বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
স্বামী স্ত্রী জামাত করার ক্ষেত্রে
লক্ষ্যণীয় হয়, স্বামী সামনে দাঁড়াবে আর স্ত্রী পিছনে দাঁড়াবে। একদম সমান
সমান দাঁড়াবে না। যদি একদম বরাবর দাঁড়ায় তাহলে নামায হবে না। যদি স্বামীর পায়ের
গোড়ালীর পিছনে দাঁড়ায়, তাহলেই ইক্তিদা সহীহ হবে।
আর সাথে যদি পুরুষ মুক্তাদীও হয়,তাহলে পুরুষ মুক্তাদি একজন হলে ইমামের ডান দিকে দুজন হলে
পিছনে দাঁড়াবে ৷ মহিলা মুক্তাদিগন পুরুষ মুক্তাদিগনেরও পিছনে দাঁড়াবে ৷
আনাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ও আমার পরিবারের একজন মহিলাকে নিয়ে নামায
পড়েছেন। তখন আমাকে তাঁর ডান পাশে এবং ঐ মহিলাকে পিছনে দাঁড় করিয়েছেন। সুনানে
নাসায়ী ১/৯২; আলমুজামুল আওসাত, তবারানী
৪৬১৷
,
বিস্তারিত জানতে
https://ifatwa.info/15124/
★সুতরাং
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্ত্রী স্বামীর পিছনে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করবে।
,
রমজান মাস ব্যতিত বিতর নামাজ জামা'আতের সাথে আদায় করা মাকরুহ।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে
স্বামী স্ত্রী বিতরের নামাজ একত্রে বাসায় জামাতের সাথে আদায় করতে পারবেনা।
,
حاشية رد المختار على الدر المختار (2 / 48):
"الذي يظهر أن جماعة الوتر تبع
لجماعة التراويح وإن كان الوتر نفسه أصلاً في ذاته؛ لأن سنة الجماعة في الوتر إنما
عرفت بالأثر تابعة للتراويح على أنهم اختلفوا في أفضلية صلاتها بالجماعة بعد
التراويح كما يأتي".
সারমর্মঃ
বিতরের জামা'আত এটি তারাবিহ এর জামা'আতের
তাবে',,,,
الفتاوى الهندية (4 / 21):
"وَيُوتِرُ بِجَمَاعَةٍ فِي
رَمَضَانَ فَقَطْ عَلَيْهِ إجْمَاعُ الْمُسْلِمِينَ، كَذَا فِي التَّبْيِينِ
الْوِتْرُ فِي رَمَضَانَ بِالْجَمَاعَةِ أَفْضَلُ مِنْ أَدَائِهَا فِي مَنْزِلِهِ وَهُوَ
الصَّحِيحُ ، هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ"
সারমর্মঃ
শুধু রমজান মাসে বিতর নামাজ জামা'আতের সাথে আদায় করার উপর উম্মাহ একমত পোষন করেছেন। রমজান
মাসে বিতর জামা'আতের সাথে আদায় করাই উত্তম।
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
১. না, স্বামী,স্ত্রী তাহাজ্জুদ সালাত নিয়মিত জামাতে আদায় করতে করবে না।
বরং তারা একা একা আদায় করবে।
২. একা একি পড়া উত্তম।
৩. রমজান মাস ব্যতিত বিতর নামাজ জামা'আতের সাথে আদায় করা মাকরুহ। তাই রমজান ছাড়া অন্য মাসে একা
একা বেতরের নামাজ পড়বে।
৪.
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি বা আপনার স্ত্রীর মাহরাম ছাড়া অন্য
কেউ নামাজ পড়ালে আপনার স্ত্রীর জন্য উত্তম হলো জামাতে শরীক না হয়ে একা একা নামাজ
পড়া। কারণ, অনেক সময় ইমামের তেলাওয়াত শুনেও মহিলারা ফিতনায় পড়ে।
তবে হ্যাঁ, আপনার স্ত্রী পিছনের ঘরের পর্দা টেনে দিয়ে বা দরজা বন্ধ করে দিয়ে জামাতে
নামাজ পড়লে তার নামাজও সহীহ হয়ে যাবে। শুধু মোটা পর্দা টেনে দিলেও যথেষ্ট হবে।
৫. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি
বা আপনার স্ত্রীর মাহরাম ছাড়া অন্য কেউ নামাজ পড়ালে আপনার স্ত্রীর জন্য উত্তম হলো
জামাতে শরীক না হয়ে একা একা নামাজ পড়া। কারণ, অনেক সময় ইমামের তেলাওয়াত শুনেও মহিলারা
ফিতনায় পড়ে। তবে হ্যাঁ,
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার
স্ত্রী ইমামের পিছনে পর্দার আড়ালে দাঁড়াবে।