ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/10956 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
সাবিত আল বুনানী (রহ.) হতে বর্ণিত।
عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا مَرْحُومُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ مِهْرَانَ قَالَ سَمِعْتُ ثَابِتًا الْبُنَانِيَّ قَالَ كُنْتُ عِنْدَ أَنَسٍ وَعِنْدَه“ ابْنَةٌ لَه“ قَالَ أَنَسٌ جَاءَتْ امْرَأَةٌ إِلٰى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم تَعْرِضُ عَلَيْهِ نَفْسَهَا قَالَتْ يَا رَسُوْلَ اللهِ أَلَكَ بِي حَاجَةٌ فَقَالَتْ بِنْتُ أَنَسٍ مَا أَقَلَّ حَيَاءَهَا وَا سَوْأَتَاهْ وَا سَوْأَتَاهْ قَالَ هِيَ خَيْرٌ مِنْكِ رَغِبَتْ فِي النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَعَرَضَتْ عَلَيْهِ نَفْسَهَا.
তিনি বলেন, আমি আনাস (রাঃ)-এর কাছে ছিলাম। তখন তাঁর কাছে তাঁর কন্যাও ছিলেন। আনাস (রাঃ) বললেন, একজন মহিলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে নিজেকে সমর্পণ করতে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার কি আমার প্রয়োজন আছে? এ কথা শুনে আনাস (রাঃ)-এর কন্যা বললেন, সেই মহিলা কতই না নির্লজ্জ, ছিঃ লজ্জার কথা। আনাস (রাঃ) বললেন, সে মহিলা তোমার চেয়ে উত্তম, সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহচর্য পেতে অনুরাগী হয়েছিল। এ কারণেই সে নিজেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে পেশ করেছে। ( সহীহ বুখারী-৫১২০)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১) বিয়ের ক্ষেত্রে মূল নিয়ম হল, পাত্র-পাত্রী বা তাদের উকিল পরম্পর পরস্পরকে বিয়ের প্রস্তাব দেবে।এবং অপরপক্ষ গ্রহণ করবে।দুইজন সাক্ষীর সামনে।
বর্তমানে আমাদের দেশে যে নিয়ম প্রচলিত, পূর্বযুগে এমন নযির সাধারণত পাওয়া যায় না। তবে এ পদ্ধতিকে বিদ'আত বা নাজায়েযও বলা যাবে না। হ্যা, আমরা বলতে পারি যে, পাত্র পাত্রী স্বয়ং বিবাহের মঞ্চে উপস্থিত থেকে একে অপরকে বা পাত্র পাত্রীকে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দিবে, এবং পাত্রী সরাসরি গ্রহণ করবে বা প্রত্যাখ্যান করবে।
(২)
তারা বলবে, আমরা অমুক পক্ষ থেকে আপনার প্রস্তাবকে গ্রহণ করছি।
(৩) বিবাহের খুতবাহতে কুরআনের আয়াত ও হামদ নাত ও দুরুদ পড়তে হবে। তবে হাদীস পড়া জরুরী নয়, হ্যা পড়লেও তাতে কোনো সমস্যা নাই। পড়াটা সুন্নাহ বিরোধী হবে না।
(৪) বিয়ের পর খেজুর ছিটিয়ে দেয়া সুন্নত।