স্বামী ও পরিবারের প্রতি কর্তব্য

Question

আসসালামু আলাইকুম।

১. স্ত্রী তাহাজ্জুদ পড়েন রেগুলার আর ফজরের পর ঘুমান না।তাই তিনি এশার পরপর শুয়ে পড়েন। এবং সন্তানদের কে ও এই অভ্যাস করেছেন। আর স্বামী রাত জাগার অভ্যাস। তাই তাঁরা স্বামী স্ত্রী আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন অর্থাৎ আলাদা ঘরে থাকতেন।। স্বামী আবার একঘরে থাকতে চান। এখন স্বামীর সাথে একঘরে থাকার জন্য স্ত্রী তাহাজ্জুদ পড়তে পারেননা আর ফজরের পর ও একটু ঘুমাতে হয়,নয়ত স্ত্রী অসুস্থ হয়ে যাবেন, যেহেতু স্বামী রাত জাগেন তাই তাকে সঙ্গ দিতে হয়। এখন স্ত্রী অনেক মনোকষ্টে আছেন। এক্ষেত্রে তাঁর করণীয় কি?

২. স্ত্রী আউয়াল ওয়াক্তে নামাজ পড়তে চান। ঠিক তখন যদি স্বামী কোন কাজে ডাক দেন স্ত্রী কি করবেন?

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1722 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ 'আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়' রয়েছে,
" ﻃﺎﻋﺔ ﺍﻟﻤﺨﻠﻮﻗﻴﻦ - ﻣﻤّﻦ ﺗﺠﺐ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ – ﻛﺎﻟﻮﺍﻟﺪﻳﻦ ، ﻭﺍﻟﺰّﻭﺝ ، ﻭﻭﻻﺓ ﺍﻷﻣﺮ : ﻓﺈﻥّ ﻭﺟﻮﺏ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ ﻣﻘﻴّﺪ ﺑﺄﻥ ﻻ ﻳﻜﻮﻥ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ، ﺇﺫ ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻟﻤﺨﻠﻮﻕ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺍﻟﺨﺎﻟﻖ " ﺍﻧﺘﻬﻰ
যাদের আদেশ-নিষেধ এর অনুসরণ শরীয়ত কর্তৃক ওয়াজিব।যেমন-মাতাপিতা,স্বামী,সরকারী বিধিনিষেধ,এর অনুসরণ ওয়াজিব।
এ হুকুম ব্যাপক হারে প্রযোজ্য হবে না বরং ঐ সময়-ই প্রযোজ্য হবে যখন তা গুনাহের কাজ হবে না।কেননা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(২৮/৩২৭)

স্ত্রী যেই রুটিনে ঘুমাচ্ছেন, এটাই সুন্নাহ সম্মত। সুতরাং স্বামীর জন্য কখনো স্ত্রীকে বিরক্ত করা জায়েয হবে না।কেননা স্ত্রী সুন্নতে নববীকে আকড়ে ধরার চেষ্টা করছেন। সুতরাং স্বামী তার স্ত্রীর অনুসরণ করে জীবনাতিপাত বিশেষ করে রাত্রিযাপন করবে।

Comments

সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।