আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
137 views
in পবিত্রতা (Purity) by (102 points)
১) পিঠে একটি ফোরার মত হয়েছে।সেখানে খালি চোখে কোনো নাপাকি দেখা যায় নি।কিন্তু হাত দিয়ে স্পর্শ করার পর খুবই সামান্য ভিজা অনুভূত হয়েছে।হাত এ একটু ভেজা লেগেছে কিন্তু কোনো তরল খালি চোখে দেখা যায় নি।তাও আমি হাত ধুয়ে নিয়েছি। ওই ফোঁড়া তে কোনো নাপাকি গড়িয়ে পড়া তো দূরের কথা দেখাই যাচ্ছে না কেবলমাত্র হাত দিয়ে স্পর্ষ করায় একটু ভেজা মনে হয়েছে।এখন নামাজ পড়তে হলে কি পিঠের কি জায়গা ধুতে হবে?

২) মসজিদে নামাজ আদায়ের সময় ঈমাম সাহেব যখন সিজদায় যান আর জখন সিজদা থেকে উঠেন তখন আল্লাহু আকবার অনেক লম্বা টেনে পড়েন।পিছনে মুসল্লি আল্লাহু আকবার পড়লে অনেক সময় দেখা যায় ইমাম টেনে পড়ায় আমার আল্লাহু আকবার বলা শেষ কিন্তু ইমামের শেষ হয় নি। সিজদা থেকে উঠার সময় ইমামের আগে আল্লাহু আকবার বললে কি নামাজ ভঙ্গ হবে?

1 Answer

0 votes
by (566,340 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
শরীয়তের বিধান মতে অযু ভেঙ্গে যাওয়ার অন্যতম একটি কারন হলো  রক্ত, পূঁজ, বা পানি বের হয়ে গড়িয়ে পড়া। (হেদায়া-১/১০)

আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত,  নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
إِنَّمَا الْوُضُوءُ مِمَّا خَرَجَ ، وَلَيْسَ مِمَّا دَخَلَ
শরীর থেকে যা কিছু বের হয় এ কারণে অযু ভেঙ্গে যায়, প্রবেশের দ্বারা ভঙ্গ হয় না। (সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী ৫৬৮)

أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ إِذَا رَعَفَ، انْصَرَفَ فَتَوَضَّأَ
আব্দুল্লাহ বিন উমর রাযি.-এর যখন নাক দিয়ে রক্ত ঝরতো, তখন তিনি ফিরে গিয়ে অযু করে নিতেন। (মুয়াত্তা মালিক ১১০)

ثم المراد بالخروج من السبيلين مجرد الظهور وفي غيرهما عين السيلان ولو بالقوة، لما قالوا: لو مسح الدم كلما خرج ولو تركه لسال نقض وإلا لا

যার সারমর্ম হলো  কেউ রক্তকে বের হওয়া মাত্রই যখমের মুখ থেকে মুছে নেয়,যদি উক্ত ছেড়ে দেয়া হত,তবে প্রবাহিত হত,এমন প্রকারের যখমের রক্তের কারণে অজু ভেঙ্গে যাবে।নতুবা অজু ভঙ্গ হবে না।
(ফাতাওয়ায়ে শামী ১/১৩৪)

বিস্তারিত জানুনঃ 

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনাকে উক্ত পিঠের উক্ত জায়গা ধৌত করতে হবেনা।
শুধুমাত্র অযু করে নামাজ আদায় করতে পারবেন। 

(০২)
এতে আপনার নামাজ ভঙ্গ হবেনা।

তবে নামাজের শুরুর যে তাকবিরে তাহরিমা,এটি যেনো ইমামের আগে শেষ না হয়,সেদিকে সর্বোচ্চ খেয়াল রাখতে হবে।
কেননা নামাজের শুরুর যে তাকবিরে তাহরিমা,সেটি ইমামের আগে শেষ হলে তার ইক্তেদাই সহীহ হবেনা। 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
  
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 480):
"ولايصير شارعًا بالمبتدأ فقط ك (الله) ولا ب (أكبر) فقط هو المختار، فلو قال: "الله"  مع الإمام و "أكبر"  قبله، أو أدرك الإمام راكعًا فقال: "الله"  قائمًا و "أكبر"  راكعًا لم يصح في الأصح؛ كما لو فرغ من (الله) قبل الإمام."
সারমর্মঃ
কেহ যদি তাকবিরে তাহরিমার ক্ষেত্রে ইমামের সাথে "আল্লাহু" বলে,আর "আকবার" শব্দটি ইমামের পূর্বেই বলে,তাহলে সহীহ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...