়ে ওয়াজিব। 

বিবাহের সামর্থ্য রয়েছে,তবে যিনা-ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা নাই এমতাবস্থায় বিয়ে করা সুন্নত। এবং স্ত্রীর হক আদায় না করার আশংকা থাকলে তখন বিয়ে করা মাকরুহ।

বিস্তারিত জানুনঃ

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,  
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি ফিতনার কোনো আশংকা না থাকে তাহলে আপনি বিয়ে না করেও থাকতে পারবেন। 
আপনার এতে গুনাহ হবেনা।
তবে সর্বোপরি বিয়ে করে নেয়াই আপনার জন্য উত্তম। 

আরো জানুনঃ  

(০২)
হ্যাঁ সেই হিসেবে আপনি উপরোক্ত শর্তের ভিত্তিতে বিবাহ নাও করতে পারেন।
তবে বিবাহ করার পর আপনার স্বামী আপনার সাথে উত্তম আদর্শ দেখিয়ে আপনার পরিবারে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতেও পারেন।
এটি তো হতেই পারে।
কেউ এমনটি না করলে বা এমন করতে না পারলে আপনারও হবেনা,বিষয়টি এমন নহে। 
,
(০৩)
হ্যাঁ আপনি চাইলে মোহরানা না নিয়ে তাহা মাফ করতেও পারেন।
,
(০৪)
হ্যাঁ আপনি মানবিক চাহিদা থেকে এমনটি চাইতে পারেন।
  
(০৫)
আপনি যদি তালাক প্রদানের ক্ষমতা পেয়ে থাকেন,সেক্ষেত্রে ২য় বিবাহ করার যে সমস্ত শরীয়তের শর্তাবলী রয়েছে,সেটি না মেনে সেই স্বামি ২য় বিবাহ করলে আপনি নিজেকে নিজে তালাক দিলে আপনার কোনো গুনাহ হবেনা।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,  
সে ২য় বিবাহ করবে,এমনটি ভেবে সময় ক্ষেপন ঠিক হবেনা।
কেননা সাধারণত বর্তমান যুগে আমাদের সমাজের বেশিরিভাগ পুরুষরা ১ম স্ত্রীর বর্তমানে একাধিক বিবাহ করেইনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...