উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
,
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী বৈধ যেকোনো সরকারি চাকুরী করা জায়েজ আছে।
তবে যদি এমন চাকরি হয়, যার কাজই হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসূল এবং দীন ও শরীয়ত বিরোধী কাজ করা তাহলে এমন চাকরি করা বৈধ হবে না।
হাদীস শরীফে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করেছেন-
لا طاعة لمخلوق في معصية الخالق،
'সৃষ্টিকর্তা তথা আল্লাহ তা'আলার অবাধ্যাচরণে কোন মাখলুকের আনুগত্য নেই।'
কোন কোন বর্ণনায় এসেছে-
انما الطاعة في المعروف
'ভালো কাজের ক্ষেত্রেই কেবল আনুগত্য হবে।' (সহিহ বুখারী : ৭২৫৭, সহিহ মুসলিম : ১৮৪০, সুনানে তিরমিজি)
,
হারাম কাজের সহায়তার বিভিন্ন স্তর আছে। শরীয়তে সর্ব ধরণের সহায়তা হারাম নয়। বরং সেসব সহায়তা হারাম যাতে সরাসরি হারাম কাজে জড়িত হওয়া হয়। যেমন সুদী লেনদেন করা। সুদী লেনদেন লেখা। সুদী টাকা উসুল করা ইত্যাদি।
عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)
তবে যদি সুদী কাজে জড়িত না হতে হয়, বরং তার কাজের ধরণ এমন হয় যেমন ড্রাইভার, ঝাড়ুদার, দারোয়ান, জায়েজ কারবারে বিনিয়োগ ইত্যাদি হয় তাহলে যেহেতু এসবে সরাসরি সুদের সহায়তা নেই তাই এমনটি করার সুযোগ আছে।
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত অডিটরের প্রধান কাজগুলি সরকারের আর্থিক বিভাগের আর্থিক বিষয়গুলি পর্যালোচনা / নিরীক্ষণ করছে; যা মূলত পূর্ববর্তী বিলিং, ভাউচার, বাজেট ইত্যাদি অডিটিং অন্তর্ভুক্ত করে।
সুতরাং আপনি যেই পোস্টের কথা বলেছেন,সেই পোস্টে অডিটর হিসেবে চাকুরী করা জায়েজ আছে।
দুর্ভাগ্যবশত যেহেতু তার কিছু কার্যক্রমগুলি ব্যাংক / জনসংখ্যার সাথে ঋণ / সুদের সম্পর্কিত নথিগুলি পর্যালোচনা করে।
তাই সেই পর্যালোচনা করা নাজায়েজ হবে।
সুদ সম্পর্কিত নথিগুলি পর্যালোচনা করা থেকে বেঁচে থাকলে এমন চাকরি করতে কোনো সমস্যা নেই।