আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
189 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (25 points)
আসসালামু আলাইকুম।
শায়খ, আমার স্বামীর তার ভাই এর সাথে সম্পর্ক সবসময় ভালো। একদিন একটু ঝগড়া হয় তার ভাইয়ের সাথে। যার কারনে আমার স্বামীর খুব মন খারাপ ছিলো।নিজের ব্যাবহার নিয়ে খুব অনুতপ্ত ছিলো। আমি তার সাথে কথা বলতে গেলে আমাকে বলেছিলো যে,"আমি অনেক খারাপ ব্যাবহার করি, তুমার সাথেও যদি এম্ন ব্যাবহার করি আমার খারাপ লাগবে। তুমি আমাকে ছেড়ে দাও। আমাকে ক্ষমা করো সব কিছুর জন্য। তুমি অন্য কোথাও বিয়ে করে নিও। ভালো থাকবা "।

আমি যতটুকু বুঝেছি শায়খ। সে কথা গুলো তার ভাইয়ের সাথে খারাপ ব্যাবহার এর কারনে অনুতপ্ত হয়ে আমাকে এসব বলেছে। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করেছি যে, এসব বলার সময় কি তালাকের নিয়্যত ছিল কিনা। সে বলেছে ছিল না তালাকের নিয়ত।
আমার প্রশ্ন হলো শায়খ।

১#যদি কেও এমন কথা বলে কিন্তু তালাকের নিয়্যতের নিয়তে না,,, ঠিক তখন হুট করেই যদি শয়তানের অসওয়াসায় তালাক দিলাম এমন কথা মনে আসে।।কিন্তু নিয়্যত নেই তালাকের।। শুধু হুট করেই কথা গুলো বলার সময় মাথায় তালাক দিলাম এমন কথা আসে,, এতে কি তালাক হয়ে যাবে?
২#সম্পর্ক হালাল - হারাম নিয়ে সন্দেহ এবং শয়তানের অসওয়াসা টা বেশি কাজ করলে করণিয় কি?
৩#যদি কারো তালাক হয়ে যায়, সে আবার আগের স্বামীর কাছে ফিরে আসতে চায়,, আর৷ এই বিষয়টা জেনে যদি কেও মেয়েটা কে বিয়ে করে যাতে আবার সে আগের স্বামীর কাছে ফিরে যেতে পারে,,, এবং তাকে যদি বিয়ের আগে বলা হয় যে নির্দিষ্ট সময় পর মেয়েটা কে তালাক দিতে এবং দ্বিতীয় স্বামী এতে রাজি হয়েই মেয়েটা কে বিয়ে করলে।।। এরপর কি প্রথম স্বামীর কাছে ফিরে আসাটা শরীয়ত সম্মত হবে?
৩#অনেক সময় দেখা যায় পায়খানা করতে সমস্যা হলে প্রেসার দিলে আঠালো পদার্থ বের হয়ে যায়, এতে কি গোসল ফরয হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
وفي حالة الغضب يصدق في جميع ذلك لاحتمال الرد والسب إلا فيما يصلح للطلاق ولا يصلح للرد والشتم كقوله اعتدي واختاري وأمرك بيدك فإنه لا يصدق فيها كذا في الهداية...............  وفي الينابيع ألحق أبو يوسف - رحمه الله تعالى - بالخمسة ستة أخرى وهي الأربعة المتقدمة وزاد خالعتك والحقي بأهلك هكذا في غاية السروجي.
রাগের অবস্থাঃ-
রাগের অবস্থায় স্বামী তালাকের নিয়তকে অস্বীকার করলে স্বামীর উক্ত বক্তব্য-কে সত্যায়ন করা হবে।কেননা সেই শব্দ সমূহে গালিগালাজ ও স্ত্রীর তালাকের আবেদন-কে  ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।তবে যেই সমস্ত শব্দাবলীতে শুধুমাত্র তালাকের অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।গালিগালাজ বা (স্ত্রীর তালাকের আবেদন) ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান না থাকে,তাহলে সেই সমস্ত শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকার-কে সত্যায়ন করা হবে না।বরং তালাক পতিত হবে।যেমন- তুমি ইদ্দত গণনা করো,তুমি পছন্দ করো,তোমার বিষয় তোমার হাতে, ইত্যাদি।সুতরাং এমন শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকারকে সত্যায়ন করা যাবে না,বরং তালাক পতিত হবে।(হেদায়া) ইমাম আবু ইউসুফ রাহ পূর্ববর্তী পাঁচের সাথে আরো দুইটি শব্দ সংযোগ করেন,তখন সর্বমোট ছয়টি শব্দ হয়।সেই দুইটি হল,আমি তোমার সাথে খোলা করলাম,তুমি তোমার পরিবারবর্গের সাথে মিলিত হয়ে যাও।(গায়াতুস-সুরুজী)(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
প্রশ্নের বিবরণমতে তালাক পতিত হবে না।

(২)
ওয়াসওয়াসা দূর করতে সব সময় আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান।

(৩)
এভাবে বিয়ে করাটা মাকরুহে তাহরিমি। তবে কেউ এভাবে বিয়ে করে নিলে ঐ স্ত্রী তার প্রথম স্বামীর জন্য হালাল হয়ে যাবে।
(৪)
এটা ওদি। ওদি বের হলে গোসল ফরয হয়না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (25 points)
আলহামদুলিল্লাহ। বিষয়টা জেনে উপকৃত হলাম। কিন্তু শায়খ,
আমার স্বামী আমাকে যা বলেছে যেটা প্রশ্নের শুরুতে আমি উল্লেখ করেছি। এতে কি সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গেছে? 
এই বিষয়টা একটু যদি বলতেন। বুঝতে পারিনি ঠিক মত শায়খ

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...