আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
219 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (23 points)
আসসালামু  আলাইকুম
১)কোনো অনলাইন শপের প্রডাক্ট বা সার্ভিসের প্রচার করতে হবে এবং প্রচার করে কাস্টমার এনে দিতে পারলে বা প্রডাক্টটি বিক্রি করে দিতে পারলে তারা কমিশন দিবেন।

এই ধরনের আর্নিং পদ্ধতি কি হালাল বলে বিবেচিত হবে?

নাকি এটি হারাম হবে?

২) অনলাইন প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞপ্তি দেয় যে ওনারা মার্কেটিং এজেন্ড নিচ্ছেন।(এটা বোনেদের দ্বারা পরিচালিত দ্বীন মেইন্টেইন করে পরিচালিত, এর পরিচালিকাও  দ্বীনি সার্কেলের পরিচিত দ্বীনি বোন) পরে আমি যোগাযোগ করলে  ওনারা বলেন  আমাকে আলাদা বুকশপের পেজ খুলে পরিচালনা করতে হবে।পেজের যত কাজ বা প্রচার প্রচারণা আমাকে করতে হবে আমার পেজের নামেই। অর্ডার আসলে তাদের ওয়েবসাইটে আমাকে ওর্ডার প্লেস করতে হবে। আর বইয়ের লিখিত/গায়ের  মূল‍্যের উপর নির্ধারিত পরিমাণে আমাকে কমিশন দেয়া হবে। তাদের শপের ওয়েবসাইটে  ইসলামিক বই ও আইটেমস ই বিক্রি করা হয়। এখন এ প্রক্রিয়ায় আমাকে কোনো অর্থ বিনিয়োগ করতে হচ্ছেনা তবে সময় ও শ্রম দিতে হবে।আমি এ অনুযায়ী  একটি পেজ ও খুলেছি।এখন এখানে একটা জিনিস আমার একটু অন‍্যরকম লাগছে ক্রেতা তো এই ব‍্যাপার টা জানছে না যে আমি মূল বিনিয়োগকারী নই।

এখন উপরোক্ত অবস্থায় এই আর্নিং পদ্ধতি কি আমার জন‍্য হালাল বলে বিবেচিত হবে নাকি হারাম?

উল্লেখ‍্য আমার এই পেজটি ১ মাসের অধিক সময় অতিক্রম করেছে এবং আলহামদুলিল্লাহ্  বেশ কিছু অর্থ উপার্জন করেছি। আমি শুরু করার পূর্বে আমার উস্তাযের থেকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি হালাল হবে বলার পর শুরু করেছিলাম। আজকে অন‍্য একটি প্রশ্ন করতে সাইটে ঢুকেছিলাম। এসংক্রান্ত একটি প্রশ্নোত্তর দেখে খটকা লাগলো একটু তাই জিজ্ঞেস করছি।

৩)কুরআন বিক্রি করে মুনাফা করা জায়েজ?

হলে একটু রেফারেন্স জানতে চাই।

যদি কুরআন বিক্রি করে মুনাফা করা জায়েজ হয়।আমি যদি আত্মগ্লানিতে ভোগার দরুণ কুরআন বিক্রি করে মুনাফা না করি তাহলে কি গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ইমাম মালিক রাহ থেকে বর্ণিত রয়েছে,
ﻭﺳﺌﻞ ﺍﻹﻣﺎﻡ ﻣﺎﻟﻚ ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻦ ﺃﺟﺮ ﺍﻟﺴﻤﺴﺎﺭ ﻓﻘﺎﻝ : ﻻ ﺑﺄﺱ ﺑﺬﻟﻚ
ইমাম মালিক রাহ কে দালালী ব্যবসা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন এতে কোনো সমস্যা নেই।(আল-মুদাওয়ানাতুল কুবরাঃ৩/৪৬৬)

