হায়েজ অবস্থায় দুআ পড়ার বিধান

Question

আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ্ ,

 উস্তাদজী ,


১/   হায়েজ অবস্থায়   চার কুল , আয়াতুল কুরসি হেফাজতের আমল হিসেবে পড়া যাবে না , এটি আপনাদের থেকে শুনেছি পড়া যাবে , আবার কওমি মাদ্রাসা থেকে পড়েছেন এমন অনেক আলেম উলামা নাকি বলেছেন পড়া যাবে না , কি করবো উস্তাদজী বুঝতেছি না ।

একজন আলেমা আপু বলেছেন , তিনি নাকি অনেক মাওলানা মুফতী কাছে শুনেছেন হায়েজ অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত দুআ হিসেবে পড়া জায়েজ নয় , কারণ , হায়েজ প্রকৃতি প্রদত্ত , এ সময় আল্লাহ্ ই হেফাজত করেন , কুরআন যে দুআ গুলো মাসনুন হিসেবে এসেছে,যেগুলো মানুষ কুরআনের আয়াত জানুক বা না জানুক এটি জানে যে এটা একটা দুআ , তাই মাসনুন দুআ হিসেবে যেগুলো প্রসিদ্ধ সেই দুআ পড়া যাবে অন্যথায় যাবে না , আয়াতুল কুরসি, চার কুলকে  যদি কেউ দুআ বানিয়ে বা মনে করে পড়ে তাহলে সূরা মুলক ও দুআ বা আমল হিসেবে পড়া যাবে , এভাবে উদাহরণ দিয়েছেন ।

আমি আপনাদের কথা বলেছিলাম যে, আমার উস্তাদগণ বলেছেন ,চার কুল আয়াতুল কুরসি , হাশরের তিন আয়াত দুআ হিসেবে পড়া যাবে , তখন তিনি ওভাবে বুঝিয়ে বলেন আমাকে ,
হায়েজ অবস্থায় পড়া যাবে দুআ হিসেবে ,এর কোন দলিল আছে ?
২/ কেউ যদি ব্যাংক লোন নিয়ে ব্যবসা করে এবং সেই ব্যবস্থার অর্থ আমাকে দেন তবে কি সেই অর্থ আমার নেওয়া জায়েজ হবে?  যদিও লোনের অর্থ হারাম কিন্তু ব্যবসা হালাল জানি

Answer 1

জবাব

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 

بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)

হায়েজ,নেফাস,গোসল ফরজ থাকা অবস্থায় কুরআন কারীম পড়া হারাম। 

তবে যিকির,দোয়া সম্বলিত আয়াত,দ্বীনি কিতাব সমুহ পড়তে কোনো সমস্যা নেই।   

(কিতাবুন নাওয়াজেল ৩/১১০) 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

عن ابن عمر : عن النبي صلى الله عليه و سلم قال لا تقرأ الحائض ولا الجنب شيئا من القرآن (سنن الترمذى، ابواب الطهارات، باب ما جاء في الجنب والحائض : أنهما لا يقرأن القرآن، رقم الحديث-131

অনুবাদ-হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-ঋতুবতী মহিলা এবং গোসল ফরজ হওয়া ব্যক্তি কোরআন পড়বে না।

(সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-১৩১,

সুনানে দারেমী, হাদীস নং-৯৯১,

মুসনাদুর রাবী, হাদীস নং-১১,

মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১০৯০,

মুসন্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-৩৮২৩)

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 

আয়াতুল কুরসি দোয়া মূলক, তিন কুল দোয়া মূলক ,আমানার রসুল দোয়া মূলক, মঞ্জিল এর ৩৩ আয়াত দোয়া, মোনাজাত মূলক আয়াতসমূহ -এসবও হায়েজ অবস্থায় পড়া যাবে।

এগুলোও দোয়া মূলক আয়াত।

  قال فى المراقي (مع حاشية الطحطاوي كتاب الطهارة باب الحيض والنفاس والاستحاضة ص 141-142) : ويحرم بالحيض والنفاس ثمانية أشياء : ..... قراءة آية من القرآن إلا بقصد الذكر إذا اشتملت عليه لا على حكم أو خبر اهـ وفي حاشية الطحطاوي : قوله : "إلا بقصد الذكر" إي : أو الثناء أو الدعاء إن اشتملت عليه فلا بأس به في أصح الروايات" قال فى العيون : ولو أنه قرأ الفاتحة على سبيل الدعاء أو شيئا من الآيات التي فيها معنى الدعاء ولم يرد به القرآن فلا بأس به اهـ واختاره الحلواني وذكر في غاية البيان أنه المختار كما فى البحر والنهر ..... اهـ

সারমর্মঃ যিকির,দোয়ার নিয়তে কুরআনের আয়াত পড়া যাবে।

এমনকি যে যদি সুরা ফাতেহা দোয়া মূলক পড়া হয়,তাহলে তাও পড়া যাবে।    

বিস্তারিত জানুনঃ  

https://ifatwa.info/6062/

(০২)

সেই ব্যাক্তির সাথে ব্যবসায়ীক লেনদেন হিসেবে তার থেকে সেই অর্থ গ্রহন আপনার জন্য জায়েজ হবে।