আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
139 views
in সালাত(Prayer) by (21 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম

“তোমাদের কেউ যখন সালাত পড়ে, তখন সে যেন তার সামনে দিয়ে কাউকে অতিক্রম করতে না দেয়। যদি সে অস্বীকার করে (বাধা মানতে না চায়) তবে সে যেন তার সাথে লড়াই করে। কেননা তার সাথে তার সঙ্গী শয়তান রয়েছে।" (সহিহ মুসলিম, হা/৫০৬)

এই হাদিসের ব্যাখ্যা ঠিক বুঝতে পারছি না।এ দ্বারা কি এটা বুঝানোর হচ্ছে যে, আমি নামাজরত অবস্থায় কেউ আমার সামনে দিয়ে গেলে আমি নামার ভেঙে হলেও তাকে যেতে বাধা দেব?
জাযাকাল্লাহু খইরূন

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীসটি হলোঃ-

حَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ صَدَقَةَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا كَانَ أَحَدُكُمْ يُصَلِّي فَلاَ يَدَعْ أَحَدًا يَمُرُّ بَيْنَ يَدَيْهِ فَإِنْ أَبَى فَلْيُقَاتِلْهُ فَإِنَّ مَعَهُ الْقَرِينَ " .

হারূন ইবনু আবদুল্লাহ ও আবদুল্লাহ ইবনু রাফি (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ তোমাদর কেউ যখন সালাত আদায় করে, সে যেন নিজের সামনে দিয়ে কাউকে অতিক্রম করতে না দেয়। যদি সে বিরত না হয়, তবে (সালাত আদায়কারী) তার (অতিক্রমকারীর) বিরুদ্ধে (লড়াই করবে) অস্ত্র ধারণ করবে। কেননা তার সাথে শয়তান রয়েছে। (মুসলিম ১০১৭.ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০১১, ইসলামিক সেন্টারঃ ১০২২)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এখানে মূলত নামাজির সামনে কেউ অতিক্রম করলে তাকে নামাজের অবস্থানে থেকেই প্রতিহত করার চেষ্টা করার,কঠোরতা করার আদেশ করা হয়েছে।
যেটিও মূলত মুস্তাহাব কাজ।
এটি ফরজ ওয়াজিব জাতীয় নয়।   
নামাজ ভেঙ্গে দিয়ে বাধা দেওয়া কোনোভাবেই জায়েজ হবেনা।
নামাজ ঠিক রেখে নামাজের স্থান থেকেই চেষ্টা চালাবে।

মুসলিম শরীফের ব্যাখ্যা গ্রন্থ মিনহাজ কিতাবে রয়েছেঃ

معنى " يدرأ ": يدفع، وهذا الأمر بالدفع أمر ندب، وهو ندب متأكد، ولا أعلم أحدا من العلماء أوجبه، بل صرح أصحابنا وغيرهم بأنه مندوب غير واجب. قال القاضي عياض: وأجمعوا على أنه لا يلزمه مقاتلته بالسلاح، ولا ما يؤدي إلى هلاكه، فإن دفعه بما يجوز فهلك من ذلك فلا قود عليه باتفاق العلماء، 
وكذا اتفقوا على أنه لا يجوز له المشي إليه من موضعه ليرده، وإنما يدفعه ويرده من موقفه؛ لأن مفسدة المشي في صلاته أعظم من مروره من بعيد بين يديه، وإنما أبيح له قدر ما تناله يده من موقفه، ولهذا أمر بالقرب من سترته، وإنما يرده إذا كان بعيدا منه بالإشارة والتسبيح. 
সারমর্মঃ 
এই হুকুমটি তাকিদের সাথে মুস্তাহাব।
কেউ এটিকে ওয়াজিব বলেননি।
বরং আমাদের উলামায়ে কেরামগন বলেছেন যে এটি মুস্তাহাব, ওয়াজিব নয়।
এক্ষেত্রে তার সাথে হাতিয়ার নিয়ে যুদ্ধ করাও জরুরি নয়।    
অনুরুপ ভাবে সকল উলামায়ে কেরামগন একমত যে তার জন্য নামাজের স্থান থেকে অতিক্রম করে গিয়ে বাধা দেওয়া জায়েজ নেই।
নিজ অবস্থান থেকেই বাধা দিবে।
নিজ স্থান থেকে হাত যতদুর যায়,ততটুকু হাত প্রসারিত করতে পারবে।  


আউনুল মা'বুদ গ্রন্থে আছেঃ
فإن أبى فليقاتله) أي يعالجه ويعنف في دفعه عن المرور بين يديه 
সারমর্মঃ
অর্থাৎ চেষ্টা করবে,কঠোরতা করবে।  

হাশিয়াতুস সানাদি গ্রন্থে আছেঃ
  ( فليقاتله ) حملوه على أشد الدفع
সারমর্মঃ
কঠিম ভাবে প্রতিহত করবে।

এখানে আড়াল দ্বারা সুতরাকে বুঝানো হয়েছে। তাই যে মুসল্লীর সামনে কোন সুতরাহ্ (সুতরা) নেই সেক্ষেত্রে বাধা দেয়া বা মারামারি করা যৌক্তিক নয়।

ইমাম নাবাবী রাহঃঃ বলেন, এসব ঐ ব্যক্তির জন্য যে সলাতে অবহেলা করে না বরং সতর্কতা অবলম্বন করে এবং সুতরার সামনে সলাত আদায় করে। অথবা এমন স্থানে সলাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করে যেখানে তার সম্মুখ দিয়ে কেউ যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...