শরীয়তের বিধান হলো পাক পবিত্র কাপড়ে নামাজ আদায় করতে হবে।
আল্লাহ তায়ালা সুরা মুদ্দাচ্ছির এর ৪নং আয়াতে ইরশাদ করেন
وثيابك فطهر
তোমরা কাপড় পবিত্র করো।
,
সুতরাং কোনো নাপাক কাপড়ে নামাজ পড়া যাবেনা।
এতে নামাজ আদায় হবেনা।
لو بسط الثوب الطاهر على الأرض النجسة وصلى عليه جاز (البحر الرائق، كتاب الصلاة، باب شروط الصلاة-1/268)
সারমর্মঃ
যদি কেহ পাক কাপড় নাপাক কাপড়ের উপর বিছিয়ে দিয়ে তার উপর নামাজ আদায় করে,তাহলে নামাজ জায়েজ হবে।
(আল বাহরুর রায়েক-১/২৬৮.ফাতওয়া শামী-১/৬২৬)
আল্লামা আব্দুল্লাহ বিন বায রা. এর ফতোয়া
إذا وضع على الفراش الذي فيه بول سجادة وصلى عليها لا بأس، وإذا غسل الموضع الذي أصابه البول وصب عليه الماء حتى يكاثره تطهر المكان، وإذا وضع السجادة أو بساط طاهر على بسط نجسة كفى ذلك.
“যে কার্পেটে প্রস্রাব আছে তার উপর যদি সে জায়নামাজ বিছিয়ে সালাত আদায় করে তাহলে তাতে কোনও দোষ নেই।
যদি সে প্রস্রাব আক্রান্ত স্থানটি ধুয়ে ফেলে এবং তাতে বেশি করে পানি ঢালে তাহলে তা পবিত্র হয়ে যাবে। আর যদি নাপাক বিছানা (বা কার্পেট) এর উপর জায়নামাজ বা পবিত্র বিছানা বিছায় তাহলে তাই যথেষ্ট।”
আল্লামা উসাইমিন রহঃ বলেন,
لا يحرم على الإنسان أن يضع سجادته على شئٍ نجس يابس ويصلي عليها، اللهم إلا أن تكون لهذا النجس رائحةٌ تؤذي الإنسان في صلاته فلا يصلي عليها
“যদি শুকনা নাপাক কোন কিছুর উপর মানুষ জায়নামাজ বিছিয়ে তাতে নামাজ আদায় করে তাহলে তা হারাম নয়। অবশ্য যদি নাপাকি থেকে এমন দুর্গন্ধ বের হয় যে, তাতে নামাজি ব্যক্তির কষ্ট হয় তাহলে সেখানে নামাজ আদায় করবে না।”
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেই অপবিত্র কাপড়ের উপর এই পবিত্র কাপড় রেখে নামাজ আদায় করা হবে,সেক্ষেত্রে নাপাক কাপড়টি শুকনো নাকি ভেজা?
যদি শুকনো থাকে,তাহলে এতে নামাজ হয়ে যাবে
কেননা এতে পবিত্র কাপড়টা উক্ত কাপড়ের নাপাকি শোষণ করে না বা তাতে নাপাক লাগে না।
তবে যদি নাপাকি লেগে ভেজা থাকা অবস্থায় যদি তার উপর অন্য পবিত্র শুকনো কাপড় রেখ নামাজ আদায় করা হয়, তাহলে নামাজ হবেনা।
কারন সেই ছুরতে উক্ত পবিত্র কাপড় নাপাক হয়ে যাবে। কারণ তখন পবিত্র কাপড়টি নাপাকি শোষণ করবে।