আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
339 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম।  আমার একটি প্রশ্ন আছে।।।

আমি কোন আলেম না। সাধারন। নরমাল জব করি। ধর্মীয় বই পড়ি। যেমন বাংলা হাদিস, তাফসির এবং অন্যানো ধর্মীয় গ্রন্থ।আমি দেখি মানুষ নামাজ সহ প্রায় সব ইবাদতে কিছু ভুল করছে।
আমার প্রশ্ন হল আমি যদি এদেরকে ভুলটি ধরিয়ে না দিই তাহলে কি আমার পাপ হবে??

 কিন্তু আমি কোন আলেম না।আর আমি ভুল ধরিয়ে দিলে তারা তিরস্কার করতে পারে আমাকে আরও ধমক দিতে পারে এমনকি সমালোচনা ও করতে পারে। এখনকার মানুষতো আলেমদের কথা শুনে।আর আমার উচ্ছা হলেও আমি বলি না। কারন আমার মুখে দাড়ি নাই।শার্ট প্যান্ট পরা এক যুবক। সমাজেও বড় না, নিচু।

দয়া করে জানাবেন।।

1 Answer

0 votes
by (63,560 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

আল্লাহ তায়ালা বলেন-

كُنتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ وَتُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ ۗ وَلَوْ آمَنَ أَهْلُ الْكِتَابِ لَكَانَ خَيْرًا لَّهُم ۚ مِّنْهُمُ الْمُؤْمِنُونَ وَأَكْثَرُهُمُ الْفَاسِقُونَ

তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির কল্যানের জন্যেই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে। আর আহলে-কিতাবরা যদি ঈমান আনতো, তাহলে তা তাদের জন্য মঙ্গলকর হতো। তাদের মধ্যে কিছু তো রয়েছে ঈমানদার আর অধিকাংশই হলো পাপাচারী। (সূরা আলে ইমরান, আয়াত নং-১১০)

 

হাদীস শরীফে এসেছে-

فَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ أَمَّا هَذَا فَقَدْ قَضَى مَا عَلَيْهِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ رَأَى مِنْكُمْ مُنْكَرًا فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ وَذَلِكَ أَضْعَفُ الإِيمَانِ " .

আবূ সাঈদ (রাঃ) বললেন, ‘এ ব্যক্তি তো কর্তব্য পালন করেছে’ আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি, তোমাদের কেউ যদি অন্যায় কাজ দেখে, তাহলে সে যেন হাত দ্বারা এর সংশোধন করে দেয়। যদি এর ক্ষমতা না থাকে, তাহলে মুখের দ্বারা, যদি তাও সম্ভব না হয়, তাহলে অন্তর দ্বারা (উক্ত কাজকে ঘূণা করবে), আর এটাই ঈমানের নিম্নতম স্তর। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৮৩

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!

 

১. আপনার সামনে যদি কেউ ইবাদতে এমন কোন ভুল করে যাতে ইবাদতে ত্রুটি চলে আসে সেই ক্ষেত্রে তাকে হিকমত, নরম কন্ঠ ও আদাবের সাথে বলতে পারেন। তাকে ভুলটা ধরিয়ে দিতে পারেন। আর যদি মনে করেন যে, ভুল ধরিয়ে দিতে গেলে রাগ করবে বা ফিতনা হবে সেই ক্ষেত্রে চুপ থাকবেন। এতে কোন গুনাহ হবে না ইনশাআল্লাহ। উল্লেখ্য যে, ইসলাম ধর্মে কোন উচু নিচু নেই। সকল মুসলমান আল্লাহ তায়ালার কাছে সমান। তবে আমলের দিক দিয়ে যে যত বেশী তার সম্মান আল্লাহ তায়ালার কাছে তত বেশী।

২. আপনি ব্যক্তি জীবনে ইসলাম মান্য করার চেষ্টা করবেন। আল্লাহ তায়ালা আপনাকে তাওফীক দান করুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...