ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
জ্বী , কেক কেটে খেতে পারবেন।তবে বিজাতীয় সংস্কৃতিকে অনুসরণ করা যাবে না।
(২)
https://www.ifatwa.info/343 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছিলাম যে,
বলা যায় মুসলিম দেশের মুসলিম সরকারের জন্য ওয়াজিব যে,অচিরেই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
প্রয়োজনে এ জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করা সমস্ত মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কিন্তু যতদিন পর্যন্ত এই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।
১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।(ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১)(শেষ)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি বিপরিত লিঙ্গের সংস্পর্শ এবং নকল থেকে দূরে থাকবেন।জাযাকাল্লাহ।
(৩)
জ্বী, আপনি হিন্দুদের তৈরী মিষ্টি খেতে পারবেন।তবে যদি নিশ্চিতভাবে নির্দিষ্ট কোনো হিন্দু মালিক সম্পর্কে জানি যায় যে, তিনি গরুর প্রস্রাবকে সংযোজন করে থাকেন, তাহলে এমন মালিকের দোকান থেকে মিষ্টি খাওয়া যাবে না।