بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/9493/ নং ফাতওয়াতে আমরা উল্লেখ
করেছি যে, তাসবীর বা ফটো নাজায়েজ , তাই
সেই ভিত্তিতে ভিডিও,কার্টুন দেখাও নাজায়েজ।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর(রা.)থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
عَنْ
نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَخْبَرَهُ:
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " إِنَّ
الَّذِينَ يَصْنَعُونَ هَذِهِ الصُّوَرَ يُعَذَّبُونَ يَوْمَ القِيَامَةِ، يُقَالُ
لَهُمْ: أَحْيُوا مَا خَلَقْتُمْ "
রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন,যারা ফটো বানায়, কিয়ামতের দিন তাদের শাস্তি
দেয়া হবে এবং তাদের উদ্দেশ্যে বলা হবে,যা তোমরা বানিয়েছ তাতে
জীবন দাও।[সহীহ বুখারী-৫৯৫১]
আরো জানুনঃ https://www.ifatwa.info/2253
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَمِنَ
النَّاسِ مَن يَشْتَرِي لَهْوَ الْحَدِيثِ لِيُضِلَّ عَن سَبِيلِ اللَّهِ بِغَيْرِ
عِلْمٍ وَيَتَّخِذَهَا هُزُوًا ۚ أُولَٰئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ مُّهِينٌ [٣١:٦]
একশ্রেণীর লোক আছে যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে
গোমরাহ করার উদ্দেশে অবান্তর কথাবার্তা সংগ্রহ করে অন্ধভাবে এবং উহাকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ
করে। এদের জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি। [সূরা লুকমান-৬]
★কার্টুনও যেহেতু অবান্তর ও অপ্রয়োজনীয় বিষয়ের শামিল
তাই তা দেখা জায়েজ হবে না।
★ইহা ছাড়াও কার্টুন ইত্যাদিতে গান বাজনা, বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার থাকে।
হাদীস শরীফে
এসেছেঃ
عَنِ
ابْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: الدُّفُّ حَرَامٌ،
وَالْكُوبَةُ حَرَامٌ، وَالْمِزْمَارُ حَرَامٌ
হযরত আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, দফ হারাম। বাদ্যযন্ত্র হারাম। মদের পেয়ালা হারাম।
বাঁশী হারাম। [সুনানে সুগরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-৩৩৫৯,
সুনানে কুরবা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-২১০০০]
গান বাজনা হারাম,এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
https://ifatwa.info/9030/
উপরোক্ত কারণ ছাড়াও কার্টুন দেখাতে অযথা সময় নষ্ট
এবং বিজাতীয় সংস্কৃতিতে ভরপুর থাকায় তা কখনো জায়েয হবে না।
*ঘরে প্রাণীর ছবি, কার্টুন,
প্রতিকৃতি, মূর্তি ইত্যাদি সংরক্ষণ করা হারাম।
যে ঘরে এসব থাকে সে ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না। এ মর্মে একাধিক হাদিসে বর্ণিত
হয়েছে। যেমন: ▪আবু তালহা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
لَا
تَدْخُلُ الْمَلَائِكَةُ بَيْتًا فِيهِ كَلْبٌ، وَلَا صُورَةٌ
“ফেরেশতাগণ
ঐ ঘরে প্রবেশ করে না, যে ঘরে
কুকুর অথবা ছবি থাকে। (সুনানে আন-নাসায়ী হা/৫৩৪৭-সহিহ)
কার্টুনে তো মানুষের চেহারা বিকৃতি করা হয়। মানুষের
চেহারা তুলিতে বিকৃতি, পেন্সিলে
বিকৃতি বা ডিজাটালাইজেশনের মাধ্যমে বিকৃতি, কম্পিউটারে এডিট করে
বিকৃতি এবং মানুষের সরাসরি ফিজিক্যাল বিকৃতি করা সবগুলো ইসলামে নিষেধ। আল্লাহর রাসূল
বলেছেন, চেহারা বিকৃতির দ্বারা মানুষের যে মর্যদা, তা হানী হয়। অমুসলিম বা শত্রুর চেহারাও বিকৃতি করা, কার্টুন
করা উচিত না। কাজেই এনিমেশন কার্টুনের কাজ কেউ পেশা হিসাবে না নেন। আমরা যদি আল্লাহর
চাহিদাটা বুঝতে পারি যে, কেন ছবি হারাম, তাহলে একদম অপারগ অবস্থা ছাড়া ছবি, কার্টুন আমরা এড়িয়ে
চলবো। এটাই হলো ইসলামের দাবী।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উপরের আলোচনা থেকে একথা স্পষ্ট হয়েছে যে, কার্টুন ব্যবহারের ব্যাপারে ইসলামে নিষেধ করা
হয়েছে। তবে আপনার ভার্সিটির প্রেজেন্টেশনের জন্য যদি কার্টুন ব্যবহার করা আবশ্যক না
হয় তাহলে তা ব্যবহার করা যাবে না কিন্তু বাধ্যতামূলক হলে প্রয়োজনের খাতিরে শুধু ছেলেদের
কার্টুর ব্যবহার করা যেতে পারে।