আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
406 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম,

ব্যাবসা সংক্রান্ত আমার একটা জিজ্ঞাসা ছিলো। ব্যাপারটা নিয়ে আমার কিছুদিন সন্দেহ হচ্ছিলো।

আমি দেশের বাহিরে থাকি, যার সুবাধে এক জনের সাথে আমার একটা চুক্তু হয় আমি তাকে এইখান থেকে নির্দিষ্ট পন্য কিনে দেশে পাঠাবো বিনিময়ে সে আমাকে একটা নির্দাষ্ট এমাউন্ট পেই করবে।
ব্যপারটি হলো, আমি এখান থেকে বাংলাদেশি ক্লাইন্টকে বিভিন্ন পন্যের ছবি প্লাস ভিডিও পাঠাই। তখন তিনি সেই ছবি দেখে বলে যে এইটাই দাম এতো দিয়ে কিনতে পারো কি নে দেখো? এর পরে আমি যেই পন্যের বিক্রেতা আছে তার সাথে দামাদামি করে কিনে তা বাংলাদেশ পাঠাই। এই কাজের বিনিময়ে তার সাথে আমার চুক্তি হয় সে আমারে উপরের উল্লেখিত পরিমান টাকা দিবে।

 যাই হোক পরবর্তীতে তিনি আমাকে সেই পরিমান টাকা না দিয়ে তার অর্ধেক দেয়া শুরু করলো। যা পরিশ্রম আর ইনভেস্টম্যান্ট এর তুলনায় কম হয়ে যায়।

যেহেতু আগে আমার অভিজ্ঞতা কম ছিলো, কোন পন্যের দাম কতো হতে পারে। কিন্তু বর্তমানে আমার একটা ধারনা হয়ে গেছে। এই ক্ষেত্রে আমি কোথাও এই পন্যের সন্ধান পেয়ে গেলে আগে নিজে দামাদামি করে কিনে ফেলি এবং তার পরে তার ছবি ও ভিডিও পাঠিয়ে বলি এইটা এতো হলে কিনা যাবে। দাম কিছুটা বাড়িয়ে বলি কিনা দামের থেকে এবং আমি গোপন করে রাখি যে এইটা আমি কিনে ফেলেছি।

বলে রাখা ভালো এই এক্ষেত্রে  বাংলাদেশি ক্লাইন্ট যদি এই পন্য পছন্দ কিংবা দামে না হয় তাহলে সে এই পন্য নেয় না বা নিবে না। তখন এইগুলো থেকে যায় বা যাবে।

আমার প্রশ্ন হলো, এই যে আমি নিজে আগে পন্য আগে কিনে ফেলি এবং তা বাংলাদেশি ক্লাইন্টকে না জানিয়ে তা বেশি দামে তার কাছে বিক্রি করি ও একই সাথে তার সাথে প্রতি পন্যের বিনিময়ে সেই চুক্তি বহাল আছে। আমার এই ধরনের ইনকামটা কি হালাল হবে?

1 Answer

0 votes
by (63,080 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

 আল্লাহ তা'আলা বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُم بَيْنَكُم بِالْبَاطِلِ إِلَّا أَن تَكُونَ تِجَارَةً عَن تَرَاضٍ مِّنكُمْ ۚ وَلَا تَقْتُلُوا أَنفُسَكُمْ ۚ إِنَّ اللَّهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا

হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা : ২৯)

 

 আল্লাহ তা'আলা বলেন,

وَلَا تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُم بَيْنَكُم بِالْبَاطِلِ وَتُدْلُوا بِهَا إِلَى الْحُكَّامِ لِتَأْكُلُوا فَرِيقًا مِّنْ أَمْوَالِ النَّاسِ بِالْإِثْمِ وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ

তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ ভোগ করো না। এবং জনগণের সম্পদের কিয়দংশ জেনে-শুনে পাপ পন্থায় আত্নসাৎ করার উদ্দেশে শাসন কতৃপক্ষের হাতেও তুলে দিও না। (সূরা বাকারাআয়াত নং- ১৮৮)