ইমাম বোখারী রাহ বলেনঃ
" ﺑَﺎﺏ ﺃَﺟْﺮِ ﺍﻟﺴَّﻤْﺴَﺮَﺓِ . ﻭَﻟَﻢْ ﻳَﺮَ ﺍﺑْﻦُ ﺳِﻴﺮِﻳﻦَ ﻭَﻋَﻄَﺎﺀٌ ﻭَﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢُ ﻭَﺍﻟْﺤَﺴَﻦُ ﺑِﺄَﺟْﺮِ ﺍﻟﺴِّﻤْﺴَﺎﺭِ ﺑَﺄْﺳًﺎ .ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺍﺑْﻦُ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ : ﻻ ﺑَﺄْﺱَ ﺃَﻥْ ﻳَﻘُﻮﻝَ : ﺑِﻊْ ﻫَﺬَﺍ ﺍﻟﺜَّﻮْﺏَ ﻓَﻤَﺎ ﺯَﺍﺩَ ﻋَﻠَﻰ ﻛَﺬَﺍ ﻭَﻛَﺬَﺍ ﻓَﻬُﻮَ ﻟَﻚَ .
ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺍﺑْﻦُ ﺳِﻴﺮِﻳﻦَ : ﺇِﺫَﺍ ﻗَﺎﻝَ ﺑِﻌْﻪُ ﺑِﻜَﺬَﺍ ﻓَﻤَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﻣِﻦْ ﺭِﺑْﺢٍ ﻓَﻬُﻮَ ﻟَﻚَ ، ﺃَﻭْ ﺑَﻴْﻨِﻲ ﻭَﺑَﻴْﻨَﻚَ ﻓَﻠَﺎ ﺑَﺄْﺱَ ﺑِﻪِ .ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ( ﺍﻟْﻤُﺴْﻠِﻤُﻮﻥَ ﻋِﻨْﺪَ ﺷُﺮُﻭﻃِﻬِﻢ)
তরজমাঃইবনে সিরীন, আত্বা,ইবরাহিম,হাসান, রাহ এর মত যুগশ্রেষ্ট ইমামগণ দালালী ব্যবসায় শরয়ী কোনো সমস্যা মনে করেন না।ইবনে আব্বাস রাহ,বলেনঃকোনো অসুবিধা নেই এরকম কোনো চুক্তিতে যে, কেউ কাউকে বলল,তুমি এই মাল এত টাকায় বিক্রি কর,এর(পুর্ব নির্ধারিত মূল্যর) চেয়ে বেশী যা লাভ হবে তা তোমার।ইবনে সিরীন রাহ বলেনঃযখন কেউ কাউকে বললঃতুমি এই মাল এত টাকায় বিক্রি কর, যা লাভ হবে অথবা এর চেয়ে বেশী যা লাভ হবে, তা তোমার অথবা তা আমার এবং তোমার মধ্যে বন্টিত হবে।এরকম চুক্তিতে কোনো সমস্যা নেই।নবী কারীম সাঃ বলেনঃ-মুসলমানগন তাদের  কৃতচুক্তির আওতাধীন।অর্থাৎ শরীয়ত বিরোধী চুক্তি না হলে তা অবশ্যই পূরণীয় এবং পূরণ করতে হবে,এবং দালালীও একটি চুক্তি বিধায় তা বৈধ ও পূরণীয় ।(সহীহ বোখারী-৩/৯২, হাদীস নং ২২৭৪ এর শিরোনাম) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/44

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
জ্বী, আপনার জন্য এ ব্যবসা জায়েয হবে।
(২) এটা 'বয়ে কালি বিল কালি' আওতায় নিষিদ্ধতায় পৌছে যায়।তবে বৈধ করণেরও সুযোগ রয়েছে। আপনি ক্লায়েন্টদের সাথে সরাসরি বিক্রি না করে বরং বিক্রয়ের ওয়াদা করবেন। তারপর কম্পানির কাছ থেকে আপনি নগদ টাকা দিয়ে ক্রয় করে তারপর উক্ত ক্লায়েন্টের কাছে বিক্রয় করবেন। এদ্বারা এ জাতীয় ক্রয় বিক্রয় জায়েয হতে পারে।
(৩)
জ্বী , ছাপানো কুরআনের জিলদ বা পৃষ্টা বিক্রয় করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (23 points)
২নং পয়েন্টটা বুঝিনি। একটু বুঝিয়ে বললে ভালো হতো। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...