بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাব,
শরীয়তের বিধান হলো রোযা রাখা অবস্থায় মাথায় তৈল দেওয়া
যাবে। এতে রোযার কোন ক্ষতি হবে না।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ
قَتَادَةَ: «يُسْتَحَبُّ لِلصَّائِمِ أَنْ يَدَّهِنَ حَتَّى تَذْهَبَ عَنْهُ
غُبْرَةُ الصَّائِمِ»
হযরত কাতাদাহ রা. বলেন,‘রোযাদারের তেল ব্যবহার করা উচিত,
যাতে রোযার কারণে সৃষ্ট ফ্যাকাশে বর্ণ
দূর হয়ে যায়। [মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক ৪/৩১৩, হাদীস নং-৭৯১২]
وَمَا
يَدْخُلُ مِنْ مَسَامِّ الْبَدَنِ مِنْ الدُّهْنِ لَا يُفْطِرُ هَكَذَا فِي شَرْحِ
الْمَجْمَعِ.(الفتاوى الهندية، كتاب الصوم، الباب الرابع فيما يفسد وما لا يفسد،
النوع الاول مايوجب القضاء دون الكفارة-1/203
সারমর্মঃ শরীরের ছিদ্র,লোমকূপের ভিতরে যাহা কিছু প্রবেশ করবে,তৈল জাতীয়,এতে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।
রোযাদারের জন্য সুরমা লাগানো বা সুগন্ধি ব্যবহার করা মাকরূহ
নয়।
আতা রাহ. বলেন, ‘রোযাদারের জন্য সুরমা ব্যবহার করাতে দোষ নেই।’-(মুসান্নাফে
আবদুর রাযযাক ৪/২০৮; আলবাহরুর
রায়েক ২/২৮০)
*
রোজা রাখা অবস্থায় গড়গড়া করে কুলি করলে
পানি ভিতরে প্রবেশ করার আশঙ্কা থাকে তাই গড়গড়া করে কুলি করবেন না;
বরং হালকাভাবে করবেন। অনুরূপভাবে নাকের
গভীরে পানি প্রবেশের চেষ্টা করবেন না; বরং হালকাভাবে
নাকের মধ্যে পানি দিবেন, যাতে
পানি একেবারে ভেতরে প্রবেশ না করে। (তাহতাবী ১০২)
প্রশ্নকারী প্রিয় ভাই/বোন!
প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে রোজা রাখা অব্স্থায় মাথায় তেল দেওয়া
ও মাস্ক ব্যবহার করা জায়েয আছে। অনুরুপ ভাবে রোজা রেখে গোসল করলেও কোন ক্ষতি নেই। তবে
ফরজ গোসল করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে যে, কুলি করা ও নাকে পানি দেওয়ার সময় যেন ভিতরে পানি প্রবেশ
না করে, অন্যথায়
রোজা ভেঙ্গে যাবে।