আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
143 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (48 points)
আসসালামু-আলাইকুম।
আমার ইউনিভারসিটিতে প্রেজেন্টেশনের জন্য নানান সময়ে স্লাইডে ছবি ব্যবহার করতে হয়। এক্ষেত্রে আমি আসল নারীর ছবি ব্যবহার না করে কার্টুন ব্যবহার করলে কি গুনাহ হবে? নিচে লিংক দিয়েছি আমি কেমন কার্টুনের কথা বলছি।
https://www.goodreads.com/book/show/57792312-this-is-how-you-overcome-depression

1 Answer

0 votes
by (57,570 points)
edited by

 

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://ifatwa.info/9493/ নং ফাতওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে, তাসবীর বা ফটো নাজায়েজ , তাই সেই ভিত্তিতে ভিডিও,কার্টুন দেখাও নাজায়েজ।  

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর(রা.)থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,

عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَخْبَرَهُ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " إِنَّ الَّذِينَ يَصْنَعُونَ هَذِهِ الصُّوَرَ يُعَذَّبُونَ يَوْمَ القِيَامَةِ، يُقَالُ لَهُمْ: أَحْيُوا مَا خَلَقْتُمْ "

রাসূলুল্লাহ ইরশাদ করেছেন,যারা ফটো বানায়, কিয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দেয়া হবে এবং তাদের উদ্দেশ্যে বলা হবে,যা তোমরা বানিয়েছ তাতে জীবন দাও।[সহীহ বুখারী-৫৯৫১]

আরো জানুনঃ https://www.ifatwa.info/2253

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ

 

وَمِنَ النَّاسِ مَن يَشْتَرِي لَهْوَ الْحَدِيثِ لِيُضِلَّ عَن سَبِيلِ اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَيَتَّخِذَهَا هُزُوًا ۚ أُولَٰئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ مُّهِينٌ [٣١:٦]

 

একশ্রেণীর লোক আছে যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে গোমরাহ করার উদ্দেশে অবান্তর কথাবার্তা সংগ্রহ করে অন্ধভাবে এবং উহাকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। এদের জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি। [সূরা লুকমান-৬]

কার্টুনও যেহেতু অবান্তর ও অপ্রয়োজনীয় বিষয়ের শামিল তাই তা দেখা জায়েজ হবে না।

ইহা ছাড়াও কার্টুন ইত্যাদিতে গান বাজনা, বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার থাকে।

 হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: الدُّفُّ حَرَامٌ، وَالْكُوبَةُ حَرَامٌ، وَالْمِزْمَارُ حَرَامٌ

হযরত আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, দফ হারাম। বাদ্যযন্ত্র হারাম। মদের পেয়ালা হারাম। বাঁশী হারাম। [সুনানে সুগরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-৩৩৫৯, সুনানে কুরবা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-২১০০০]

গান বাজনা হারাম,এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ  https://ifatwa.info/9030/

উপরোক্ত কারণ ছাড়াও কার্টুন দেখাতে অযথা সময় নষ্ট এবং বিজাতীয় সংস্কৃতিতে ভরপুর থাকায় তা কখনো জায়েয হবে না।

*ঘরে প্রাণীর ছবি, কার্টুন, প্রতিকৃতি, মূর্তি ইত্যাদি সংরক্ষণ করা হারাম। যে ঘরে এসব থাকে সে ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না। এ মর্মে একাধিক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। যেমন: আবু তালহা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:

لَا تَدْخُلُ الْمَلَائِكَةُ بَيْتًا فِيهِ كَلْبٌ، وَلَا صُورَةٌ

ফেরেশতাগণ ঐ ঘরে প্রবেশ করে না, যে ঘরে কুকুর অথবা ছবি থাকে। (সুনানে আন-নাসায়ী হা/৫৩৪৭-সহিহ)

কার্টুনে তো মানুষের চেহারা বিকৃতি করা হয়। মানুষের চেহারা তুলিতে বিকৃতি, পেন্সিলে বিকৃতি বা ডিজাটালাইজেশনের মাধ্যমে বিকৃতি, কম্পিউটারে এডিট করে বিকৃতি এবং মানুষের সরাসরি ফিজিক্যাল বিকৃতি করা সবগুলো ইসলামে নিষেধ। আল্লাহর রাসূল বলেছেন, চেহারা বিকৃতির দ্বারা মানুষের যে মর্যদা, তা হানী হয়। অমুসলিম বা শত্রুর চেহারাও বিকৃতি করা, কার্টুন করা উচিত না। কাজেই এনিমেশন কার্টুনের কাজ কেউ পেশা হিসাবে না নেন। আমরা যদি আল্লাহর চাহিদাটা বুঝতে পারি যে, কেন ছবি হারাম, তাহলে একদম অপারগ অবস্থা ছাড়া ছবি, কার্টুন আমরা এড়িয়ে চলবো। এটাই হলো ইসলামের দাবী।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

উপরের আলোচনা থেকে একথা স্পষ্ট হয়েছে যে, কার্টুন ব্যবহারের ব্যাপারে ইসলামে নিষেধ করা হয়েছে। তবে আপনার ভার্সিটির প্রেজেন্টেশনের জন্য যদি কার্টুন ব্যবহার করা আবশ্যক না হয় তাহলে তা ব্যবহার করা যাবে না কিন্তু বাধ্যতামূলক হলে প্রয়োজনের খাতিরে শুধু ছেলেদের কার্টুর ব্যবহার করা যেতে পারে


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...