আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (33 points)
edited by
খবরের কাগজ, অথবা অনেক বইয়ের কাগজ ছিড়ে আমরা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে থাকি। যেমন ধরুন বাজারে চানাচুর খেতে গেলেও খবরের কাগজ কিংবা বইয়ের কাগজ ছিড়ে ব্যবহার করা হয়।
শুধু চানাচুর না, জীবনের অনেক কাজে আমরা কাগজ ব্যবহার করি।

কিন্তু এই খবরের কাগজ বা বইয়ের কাগজে অনেক পবিত্র নাম লিখা থাকে যেমন
আব্দুর রহমান, হাসান আহমাদ, শফিউল্লাহ্।

এরকম আরোও অনেক অনেক নাম থাকে কাগজে লিখা।
এই যে কাগজের মধ্যে নাম লিখা থাকে, আমরা জেনে শুনে অথবা কেউ না জেনেও কাগজগুলি ব্যবহার করি।

প্রশ্ন--১:
উপরের বর্নিত ব্যাখ্যা জেনেশুনে কেউ এরকম কাজ ব্যবহার করলে তার ঈমান চলে যাবে বা বড় গুনাহ হবে কি?
প্রশ্ন --২:
যারা জানে না, তাদের ও কি সমান গুনাহ হবে?

প্রশ্ন--৩:
আজ আমি একটি কাগজ ব্যবহার করলাম পাতিলের নিচে, কারন ওই পাতিলের দাগ যাতে ফ্লোরে না লাগে।
এজন্য কাগজ ব্যবহার করলাম।
কিন্তু আমি ওই কাগজ পাতিলের নিচে দেয়ার আগেই লক্ষ্য করেছিলাম যে " ওই কাগজে বাংলাতে অনেক কিছু লিখা। তার মধ্যে একজন ব্যক্তির নাম ও লিখা ছিলো "শফিউল্লাহ্" নাম লিখা ছিলো।

যেহেতু শফিউল্লাহ্ নাম একটি পবিত্র নাম (এর অর্থ আপনারা উত্তম জানেন যদিও বললাম না)।

আমি শফিউল্লাহ্ নাম লিখা দেখার পরেও যে, আমি ওই কাগজ টি ব্যবহার করলাম। এতে আমার ঈমান চলে যাবে কি?
(কেননা, আমি দেখ শুনে, ওই কাগজটি ব্যবহার করেছিলাম)

(বি:দ্র: শফিউল্লাহ্ = আল্লহ্ এর বান্দা শফি। এরকম অর্থ দাঁড়ানো হয়, হয়ত)

1 Answer

0 votes
by (573,630 points)
بسم الله الرحمن الرحيم 
জবাবঃ-


কুরআন শরিফ, হাদীস,আল্লাহ ও রাসুলুল্লাহ সাঃ এর নামের সম্মান বজায় রাখা জরুরি । 

হাদীস শরীফে হয়েছেঃ

وَعَنْ عُمَرَ بنِ الخَطَّابِ رضي الله عنه: أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «إِنَّ اللهَ يَرْفَعُ بِهَذَا الكِتَابِ أَقْوَاماً وَيَضَعُ بِهِ آخرِينَ».

উমার ইবনে খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “মহান আল্লাহ এই গ্রন্থ (কুরআন মাজীদ) দ্বারা (তার উপর আমলকারী) জনগোষ্ঠীর উত্থান ঘটান এবং এরই দ্বারা (এর অবাধ্য) অন্য গোষ্ঠীর পতন সাধন করেন।”
মুসলিম ৮১৭, ইবনু মাজাহ ২১৮, আহমাদ ২৩৩, দারেমী ৩৩৬৫

ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,

ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."

তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন।(মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
তার ঈমান চলে যাবেনা,তবে জেনে শুনে দেখে এমনটি করলে বেয়াদবি হবে।
,
(০২)
না,তাদের ক্ষেত্রে গুনাহ নেই।
,
(০৩)
 شَفِيع ج شُفَعَاء [شفع]
[শাফী'] শব্দের অর্থঃ  
শাফাআতকারী
সুপারিশকারী
মধ্যস্থতাকারী
অগ্রক্রয়ের অধিকারী
pre-emptor

সুতরাং শফিউল্লাহ শব্দের অর্থ দাড়ায়,আল্লাহর শাফায়াতকারী,সুপারিশকারী।

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...