আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
248 views
in পবিত্রতা (Purity) by (17 points)
১. আমি কোনো এক জায়গায় পড়েছিলাম কোনো নাপাক কাপড় ৩ বার একত্রে ধুয়ে পবিত্র না করা হলেও ব্যবহার কালীন সময়ে পরবর্তী ৩ বার ধোয়া হলে তা পাক হবে,এটি কি সত্য?

২. ১ম কাপড় নাপাক,২য় কাপড়ে সরাসরি কোনো নাপাক লাগেনি,কিন্তু দুটো কাপড় এক বালতিতে একত্রে ধুয়ে ফেলা হয়েছে,এখন ২য় কাপড় টি কি ৩ বার ই ধুতে হবে নাকি ১ বার ধুলেই যথেষ্ট হবে যেহেতু শুধু নাপাক পানি লেগেছে?

৩. কাপড়ে কতটুকু নাপাকি লাগলে তা নিয়ে নামাজ হবে? (মনী,মযি ইত্যাদির ক্ষেত্রে)
৪. আমার পায়জামার ফিতার অগ্রভাগে কিছুটা মযি লেগেছে বলে সন্দেহ আমার,এখন কি পুরো কাপড় টাই ধুতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (566,400 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

عَمْرُو بْنُ مَيْمُونٍ، قَالَ: سَأَلْتُ سُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ [ص:56] فِي الثَّوْبِ تُصِيبُهُ الجَنَابَةُ، قَالَ: قَالَتْ عَائِشَةُ: «كُنْتُ أَغْسِلُهُ مِنْ ثَوْبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ يَخْرُجُ إِلَى الصَّلاَةِ، وَأَثَرُ الغَسْلِ فِيهِ» بُقَعُ المَاءِ

অনুবাদ- আমার বিন মাইমুন রহঃ সুলাইমান বিন ইয়াসার রাঃ কে বীর্য লাগা কাপড়ের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,হযরত আয়শা রাঃ বলেছেন, “আমি রাসূল সাঃ এর কাপড় থেকে তা ধুয়ে ফেলতাম তারপর তিনি নামাযের জন্য বের হতেন এমতাবস্থায় যে,কাপড়ে পানির ছাপ লেগে থাকতো। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-২৩১, ২২৯}

অন্যান্য হাদীসে এসেছে-

يَا عَمَّارُ إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ: مِنَ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ وَالْقَيْءِ وَالدَّمِ وَالْمَنِيِّ

আম্মার বিন ইয়াসার রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-নিশ্চয় ৫টি কারণে কাপড় ধৌত করতে হয়, যথা-১-পায়খানা, ২-প্রশ্রাব, ৩-বমি, ৪-রক্ত, ৫-বীর্য। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৪৫৮}

★নাপাক বস্তু পবিত্র করার পদ্ধতিঃ

পবিত্রকরণ এর দিক দিয়ে নাজাসত আবার দুই প্রকারঃ যথা-

(ক) দৃশ্যমান নাজাসত

(খ)অদৃশ্যমান নাজাসত

(ক)কাপড়ে প্রথম প্রকার তথা দৃশ্যমান নাজাসত লাগলে সেই নাজাসতকে দূর করে দিলেই কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে।এক্ষেত্রে নাজাসত দূর করতে ধৌত করার কোনো পরিমাণ নেই।যতবার ধৌত করলে নাজাসত দূর হবে ততবারই ধৌত করতে হবে।যদি একবার ধৌত করলে তা চলে যায় তবে একবারই ধৌত করতে হবে।

(খ)কাপড়ে দ্বিতীয় প্রকার তথা অদৃশ্যমান নাজাসত লাগলে, কাপড়কে তিনবার ধৌত করে তিনবারই নিংড়াতে হতে।এবং শেষ বার একটু শক্তভাবে নিংড়ানো হবে যাতে করে পরবর্তীতে আর কোনো পানি বাহির না হয়।(ফাতাওয়ায়ে হাক্কানিয়া;২/৫৭৪,জা'মেউল ফাতাওয়া;৫/১৬৭) 

আরো জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/118
 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
মূলত ব্যবহারের জন্যই কাপড় পাক করা হয়।
এখন কেহ যদি সেই নাপাক কাপড় ধোয়ার সময় শরয়ী নীতিমালা মেনে পাক না করে,তবে ব্যবহারের আগে শরয়ী নীতিমালা (পুরো কাপড় ৩ বার ধোয়া,আর প্রত্যেকবার নিংড়ানো) মেনে পাক করে সেই কাপড় ব্যবহার করে,তাতে সমস্যা নেই।
,
পাক করার পরেই যেহেতু তাহা পরিধান করা হচ্ছে,তাই এটি সমস্যাকর নয়।
,
(০২)
নাপাক কাপড়ের সাথে এই ২য় কাপড়টি ধোয়ার কারনে সেটিও নাপাক হয়ে গিয়েছে। 
তাই এই ২য় কাপড় কেও ৩ বার ধৌত করতে হবে।
,
(০৩)
এক দিরহাম (৫ টাকার পয়সা) সমপরিমাণ থেকে কম হলে সেটি সহকারে নামাজ আদায় করলে নামাজ হয়ে যাবে।

(০৪)
ফিতার উক্ত স্থান ৩ বার ধৌত করে প্রত্যেকবার নিংড়ানো যথেষ্ট। 
তবে এই পানি যেনো পায়জামার অন্য স্থানে গড়িয়ে না আসে,সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (17 points)
১ ন প্রশ্নের ক্ষেত্রে আরিকটু বিস্তারিত বলি,আমি বুঝিয়েছি যে ৩ বার একাধারে পবিত্র করা হয়নি,কিন্তু আমি এরপর কাপড়টা ৩ বার পরিধান করে ৩ বার ধৌত করেছি,এভাবে কি মোট ৩ বার ধুলে পাক হবে নাকি একত্রে ৩ বার ই ধোয়া লাগবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...