আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
107 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (51 points)
আসসালামু আলাইকুম
পায়জামার খুবই অল্প, শুকনা,লাল দাগ ছিল,এটা পরেই আসর ও যোহর আদায় করেছে(দাগটা আগে দেখেনি),পরে মাগরিবের সময় দাগ দেখে দাগ তুলতে গেলে,দাগ উঠেছে,হায়িজ শেষ হয়েছে রিসেন্টলি(১ দিন/আগে),ধারনা করছে যে হায়িজের দাগ।
প্রশ্ন হল,যোহর ও আসর কি হয়েছে,??মাগরিবের ওয়াক্তে আর পাজামা চেেঞ্জ না করে ধুয়ে নিছে,নামাজ কি হয়ে ছে?

২.নামাজে গ্যাস বের হয়েছে এমন অনুভুত হলে কি করনিয়?যদিও শিউর না যে গ্যাস বের হয় কিনা আসলেই?

1 Answer

0 votes
by (677,120 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال : تعاد الصلاة من قدر الدرهم من الدم (سنن الدر قطنى، كتاب الصلاة، باب قدر النجاسة التي تبطل الصلاة، رقم الحديث-1)

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-এক দিরহাম পরিণাম রক্তের দরুন নামাযকে পুনরায় আদায় কর। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৩৮৯৬, জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-১০৭৮৩, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার লিল বায়হাকী, হাদীস নং-১৩২৩, আল জামেউল কাবীর, হাদীস নং-২৩৮}

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!  
শরীয়তের বিধান মতে এক্ষেত্রে যদি উক্ত লাল দাগের  পরিমান এক দিরহাম পরিমাণ হয়, তাহলে উক্ত কাপড়সহ নামায পড়া যেহেতু জায়েজ নয়।
তাই আপনার সেই জোহর আর আছরের নামাজ পুনরায় আদায় করে নিতে হবে।

কিন্তু যদি এক দিরহাম থেকে কম হয়, তাহলে উক্ত কাপড়সহ নামায পড়া যেহেতু জায়েজ আছে।
তাই আপনার জোহর আর আছরের নামাজ হয়ে গিয়েছে। 
পুনরায় আর আদায় কর্যে হবেনা। 

মাগরিবের সময় যে পায়জামা ধোয়া হয়েছে,এতে তিনবার ধোয়া আর প্রত্যেকবার নিংড়ানো হলে সেটি পাক হয়েছে,মাগরিবের নামাজ শুদ্ধ হয়েছে।

যদি তিনবার ধোয়া না হয়,তাহলে পায়জামা পাক না হওয়ায় মাগরিবের নামাজও হয়নি।
পুনরায় পবিত্র কাপড়ে আদায় করতে হবে। 

বিস্তারিত জানুনঃ 

(০২)
আপনি যদি বায়ু বের হওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত হোন বা এমনটি হয় যে আপনার মাঝে মাঝে এই ভাবে বায়ু বের হয়ে থাকে,তাহলে নামাজ ছেড়ে দিয়ে অযু করে এসে উক্ত নামাজ যেখানে ছেড়ে গিয়েছিলেন,সেখান থেকেই আবার আদায় করবেন।
,
আর আপনার অবস্থা যদি এমন না হয়,হঠাৎ করেই নামাজের মধ্যে আপনার সন্দেহ হয়,আপনি যদি বায়ু বের হওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত না হন,কোনো গন্ধ বা আওয়াজও না পান,তাহলে আপনি নামাজ চালিয়ে যাবেন।   

বিস্তারিত জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 73 views
...