আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
147 views
in পবিত্রতা (Purity) by (36 points)
recategorized by
ফরজ গোসলে শুধু নামাজের মতো ওজু করলে হবে নাকি আগে ফরজ আদায় করতে হবে পরে সুন্নত ওজু করতে হবে।


স্ত্রী কাপড় পড়া অবস্থায় কাপড়ের উপর দিয়ে স্ত্রীর লজ্জাস্থানের ভিতরে যদি নিজের লজ্জাস্থান রাখি এবং ঘষর্ন করি তাতে যদি বীর্যপাত না হয় তাহলে কি গোসল ফরজ হবে।

1 Answer

0 votes
by (59,970 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

হাদীস শরীফে ফরজ গোসলের পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছেঃ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ دَاوُدَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَبَّاسٍ، عَنْ خَالَتِهِ، مَيْمُونَةَ قَالَتْ وَضَعْتُ لِلنَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم غُسْلاً يَغْتَسِلُ بِهِ مِنَ الْجَنَابَةِ فَأَكْفَأَ الإِنَاءَ عَلَى يَدِهِ الْيُمْنَى فَغَسَلَهَا مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلَاثًا ثُمَّ صَبَّ عَلَى فَرْجِهِ فَغَسَلَ فَرْجَهُ بِشِمَالِهِ ثُمَّ ضَرَبَ بِيَدِهِ الأَرْضَ فَغَسَلَهَا ثُمَّ تَمَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ وَغَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ ثُمَّ صَبَّ عَلَى رَأْسِهِ وَجَسَدِهِ ثُمَّ تَنَحَّى نَاحِيَةً فَغَسَلَ رِجْلَيْهِ فَنَاوَلْتُهُ الْمِنْدِيلَ فَلَمْ يَأْخُذْهُ وَجَعَلَ يَنْفُضُ الْمَاءَ عَنْ جَسَدِهِ . فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لإِبْرَاهِيمَ فَقَالَ كَانُوا لَا يَرَوْنَ بِالْمِنْدِيلِ بَأْسًا وَلَكِنْ كَانُوا يَكْرَهُونَ الْعَادَةَ  

মায়মূনাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জানাবাতের গোসলের জন্য পানি রাখলাম। তিনি পানির পাত্র কাত করে ডান হাতে পানি ঢেলে তা দু’বার বা তিনবার ধুলেন। এরপর লজ্জাস্থানে পানি ঢেলে তা বাম হাতে ধুলেন। তারপর মাটিতে হাত ঘষে ধুয়ে নিলেন, কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন, মুখমন্ডল ও দু’হাত ধুলেন। তারপর মাথায় এবং সমগ্র শরীরে পানি ঢাললেন। তারপর ঐ স্থান থেকে একটু সরে গিয়ে উভয় পা ধুলেন। আমি (শরীর মোছার জন্য) তাঁকে রুমাল দিলাম। তিনি তা গ্রহণ করলেন না বরং শরীর থেকে পানি ঝেড়ে ফেলতে লাগলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বিষয়টি ইবরাহীমকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেনঃ সাহাবীগণ গামছা ব্যবহার করা অপছন্দ করতেন না, বরং তাঁরা (গামছা ব্যবহার) অভ্যাসে পরিণত করা অপছন্দ করতেন। {বুখারী (অধ্যায়ঃ গোসল, অনুঃ একবার গোসল করা, হাঃ ২৫৭), মুসলিম (অধ্যায়ঃ হায়িয, অনুঃ জানাবাতের গোসলের নিয়ম) উভয়ে আ‘মাশ সূত্রে। আবু দাউদ ২৪৫)}

 

https://www.ifatwa.info/10148 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,

وَالِاغْتِسَالُ فِي الْحَاصِلِ أَحَدَ عَشَرَ نَوْعًا. خَمْسَةٌ مِنْهَا فَرِيضَةٌ. الِاغْتِسَالُ مِنْ الْتِقَاءِ الْخِتَانَيْنِ، وَمِنْ إنْزَالِ الْمَاءِ، وَمِنْ الِاحْتِلَامِ، وَمِنْ الْحَيْضِ، وَالنِّفَاسِ، وَأَرْبَعَةٌ مِنْهَا سُنَّةٌ. الِاغْتِسَالُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَيَوْمَ عَرَفَةَ، وَعِنْدَ الْإِحْرَامِ، وَفِي الْعِيدَيْنِ. وَوَاحِدٌ وَاجِبٌ، وَهُوَ غُسْلُ الْمَيِّتِ، وَآخَرُ مُسْتَحَبٌّ، وَهُوَ الْكَافِرُ إذَا أَسْلَمَ فَإِنَّهُ يُسْتَحَبُّ لَهُ أَنْ يَغْتَسِلَ بِهِ

গোসল সর্বোমোট পাঁচ প্রকার যথাঃ-(ক) পাঁচ প্রকারের গোসল ফরয যেমন-(১) যৌনমিলন  তথা পুরুষ মহিলার লজ্জাস্থান একত্রিত হওয়ার পর গোসল করা ফরয। (২) বীর্য বাহির হলে (যেকোনো কারণে) গোসল ফরয। (৩) স্বপ্নদোষের কারণে গোসল ফরয। (৪) হায়েযের কারণে গোসল ফরয (৫) নেফাসের পর গোসল ফরয।

(খ) চার প্রকার গোসল সুন্নত। (১) জুমুআর দিনের গোসল (২) আরাফার দিনের গোসল (৩) ইহরামের গোসল (৪) দুই ঈদের গোসল

(গ) ওয়াজিব গোসল। মাইয়্যিতকে গোসল প্রদান করা।

(ঘ) মুস্তাহাব গোসল।কোনো কাফির যখন ইসলাম গ্রহণ করে,তখন গোসল করা মুস্তাহাব। (মাবসুত-সারখাসী-১/৯০)

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. নামাজের মত অজু করলেই হবে। তবে অবশ্যই গড়গড়াসহ কুলি ও নাকের নরম জায়গায় পানি পৌঁছাতে হবে। কারণ ফরজ গোসলের ক্ষেত্রে এই দুইটা ফরজ।

২. প্রবেশ করে নিলেই গোসল ফরয হয়ে যাবে। বীর্যপাতের কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 134 views
0 votes
1 answer 303 views
0 votes
1 answer 131 views
...