আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
79 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম, আমি বিয়ের ব্যাপারে একজনের জন্য এস্তেখারা করেছিলাম, স্বপ্নে তেমন কিছুই দেখি নাই, ওরা বিয়ের ব্যাপারে খুবই আগ্রহী ছিল, এস্তেখারা এর পর ওরা আরো আগায় আসে।
কিন্ত (১) ওদের ফ্যামিলির কিছু পারিবারিক ঝামেলা( বড় ভাই এর বউ এর অন্যদিকে টান থাকায় নিজ ইচ্ছায় চলে গেছে ফিরাতে চাইলেও ফিরে নাই, আর এক বোন কিছুটা মেন্টালি চ্যালেঞ্জড তাই বিয়ে হয়েও সংসার টা করতে পারেননি এখন বাসায় থাকেন)

(২) ছেলেটা এমনি ভালো সৎ উপার্জনক্ষম কোনো বাজে নেশা নেই বাইরে চাকুরী করে কিন্তু তার একটু রাগ বেশি, ও কিছুটা ইন্ট্রোভার্ট  হওয়ায় আমার পরিবার আর আগাতে চায় না কিন্তু মন্তব্যে রেখে দেয়।  কয়েক সপ্তাহ পর ছেলেটা নিজ আগ্রহে আমার সাথে যোগাযোগ করে, সে ব্যাপারগুলা বুঝতে পারে এবং তার ও ব্যাপারগুলা সে ঠিক করার সর্বাত্মক চেষ্টা করবে এবং আরো বিনয়ী হবে এরকম প্রতিশ্রুতি দেয় সে যেখানে চাকুরী করে বিয়ের পর সেখানে থাকবে, আমাকে একবার ভেবে মতামত জানতে বলে।... তার কথাগুলো শুনে আমার পজিটিভ মনে হয়েছে, আর মনে হয় আমি সেগুলি অ্যাডজাস্ট করে নিতে পারবো।... আমার মন থেকে এইবার পুরোপুরি মতামত চলে আসে। কিন্তু সুন্নাহর কথা মাথায় রেখে আমি আরো ইস্তেখারা করতে চাচ্ছি...

সবকিছু বিষয়ে খোলাখোলি কথা বলে আমার মন এখন পুরোপুরি চাইতেছে।

এখন আমার প্রশ্ন হলো আর একবার ইস্তেখারা করা যাবে??? নাকি আগের এস্তেখারার ই এটা পজিটিভ রেজাল্ট বলে ধরে নেব?? নাকি এখনকার এই পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে আবার একবার এস্তেখারা করে নেব???একটু পরামর্শ পেলে উপকৃত হতাম।

1 Answer

0 votes
by (684,920 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 
জবাবঃ-


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি ইস্তেখারা আরো করতে পারেন,এক্ষেত্রে একাধিকবার ইস্তেখারা করায় কোনো সমস্যা নেই।

আপনি চাইলে বিবাহে এগিয়ে যেতে পারেন,এতেও কোনো সমস্যা নেই।    

তবে যেহেতু রাসুল সাঃ কুফু মিলাইতে বলেছেন,তাই সেই ছেলের সাথে আপনার কুফু মিলে কিনা,সে বিষয়টি মাথায় রেখে এগোনোর পরামর্শ থাকবে।
,   
রাসুল সাঃ কুফু মিলাইতে বলেছেনঃ
 
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)!
(সহীহ বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)

কুফু সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ  https://www.ifatwa.info/4541/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 170 views
0 votes
1 answer 211 views
0 votes
1 answer 45 views
...