আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
288 views
in সালাত(Prayer) by (49 points)
১. স্বামি,স্ত্রী কি তাহাজ্জুদ সালাত জামাতে নিয়মিত জামাতে আদায় করতে পারবে?
২.তাহাজ্জুদ সালাত স্ত্রীর সাথে জামাত করে আদায় করা উত্তম নাকি একাকি পড়াই উত্তম পদ্ধতি?
৩.স্বামি,স্ত্রী কি বিতরের সালাত জামাতে জামাতে আদায় করতে পারবে? রমযান মাস ও অন্যান্য মাসের বিধান কি একই এক্ষেত্রে?
৪. ঘরে ফরয সালাত জামাতে আদায় করতে হবে। এখন পুরুষেরা সামনের কাতারে দাঁড়ালো আর মেয়েরা যদি পিছনের ঘরে আলাদা দাড়িয়ে শরীক হতে পারবে? উল্লেখ্য পুরুষের কাতার যেখানে শেষ হয় সেখান থেকে ৩ফুট দূরে পিছনের ঘরের দরজা।এখন ঐ দরজাটি বন্ধ দিলে বা দরজায় থাকা পর্দাটি টেনে দিলে স্ত্রীর ঘরের কিছু দেখা যায় না।এখন নারীরা কি ঐ দরজার পিছে কাতারে দাড়াতে পারবে? এভাবে দাড়ালে আমার স্ত্রীর সিজদাহর স্থান দরজার কাছাকাছি হয় এবং পর্দা টানা থাকলে ভেতরের অবস্থা দেখা যায় না। শুধু পর্দা টেনে দেয়ায় কি যথেষ্ট হবে নাকি দরজাও বন্ধ করে দিতে হবে?   
৫.আমার স্ত্রী যদি জামাতে সালাত আদায় একমাত্র নারী হিসাবে, যেখানে অন্য পুরুষ থাকবে, তাহলে তাকে কি পর্দার আড়ালে ইমামের ঠিক বরাবর দাড়াতে হবে? নাকি পর্দার আড়ালে ইমামের ডানে বা বায়ে যেখানে সুবিধা সেখানে দাড়িয়েই ইক্তিদা করতে পারবে?

1 Answer

0 votes
by (59,970 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

স্বামী স্ত্রী জামাত করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় হয়, স্বামী সামনে দাঁড়াবে আর স্ত্রী পিছনে দাঁড়াবে। একদম সমান সমান দাঁড়াবে না। যদি একদম বরাবর দাঁড়ায় তাহলে নামায হবে না। যদি স্বামীর পায়ের গোড়ালীর পিছনে দাঁড়ায়, তাহলেই ইক্তিদা সহীহ হবে।

 

আর সাথে যদি পুরুষ মুক্তাদীও হয়,তাহলে পুরুষ মুক্তাদি একজন হলে ইমামের ডান দিকে দুজন হলে পিছনে দাঁড়াবে ৷ মহিলা মুক্তাদিগন পুরুষ মুক্তাদিগনেরও পিছনে দাঁড়াবে ৷

 

আনাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ও আমার পরিবারের একজন মহিলাকে নিয়ে নামায পড়েছেন। তখন আমাকে তাঁর ডান পাশে এবং ঐ মহিলাকে পিছনে দাঁড় করিয়েছেন। সুনানে নাসায়ী ১/৯২; আলমুজামুল আওসাত, তবারানী ৪৬১৷

,

বিস্তারিত জানতে  

https://ifatwa.info/15124/

 

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্ত্রী স্বামীর পিছনে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করবে।

,

রমজান মাস ব্যতিত বিতর নামাজ জামা'আতের সাথে আদায় করা মাকরুহ।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্বামী স্ত্রী বিতরের নামাজ একত্রে বাসায় জামাতের সাথে আদায় করতে পারবেনা।

,

حاشية رد المختار على الدر المختار (2 / 48):

"الذي يظهر أن جماعة الوتر تبع لجماعة التراويح وإن كان الوتر نفسه أصلاً في ذاته؛ لأن سنة الجماعة في الوتر إنما عرفت بالأثر تابعة للتراويح على أنهم اختلفوا في أفضلية صلاتها بالجماعة بعد التراويح كما يأتي".

সারমর্মঃ

বিতরের জামা'আত এটি তারাবিহ এর জামা'আতের তাবে',,,,  

الفتاوى الهندية (4 / 21):

"وَيُوتِرُ بِجَمَاعَةٍ فِي رَمَضَانَ فَقَطْ عَلَيْهِ إجْمَاعُ الْمُسْلِمِينَ، كَذَا فِي التَّبْيِينِ الْوِتْرُ فِي رَمَضَانَ بِالْجَمَاعَةِ أَفْضَلُ مِنْ أَدَائِهَا فِي مَنْزِلِهِ وَهُوَ الصَّحِيحُ ، هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ"

সারমর্মঃ

শুধু রমজান মাসে বিতর নামাজ জামা'আতের সাথে আদায় করার উপর উম্মাহ একমত পোষন করেছেন। রমজান মাসে বিতর জামা'আতের সাথে আদায় করাই উত্তম।    


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!


১. না, স্বামী,স্ত্রী তাহাজ্জুদ সালাত নিয়মিত জামাতে আদায় করতে করবে না। বরং তারা একা একা আদায় করবে।

২. একা একি পড়া উত্তম।

৩. রমজান মাস ব্যতিত বিতর নামাজ জামা'আতের সাথে আদায় করা মাকরুহ। তাই রমজান ছাড়া অন্য মাসে একা একা বেতরের নামাজ পড়বে।

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি বা আপনার স্ত্রীর মাহরাম ছাড়া অন্য কেউ নামাজ পড়ালে আপনার স্ত্রীর জন্য উত্তম হলো জামাতে শরীক না হয়ে একা একা নামাজ পড়া। কারণ, অনেক সময় ইমামের তেলাওয়াত শুনেও মহিলারা ফিতনায় পড়ে। তবে  হ্যাঁ, আপনার স্ত্রী পিছনের ঘরের পর্দা টেনে দিয়ে বা দরজা বন্ধ করে দিয়ে জামাতে নামাজ পড়লে তার নামাজও সহীহ হয়ে যাবে শুধু মোটা পর্দা টেনে দিলেও যথেষ্ট হবে।

৫. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি বা আপনার স্ত্রীর মাহরাম ছাড়া অন্য কেউ নামাজ পড়ালে আপনার স্ত্রীর জন্য উত্তম হলো জামাতে শরীক না হয়ে একা একা নামাজ পড়া। কারণ, অনেক সময় ইমামের তেলাওয়াত শুনেও মহিলারা ফিতনায় পড়ে। তবে  হ্যাঁ,  প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার স্ত্রী ইমামের পিছনে পর্দার আড়ালে দাঁড়াবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 145 views
0 votes
1 answer 157 views
...