উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
পোশাকের ব্যাপারে ইসলামের কিছু নীতিমালা রয়েছে,যেই নীতিমালা মেনে যদি কেহ পোশাক পরিধান করে,তাহলে সেটাই সুন্নাহ পদ্ধতি।
(যেমন বিজাতীয় দের সাথে সাদৃশ্যতা না রাখা,অহংকারী পোশাক না হওয়া,পরিপাটি হওয়া,অগোছালো না হওয়া, পুরুষদের ন্যায় না হওয়া,পুরোপুরি ভাবে শরীরের ছতর (নারীদের জন্য হাত,চেহারা সহ পূরো শরীর) আবৃত করা।
টাইট ফিটিং না হওয়া।এমন পোশাক পরিধান করা,যাতে শরীরের কোনো অঙ্গ বুঝা না যায়। ইত্যাদি ইত্যাদি)
সুতরাং মহিলাদের চুল বাধার ক্ষেত্রেও শরীয়ত বিরোধী পন্থা বাদ দিয়ে চুল বাধলে সেটাই সুন্নাহ পদ্ধতি বলা হবে।
,
★মেয়েদের জন্য মাথায় চুলের খোপা বাধা জায়েয। কিন্তু মাথার উপর উটের কুজের মত উঁচু করে বাধা বৈধ নয়। কিন্তু পেছনে ঘাড়ের কাছে ফেলে রাখতে কোন সমস্যা নেই-যাতে উঁচু দেখাবে না।,
আবু হুরায়রা রা. ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
صنفان من أهل النار لم أرهما تيجان بأيديهن سياط يضربون بها الناس يعني ظلماً ونساء كاسيات عاريات مائلات مميلات رؤوسهن كأسمنة البخت المائلة لا يدخلن الجنة ولا يجدن ريحها، وإن ريحها ليوجد من مسيرة كذا وكذا
“জাহান্নাম বাসী দুটি দল রয়েছে- যাদেরকে আমি এখনো দেখি নি। একদল এমন লোক যাদের হাতে গরুর লেজের মত লাঠি থাকবে যা দিয়ে তারা লোকদেরকে প্রহার করবে। আর অন্য দল এমন নারী যারা পোশাক পরেও উলঙ্গ থাকে। তারা অন্যদের তাদের প্রতি আকৃষ্ট করবে নিজেরাও অন্যদের প্রতি ঝুঁকবে। তাদের মস্তক উটের পিঠের কুজের মত হবে। তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না। এমনকি জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না অথচ এর ঘ্রাণ এত এত দূর থেকেও পাওয়া যায়।” [মুসলিম : ২১২৮]
হাদিসের ভাষা হল: “উটের পিঠের কুজের মত”। মাথার উপর চুল বাঁধলে বা ঝুটি থাকলেই তখন উটের পিঠের কুজের মত দেখা যাবে; অন্যথায় নয়।
,
সুতরাং আপনি প্রয়োজনে বাহিরে বের হওয়ার সময় সরাসরি মাথার উপর খোপা না বেধে একটু নিচের দিকে বাধবেন,তাহলে আর উটের পিঠের কুজের মতো দেখাবেনা।