 আল্লাহ তা'আলা ব্যবসাকে হালাল করেছেন। তিনি বলেন,

اَلَّذِیْنَ یَاْكُلُوْنَ الرِّبٰوا لَا یَقُوْمُوْنَ اِلَّا كَمَا یَقُوْمُ الَّذِیْ یَتَخَبَّطُهُ الشَّیْطٰنُ مِنَ الْمَسِّ ذٰلِكَ بِاَنَّهُمْ قَالُوْۤا اِنَّمَا الْبَیْعُ مِثْلُ الرِّبٰوا ۘ وَ اَحَلَّ اللهُ الْبَیْعَ وَ حَرَّمَ الرِّبٰوا  فَمَنْ جَآءَهٗ مَوْعِظَةٌ مِّنْ رَّبِّهٖ فَانْتَهٰی فَلَهٗ مَا سَلَفَ  وَ اَمْرُهٗۤ اِلَی اللهِ  وَ مَنْ عَادَ فَاُولٰٓىِٕكَ اَصْحٰبُ النَّارِ هُمْ فِیْهَا خٰلِدُوْنَ.

যারা সুদ খায় তারা (কিয়ামতের দিন) সেই ব্যক্তির মতো দাঁড়াবেযাকে শয়তান স্পর্শ দ্বারা পাগল করে এটা এজন্য যেতারা বলেক্রয়-বিক্রয় তো সুদের মতোই। অথচ আল্লাহ ক্রয়-বিক্রয়কে হালাল করেছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম। যার নিকট তার প্রতিপালকের উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছেতবে অতীতে যা হয়েছে তা তারই। আর তার ব্যাপার আল্লাহর এখতিয়ারে। আর যারা পুনরায় করবে তারাই জাহান্নামের অধিবাসী হবে। সেখানে তারা হবে চিরস্থায়ী। (সূরা বাকারা (২) : ২৭৫)

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!

 

১. প্রথম সূরতটি জায়েজ আছে। এই ক্ষেত্রে আপনি বাংলাদেশী ক্রেতার উকীল হবেন এবং তার ভিত্তিতে পরস্পর চুক্তি অনুযায়ী আপনি টাকা পাবেন। উল্লেখ্য যে, পরস্পর চুক্তি অনুযায়ী আপনাকে টাকা না দিলে প্রয়োজনে আপনি তাকে পণ্য কিনে দিলেন না।

২. দ্বিতীয় সূরতটি জায়েজ হবে না। তবে এটা এক সূরতে জায়েজ হবে আর তা হলো আপনি এখানে উকীল হবেন না এবং এর বিনিময়ে কোনো টাকা নিবেন না। বরং আপনিই সরাসরি বিক্রেতা হবেন এবং এই ক্ষেত্রে কথাটি এভাবে বলবেন যে, এখানে বাজারে এটা এতো দামে বিক্রয় হয় আর আমি পণ্যটি এতো দামে দিতে পারবো।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (4 points)
মহতারাম জাজাকাল্লাহ খাইরান।
by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম,

উস্তাদ, উল্লেখিত প্রশ্নের ২য় সুরত যেহেতু জায়েজ হবে না। এখন প্রশ্নকর্তা জানতে চেয়েছেন যে, উনি ২য় সুরতে অনেক দিন পর্যন্ত ব্যবসা করে ফেলেছে। যা বাংলাদেশের ওই ক্লাইয়েন্ট জানে বা জানো হয় নাই। যেহেতু প্রশ্নকর্তা নিজেও জানতো না এই সুরুতে জায়েজ হবে না। এই হালতে প্রশ্ন কর্তার কি করনীয়? 

সহজ করে বললে, প্রশ্নকারি এখন যদি সেই বাংলাদেশি ক্লাইয়েন্টকে জানাতে যায় তাহলে এই ব্যাপার নিয়ে নিজেদের মধ্যে একটু মনমালিন্য ও ব্যাবসায়িক সম্পর্কের অবনতি ঘটবে। অন্যদিকে বেশি দামে পন্য বিক্রি করায় সেই লোকের হকও এইখানে জড়িত আছে।  

এই রকম পরিস্থিতে ইসালামের হুকুম ও বিধান কি হবে ? 




আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...