আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
256 views
in পবিত্রতা (Purity) by (13 points)
আসসালামুআলাইকুম ভাই, ছোট বাচ্চা প্রস্রাব করলে ওর শরীর কাপর নাপাক করে এখন ঐ বাচ্চার কাপর কেউ খুলে দেওয়ার সময়ে যদি তার হাতে লাগে তাহলে তার হাত নাপাক হবে এই হাত ভিজে গেলে যদি কাপর ধরে তাহলে কাপর নাপাক হবে,কাপর ধরার পর যদি ভিজা হাতে অন্যান্য আরো কিছু ধরে তাহলে সব কিছুই কি নাপাক হবে?ঐ বাচ্চাকে যদি একজন করে অনেকেই ভিজা হাত  ধরে তাহলে কি সবার হাত নাপাক হবে?এক নাপাক কত জিনিষ নাপাক করতে পারে?নাপাকির ফিকহ কী একটু বুঝিয়ে বলবেন। ঘরে ছোট বাচ্চা আছে ওর প্রস্রাব থেকে সবকিছুই নাপাক হয়ে যায় কিনা খুব চিন্তিত থাকি দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন। আমাদের একটাই  বাথরুম আমার মা বাচ্চাকে গোসল করালে বাচ্চার শরীরের নাপাক দ্বারা বাথরুম নাপাক হয় কিনা সন্দেহে থাকি।আমার মা বোন বাচ্চার নাপাকী নিয়ে অতটা সচেতন না।বাচ্চার নাপাকী ধরে নাপাক ভিজা হাত শুকনা হাত ধোয়া ছাড়া ঘরের সব জিনিস পত্র ধরে ।ওনাদের ভিজা হাত দিয়ে ধরলে তো সবকিছুই নাপাক। আমি কি করবো ?

1 Answer

+1 vote
by (597,330 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/19995 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,
অপবিত্রতা তিন প্রকারের হতে পারে।যথা-
(১)পবিত্র জিনিষ হয়তো নাজাসতের অংশকে চুষে নিবে না যেমন পাথর বা তামার পাত্র কিংবা চিনির পাত্র।
(২) অথবা নাজাসতের অংশকে সামান্য আকারে চুষে নিবে, যেমন, শরীর ইত্যাদি।
(৩) অথবা বেশী পরিমাণে নাজাসতের অংশকে চুষে নিবে।

(প্রথম প্রকারের হুকুম) প্রথম অবস্থায় দৃশ্যমান নাজাসতের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র নাজাসতকে দূর করে নিলেই তা পবিত্র হয়ে যাবে। আর অদৃশ্যমান নাজাসতের ক্ষেত্রে তিনবার ধৌত করে নিলেই তা পবিত্র হবে।
(দ্বিতীয় প্রকারের হুকুম)  দ্বিতীয় প্রকারের হুকুমও প্রথম প্রকারের মত।
(তৃতীয় প্রকারের হুকুম) যদি নিংড়ানো সম্ভব হয়, তাহলে নিংড়াতে হবে।যেমন কাপড়কে নিংড়িয়ে ধৌত করা হয়ে থাকে। সুতরাং এ প্রকারের নাজাসতকে দূর করার দ্বারাই কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে, অথবা তিনবার ধৌত করার দ্বারা তা পবিত্র হবে। আর যদি নিংড়ানো সম্ভব না হয়, যেমন চাটাই ইত্যাদি, যদি জানা যায় যে, উক্ত জিনিষ নাজাসতকে চুষে নেয়নি, তাহলে বাহ্যিকভাবে নাজাসতকে দূর করার দ্বারাই তা পবিত্র হয়ে যাবে। অথবা নিংড়ানো ব্যতিত তিন বার ধৌত করার দ্বারাই তা পবিত্র হয়ে যাবে। আর যদি জানা যায় যে, উক্ত জিনিষ নাজাসতকে চুষে নিয়েছে, তাহলে ইমাম মুহাম্মদ রাহ এর মতে উক্ত জিনিষ কখনো পবিত্র হবে না। এবং ইমাম আবু-ইউসুফ রাহ এর মতে তিনবার পানি দ্বারা ধৌত করতে হবে, এবং প্রত্যেকবার শুকাতে হবে।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
জ্বী, আপনার বিবরণই সঠিক।
ছোট বাচ্চা প্রস্রাব করলে ওর শরীর কাপর নাপাক করে এখন ঐ বাচ্চার কাপর কেউ খুলে দেওয়ার সময়ে যদি তার হাতে লাগে তাহলে তার হাত নাপাক হবে এই হাত ভিজে গেলে যদি কাপর ধরে তাহলে কাপর নাপাক হবে,কাপর ধরার পর যদি ভিজা হাতে অন্যান্য আরো যত জিনিষ ধরবে, সব কিছুই নাপাক হবে। ঐ বাচ্চাকে যদি একজন করে অনেকেই ভিজা হাত  ধরে তাহলে সবার হাতই নাপাক হবে।এক নাপাক অনেক অনেক জিনিষকে নাপাক করতে পারে। সুতরাং নাপাকির বেলায় সতর্কতা অর্জন করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...