আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
249 views
in সালাত(Prayer) by (102 points)
edited by
১)আমি এর আগে একটা ভিডিও দেখে শিখেছিলাম বলেছিল সুবহানাকা আল্লাহুম্মা

আজকে আবার মসজিদের ঈমামের নিকট শুনলাম সুবহানা কাল্লাহুম্মা
আসলে কোনটা সঠিক

অনেক জায়গা দেখলাম সুবহানা কাল্লাহুম্মা পড়তে
অনেক জায়গা দেখলাম সুবহানাকা আল্লাহুম্মা এভাবে ভেঙে পড়তে
২)আমি ওই ভিডিও দেখার পর কয়েক মাস যাবত এভাবে পরেছি

সুবহানাকা আল্লাহুম্মা

আর সুবহানা কাল্লাহুম্মা এটি ফযরের নামাজের পর মসজিদের ঈমামের মশকের দারস থেকে জানলাম

এখন আমার এতদিনের নামাজ কি শুদ্ধ হয়েছে? পুনরায় দোহরাতে হবে এই কয়েক মাসের নামাজ?


৩) ঘুম থেকে উঠার পর ফযরের নামাযের অযুর আগে চোখ পরিস্কার করে হাত দিয়ে দেখেছি চোখে কোনো ময়লা ছিল না। অযুর পরেও হাত দিয়ে দেখছি চোখে কিছু নাই।পরে অনেকক্ষণ পড়ে এক চোখে হাত দিয়ে দেখি সামান্য একটু ময়লার মত হাতে বাজলো পরে খুবই অল্প একটু ময়লা বের হলো।এটি হয়তো পরে এসেছে।আমার কি নামাজ হয়েছে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/4350 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই।তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1126
তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।

সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
আরবী ব্যাকরণ হিসেবে "সুবহানাকাল্লাহুম্মা" বলাই সঠিক ও যুক্তিসংগত।

(২)
যেহেতু এটা ব্যাকরণগত ব্যখ্যা,তাছাড়া 'সুবহানাকা আল্লাহুম্মা' বলার কারণে অর্থের মধ্যে কোনো বিকৃতি আসেনি, তাই নামাযে কোনো সমস্যা হয়নি।

(৩)
চোখ থেকে ময়লা বের হলে উক্ত ময়লা অজুকে ভঙ্গ করে না এবং নামাযকে ফাসিদও করে না।তাই আপনার নামায না হওয়ার কোনো কারণ নেই।বরং আপনার নামায বিশুদ্ধ হয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...