উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
যে ব্যাক্তি এক বা একাধিক রাকাত পাইনি,বরং পরে এসে ইমামের সাথে জামায়াতে শরীক হয়েছে,শরীয়তের পরিভাষায় তাকে মাসবুক বলা হয়।
যে সময় ইমামের সালাম ফিরানোর পর সে নিজের অবশিষ্ট নামাজ আদায় করার জন্য দাঁড়িয়ে যাবে, তখন তার পিছনে ইকতেদা করা কাহারো জন্য জায়েয নেই।
যদি কেহ তার ইকতেদা করে, তাহলে তার নামাজ ছহীহ হবেনা ।
পুনরায় তাকে নামাজ আদায় করতে হবে।
(ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ ৩/১৪৭)
★ ফরজ নামাজ বাদ দিয়ে অন্যান্য নামাজ (যেমন রমজান মাসে বিতির নামাজ,যেটা জামায়াতের সাথে আদায় করা হয়তেছিলো) তার ভিতরেও একই হুকুম।
অর্থাৎ তার পিছনে ইকতেদা ছহিহ হবেনা।
উল্লেখ্য যে নামাজ জামায়াতের সাথে আদায় হয়না,সেই নামাজে মাসবুক হওয়ার কোনো পদ্ধতিই নেই ।
তাই ফরজ নামাজ ব্যাতিত অন্য কোনো নামাজে যেহেতু জামায়াত হয়না। (রমজান মাসে তারাবিহ এবং বিতির ব্যাতিত) তাই সেই ক্ষেত্রে ফরজ ব্যাতিত অন্য নামজের মাসবুকের ইকতেদা করার কোনো প্রশ্নই উঠবেনা।
হাদীস শরীফে আছে
عن أبي ہریرۃ ص قال: قال رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم: الإمام ضامن۔ (سنن أبي داؤد رقم: ۵۱۷، سنن الترمذي ۵۱ رقم: ۲۰۷، مسند أحمد ۲؍۴۶۱، مرقاۃ المفاتیح رقم: ۶۶۳)
ঈমাম হলেন মুক্তাদিদের যিম্মাদার।
۔
আল ফিকহু আলা মাযাহিবিল আরবাআতি গ্রন্থে এসেছে
الحنفیۃ قالوا: لا یصح الإقتداء بالمسبوق سواء أدرک مع إمامہ رکعۃ أو أقل منہا۔ (الفقہ علی المذاہب الأربعۃ مکمل: ۲۳۲)
হানাফি উলামায়ে কেরামদের মতে মাসবুকের পিছনে ইকতেদা করা ছহীহ হবেনা।
তাবইনুল হাকাইক গ্রন্থে আছেঃ
وحاصلہ أن إتحاد الصلا تین شرط لصحۃ الإقتداء؛ لأن الدخول في صلاتہ بنیۃ صلاۃ الإمام، فتکون صلاۃ الإمام متضمنۃ لصلاۃ المقتدي، وہو المراد بقولہ علیہ الصلاۃ والسلام: الإمام ضامن أي تتضمن صلا تہ صلاۃ المقتدي۔ (تبیین الحقائق ۱؍۳۶۲ زکریا، البحر الرائق ۱؍۳۶۰ کوئٹہ)
নিশ্চয়ই ইমাম আর মুকতাদির নামাজের মধ্যে ইক্তেদা ছহীহ হওয়ার জন্য ২ পক্ষেরই একই ধরনের নামাজ হওয়া শর্ত,,,,,,,
لا يجوز الاقتداء به
মাসবুকের পিছনে ইকতেদা ছহিহ নেই। (আদ দুররুল মুখতার ১/৫৫৫)
★উল্লেখ্য যে হানাফি মাযহাব ব্যাতিত অন্য কিছু মাযহাবে (যেমন শাফেয়ী মাযহাব) এর মত হলো মাসবুকের পিছনে ইকতেদা ছহিহ আছে।
সুতরাং তাদের অনুসারীরা সেই মত অবলম্বন করতে পারবেন।