بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
আবদুল্লাহ ইবনু আমর(রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে তিনি বলেন, এক সফরে রাসুল (সা.) আমাদের
পেছনে রয়ে গেলেন। পরে তিনি আমাদের কাছে পৌঁছালেন, এদিকে আমরা
(আসরের) নামাজ আদায় করতে দেরি করে ফেলেছিলাম এবং আমরা অজু করছিলাম। আমরা আমাদের পা
কোনো মতে পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিচ্ছিলাম। তখন তিনি উচ্চস্বরে বললেন– وَيْلٌ لِلأَعْقَابِ مِنَ النَّارِ বা ‘পায়ের গোড়ালিগুলোর (শুষ্কতার) জন্য জাহান্নামের শাস্তি রয়েছে।’
তিনি দুই বার বা তিনবার এ কথা বললেন।(বুখারি, হাদিস : ৬০; মুসলিম,
হাদিস : ২৪১)
অজুর ক্ষেত্রে অজুর অঙ্গগুলোতে পরিপূর্ণভাবে পানি পৌঁছানো বা
ভেজানো আবশ্যক। অজুর মূল অঙ্গ ৪টি : চেহারা, হাত, পা, মাথা। মাথা মাসেহ করা ফরজ। আর বাকি তিন অঙ্গ ধোয়া ফরজ।
এ তিন অঙ্গের কোনো একটি স্থান শুকনো থাকলে— অজু হবে না। অজুর শেষে যদি কোনো উপায়ে
জানা যায়, এই তিন অঙ্গের
কোথাও শুকনো রয়ে গেছে। তাহলে শুধু শুকনো জায়গা পানি দিয়ে ধুয়ে নিলেই হবে; নতুন অজু করতে হবে না। (আহসানুল ফাতাওয়া, খণ্ড : ০২,
পৃষ্ঠা : ৩১৬, ফতোয়ায়ে আলমগিরি-১/৫, )
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
শীতকালো পায়ে ফাটল দেখা দিলে, এমন ভাবে পা ধৌত করতে হবে যে সেই ফাটলের কোনোয়
কোনোয় যেন পানি পৌছে যায়। শীতকালীন পা ফাটার কারণে সাধারণত পায়ে যেই ফাটল ও কালো দাগ দেখা দেয়
তা পায়ে পানি পৌঁছার জন্য প্রতিবন্ধক নয়। তবে অবশ্যই সুন্নাত তরীকা অনুপাতে ঘষে ঘষে
পা ধৌত করতে হবে। যদি ভালোভাবে পা ধৌত না করার কারণে পায়ের ফাটা জায়গায় পানি না পৌছে
তাহলে অজু হবে না।