بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
প্রাপ্ত বয়স্কা
মেয়েদের জন্য শরীয়াতের বিধান হলো, একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়া। বাড়ীতেই অবস্থান করা।
কেননা নবী করীম স. ইরশাদ করেছেন: মহিলা হলো গোপনীয় বস্তু, যখন
সে বাহিরে বের হয় তখন শয়তান তার দিকে দৃষ্টি দেয়; যেন তাকে এবং
তার দ্বারা অন্যদেরকে বিপথগামী করা যায়।(মিরকাত 6/282)
এজন্য ফুকাহায়ে কেরাম মহিলাদের ঘর হতে বের হতে নিষেধ করেছেন।
তারা দ্বীনের প্রয়োজনীয় ইলম যেমন: নামায,রোজা ও অন্যান্য মাস’য়ালা মাহরামের কাছ থেকে
জেনে নিবে। তবে ঘরে শিখানোর মত কোন মাহরাম না থাকলে; যেমন,আজকাল অধিকাংশ অভিভাবকেরই এ অবস্থা যে, তারা তাদের পরিবাস্থদের
দ্বীন শিখাবে তো দুরের কথা তারাই দ্বীন সম্পর্কে অজ্ঞ। ফলে তাদের পরিবারও দ্বীন সম্পর্কে
অজ্ঞই থাকে। এমতাবস্থায় জরুরী মাস’য়ালা শিখার জন্য প্রাপ্ত বয়স্কা মেয়েরা পূর্ণশরঈ
পর্দা করে নিজ এলাকায়, দুরে নয় এমন কোন মাদ্রাসায় গিয়ে ইলম শিখতে
পারবে।
মহিলা মাদ্রাসায় প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের পড়ানোর ক্ষেত্রে পুরুষ
শিক্ষকের শিক্ষকতা অনেক ইসলামী স্কলারদের মতে সম্পুর্ন নাজায়েজ। তবে কিছু কিছু ইসলামী
স্কলারগন কতিপয় শর্তের ভিত্তিতে জায়েজ বলেছেন।
মহিলা মহিলা শিক্ষকের নিকট দ্বীনী ইলম ও বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞানার্জন
করবে- এটাই সব চেয়ে নিরাপদ ও সঠিক পদ্ধতি। কিন্তু যদি মহিলা শিক্ষক না পাওয়া যায় তখন
পর পুরুষের নিকট শর্ত সাপেক্ষে শিক্ষার্জন করা জায়েয আছে। যেমন,
১. নির্জনতা অবলম্বন করা যাবে না।
২.পূর্ণ পর্দা রক্ষা করতে হবে।
৩.নিয়ত শুদ্ব করা।
৪.মাদ্রাসায় যাতায়াতের সময় অভিভাবক সাথে থাকা।
৫.মহিলাকে অন্তরালে থাকতে হবে।
৬.মহিলা কোমল কণ্ঠে কথা বলা থেকে দূরে থাকবে।
৭.তারা উভয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কথা বলবে না
৮.এবং সর্বোপরি ফেতনা থেকে দুরে থাকতে হবে।
৯.ফিতনার বিন্দুমাত্র আশংকা না থাকা,ইত্যাদি।
এ সব শর্ত সাপেক্ষে পরপুরুষের নিকট দ্বীনী ইলম বা দুনিয়াবি প্রয়োজনীয়
বিষয় শিক্ষা অর্জন করা জায়েয আছে।
ইবারত পড়া বা সবক শুনানোর ক্ষেত্রে কমল কন্ঠ পরিহার করতে হবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন:
إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ
فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ
অর্থ:“যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তবে পরপুরুষের সাথে
কোমল ও আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না, ফলে সেই ব্যক্তি কুবাসনা
করে, যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে।” (সূরা আহযাব: ৩২)”
আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন:
https://ifatwa.info/25340/?show=25340#q25340
https://www.ifatwa.info/212
★সুতরাং প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনি ভাই/বোন!
সবচেয়ে উত্তম হলো মেয়েরা মহিলা শিক্ষকের নিকটে পড়বে আর বর্তমান
সময়ে ফেতনা থেকে বাচার জন্য ইহাই সবচেয়ে নিরাপদ পন্থা। তবে যোগ্য মহিলা শিক্ষক না পাওয়া
গেলে বিশেষ প্রয়োজনে পুরুষ শিক্ষকের নিকটেও পড়ার অনুমতি রয়েছে। তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যয়
উপরে উল্লেখিত শর্তসমূহ মেনে চলতে হবে । অন্যথায় তা বৈধ হবে না। কোন পুরুষ শিক্ষক মেয়েদের
সাথে জীবন ঘনিষ্ট কথা বার্তা বা হাস্য রসমূলক কথা বার্তা পরিহার করাই শ্রেয়। কেননা
এতে ফেতনার আশঙ্কা থাকে।