বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
শরীয়তের বিধান মতে অযু ভেঙ্গে যাওয়ার অন্যতম একটি কারন হলো রক্ত, পূঁজ, বা পানি বের হয়ে গড়িয়ে পড়া। (হেদায়া-১/১০)
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
إِنَّمَا الْوُضُوءُ مِمَّا خَرَجَ ، وَلَيْسَ مِمَّا دَخَلَ
শরীর থেকে যা কিছু বের হয় এ কারণে অযু ভেঙ্গে যায়, প্রবেশের দ্বারা ভঙ্গ হয় না। (সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী ৫৬৮)
أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ إِذَا رَعَفَ، انْصَرَفَ فَتَوَضَّأَ
আব্দুল্লাহ বিন উমর রাযি.-এর যখন নাক দিয়ে রক্ত ঝরতো, তখন তিনি ফিরে গিয়ে অযু করে নিতেন। (মুয়াত্তা মালিক ১১০)
ثم المراد بالخروج من السبيلين مجرد الظهور وفي غيرهما عين السيلان ولو بالقوة، لما قالوا: لو مسح الدم كلما خرج ولو تركه لسال نقض وإلا لا
যার সারমর্ম হলো কেউ রক্তকে বের হওয়া মাত্রই যখমের মুখ থেকে মুছে নেয়,যদি উক্ত ছেড়ে দেয়া হত,তবে প্রবাহিত হত,এমন প্রকারের যখমের রক্তের কারণে অজু ভেঙ্গে যাবে।নতুবা অজু ভঙ্গ হবে না।
(ফাতাওয়ায়ে শামী ১/১৩৪)
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনাকে উক্ত পিঠের উক্ত জায়গা ধৌত করতে হবেনা।
শুধুমাত্র অযু করে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
(০২)
এতে আপনার নামাজ ভঙ্গ হবেনা।
তবে নামাজের শুরুর যে তাকবিরে তাহরিমা,এটি যেনো ইমামের আগে শেষ না হয়,সেদিকে সর্বোচ্চ খেয়াল রাখতে হবে।
কেননা নামাজের শুরুর যে তাকবিরে তাহরিমা,সেটি ইমামের আগে শেষ হলে তার ইক্তেদাই সহীহ হবেনা।
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 480):
"ولايصير شارعًا بالمبتدأ فقط ك (الله) ولا ب (أكبر) فقط هو المختار، فلو قال: "الله" مع الإمام و "أكبر" قبله، أو أدرك الإمام راكعًا فقال: "الله" قائمًا و "أكبر" راكعًا لم يصح في الأصح؛ كما لو فرغ من (الله) قبل الإمام."
সারমর্মঃ
কেহ যদি তাকবিরে তাহরিমার ক্ষেত্রে ইমামের সাথে "আল্লাহু" বলে,আর "আকবার" শব্দটি ইমামের পূর্বেই বলে,তাহলে সহীহ হবেনা।