بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
হাদীস শরীফে এসেছে,
" أَتَانِي اللَّيْلَةَ رَبِّي تَبَارَكَ
وَتَعَالَى فِي أَحْسَنِ صُورَةٍ قَالَ أَحْسَبُهُ قَالَ فِي الْمَنَامِ فَقَالَ
يَا مُحَمَّدُ هَلْ تَدْرِي فِيمَ يَخْتَصِمُ الْمَلأُ الأَعْلَى قَالَ قُلْتُ لاَ
. قَالَ فَوَضَعَ يَدَهُ بَيْنَ كَتِفَىَّ حَتَّى وَجَدْتُ بَرْدَهَا بَيْنَ
ثَدْيَىَّ أَوْ قَالَ فِي نَحْرِي فَعَلِمْتُ مَا فِي السَّمَوَاتِ وَمَا فِي
الأَرْضِ قَالَ يَا مُحَمَّدُ هَلْ تَدْرِي فِيمَ يَخْتَصِمُ الْمَلأُ الأَعْلَى
قُلْتُ نَعَمْ . قَالَ فِي الْكَفَّارَاتِ . وَالْكَفَّارَاتُ الْمُكْثُ فِي
الْمَسَاجِدِ بَعْدَ الصَّلَوَاتِ وَالْمَشْىُ عَلَى الأَقْدَامِ إِلَى
الْجَمَاعَاتِ وَإِسْبَاغُ الْوُضُوءِ فِي الْمَكَارِهِ وَمَنْ فَعَلَ ذَلِكَ
عَاشَ بِخَيْرٍ وَمَاتَ بِخَيْرٍ وَكَانَ مِنْ خَطِيئَتِهِ كَيَوْمَ وَلَدَتْهُ
أُمُّهُ وَقَالَ يَا مُحَمَّدُ إِذَا صَلَّيْتَ فَقُلِ اللَّهُمَّ إِنِّي
أَسْأَلُكَ فِعْلَ الْخَيْرَاتِ وَتَرْكَ الْمُنْكَرَاتِ وَحُبَّ الْمَسَاكِينِ
وَإِذَا أَرَدْتَ بِعِبَادِكَ فِتْنَةً فَاقْبِضْنِي إِلَيْكَ غَيْرَ مَفْتُونٍ
قَالَ وَالدَّرَجَاتُ إِفْشَاءُ السَّلاَمِ وَإِطْعَامُ الطَّعَامِ وَالصَّلاَةُ بِاللَّيْلِ
وَالنَّاسُ نِيَامٌ "
অর্থ: ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আজ রাতে আমার মহান ও বারাকাতময় প্ৰভু সবচেয়ে
সুন্দর চেহারায় আমার নিকট এসেছেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমার মতে
তিনি বলেছেনঃ ঘুমের মধ্যে স্বপ্নযোগে। তারপর তিনি বললেনঃ হে মুহাম্মাদ! তুমি কি জান,
এ সময় উচ্চতর জগতের অধিবাসীরা কি নিয়ে বিবাদ করছে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমি বললাম, না। তিনি তার হাত আমার দুই কাঁধের মধ্যখানে রাখলেন। এমনকি আমি আমার দুই স্তনের
বা বুকের মাঝে এর শীতলতা অনুভব করলাম। আসমান-যামীনে যা কিছু আছে আমি তা অবগত হলাম।
তিনি বললেনঃ হে মুহাম্মাদ! তুমি কি জান, এ সময় উচ্চতর জগতের অধিবাসীরা কি নিয়ে বিবাদ
করছে? আমি বললামঃ হ্যাঁ, কাফফারাত নিয়ে
বিবাদ করছে। কাফফারাত অর্থ “নামাযের পর মসজিদে বসে থাকা, নামাযের
জামা'আতে উপস্থিতির জন্য হেঁটে যাওয়া এবং কষ্টকর সময়েও সুষ্ঠভাবে
উযূ করা"। যে লোক এসব কাজ করবে সে কল্যাণের মধ্যে বেঁচে থাকবে, কল্যাণের সাথে মরবে এবং তার জন্ম দিনের মত গুনাহ হতে পবিত্র হয়ে যাবে।
আল্লাহ তা'আলা আরো বললেনঃ হে মুহাম্মাদ! তুমি যখন সালাত আদায় করবে তখন এই দুআ পড়বেঃ
“আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা ফি’লাল খাইরাতি ওয়া তারকাল মুনকারাতি ওয়া হুব্বাল মাসাকীনি
ওয়া ইযা আরাদতা বি-ইবাদিকা ফিতনাতান ফাকবিযনী ইলাইকা গাইরা মাফতুনিনা” (হে আল্লাহ!
আমি তোমার নিকট ভাল কাজ করার, খারাপ কাজ ত্যাগ করার এবং গারীব-নিঃস্বদের
ভালবাসার মনোস্কামনা চাই। তুমি যখন তোমার বান্দাদের কঠিন পরীক্ষায় নিক্ষেপ করার ইচ্ছা
কর, তখন আমাকে এ ফিতনায় জড়িয়ে পড়ার আগেই তোমার নিকট উঠিয়ে
নাও)।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেনঃ দারাজাত
ও মর্যাদার স্তর বলতে বুঝায়ঃ সালামের প্রচার প্রসার ঘটানো, মানুষকে খাওয়ানো এবং রাতের অন্ধকারে মানুষ
যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকে তখন (তাহাজ্জুদ) নামায আদায় করা।) সুনানে তিরমীযী-৩২৩৩,
মুসনাদে-৩৪৮৪)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নেল্লিখিত হাদীসে সর্বোচ্চ পরিষদ বলতে মালায়েকা বা ফেরেশ্তাদের
জামাতকে বুঝানো হয়েছে। “সর্বোত্তম আকৃতি” ও “তার দুই হাত আমার কাঁধে” এইদুটি অংশ মুশতাবিহাতের
অন্তর্ভু্ক্ত । এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: https://ifatwa.info/4261/?show=4261#q4261