আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
434 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আসসালামুয়ালাইকুম। আমি একাদশ শ্রেণীতে পড়ছি। আমি একজন ছেলে কে ভালবাসি আমরা দুজন ই একই শ্রেণীতে পড়ছি। যখন আমরা relationship এ যাই এটি হালাল নাকি হারাম এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতাম না। গত কয়েক মাস আগে জানতে পেরেছি যে বিয়ে ব্যতীত ননমাহরাম কারো সাথে কথা বলা পর্যন্ত জায়েজ নয়। আমি আগে ইসলাম তেমন জানতাম না জানলে ও ঠিক ভাবে পালন করতাম না পর্দা করতাম না। তবে ইসলাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানছি যত অনেক কিছু শিখছিও মেনে চলার চেষ্টা করছি। কিন্তু আমরা দুজন দুজনের সাথে contact না রেখে থাকতে পারছি না। যখন আমরা জেনেছি যে বিয়ে ব্যতীত ছেলে মেয়ের মধ্যে কোন সম্পর্ক বা যোগাযোগ রাখা ঠিক নয়, আমরা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেই। ও ওর আম্মু কে আমাদের ব্যাপারে জানায় এবং বিয়ে দিয়ে দেয়ার জন্য বলে ওর আব্বার সাথে কথা বলে। কিন্তু ওর আম্মু মানা করে দেয়। তিনি ওকে বলেন যে, আমরা এখন ও ছোট, বড় হলে varsity তে উঠলে যখন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে তখন এই বিষয়ে দেখা যাবে । এছাড়া ওর আম্মু ওকে বলেন, ওদের পরিবারের অবস্থা করোনার পর থেকে ভালো না ওর আব্বা ঋণগ্রস্ত। এসব সমস্যা সমাধানের পর ছাড়া বিয়ে দেয়া সম্ভব নয়। যেহেতু ও ওর বাড়ির বড় ছেলে ওর এসব দায়িত্ব পালন করতে হবে আগে। এরপর আমি ওকে বলি এভাবে যোগাযোগ রাখা সম্ভব নয় এবং কিছু দিন যোগাযোগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু আমরা যোগাযোগ বন্ধ রেখে থাকতে পারছি না। অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। এখন অনেক চিন্তা ভাবনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, যেহেতু relationship এ  থাকা যায়েয না আমরা আপাতত পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে করব । এবং varsity  তে ওঠার পর পরিবারগত ভাবে বিয়ে করব। এখন আমার প্রশ্ন এভাবে বিয়ে করলে আমাদের বিয়েটা কি যায়েয হবে?  আমি অনেক দ্বীধাদনদে ভূগছি। Please আমার প্রশ্নের উত্তর টা তারাতাড়ি দিবেন।

1 Answer

0 votes
by (59,730 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

মাতাপিতার বৈধ আদেশ মানা, তাদের সাথে উত্তম আচরণ করা শরীয়ত কর্তৃক আবশ্যক ঘোষনা করা হয়েছে।

আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَوَصَّيْنَا الْإِنسَانَ بِوَالِدَيْهِ إِحْسَانًا ۖ حَمَلَتْهُ أُمُّهُ كُرْهًا وَوَضَعَتْهُ كُرْهًا ۖ وَحَمْلُهُ وَفِصَالُهُ ثَلَاثُونَ شَهْرًا

আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের আদেশ দিয়েছি। তার মা তাকে কষ্টসহকারে গর্ভে ধারণ করেছে এবং কষ্টসহকারে প্রসব করেছে। তাকে গর্ভে ধারণ করতে ও তার স্তন্য ছাড়তে লেগেছে ত্রিশ মাস।” (সূরা আহকাফ-১৫)

 

আল্লাহ তা'আলা আরও বলেন,

وَقَضَى رَبُّكَ أَلاَّ تَعْبُدُواْ إِلاَّ إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلاَهُمَا فَلاَ تَقُل لَّهُمَآ أُفٍّ وَلاَ تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلاً كَرِيمًا

তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা। (সূরা বনী ইসরাঈল-২৩)

 

সর্বদা পিতা মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা ও তাদের কথা মান্য করা সন্তানের দায়িত্ব৷ আল্লাহ তায়ালা বলেন-

وَقَضَىٰ رَبُّكَ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا ۚ إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُل لَّهُمَا أُفٍّ وَلَا تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلًا كَرِيمًا

তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা। (সূরা বনী ইসরাঈল, ২৩)

 

(অভিভাবক ছাড়া বিবাহ সংক্রান্ত জানুনঃ

 https://ifatwa.info/4801/)

 

নিজে নিজে বিয়ে সম্পর্কে আরো জানুনhttps://ifatwa.info/2730/

 

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

 

. মাতাপিতা সন্তুষ্টি ও অনুমতি নিয়ে সবাইকে অগ্রসর হতে হবে এবং মাতাপিতার সন্তুষ্টিই দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণের উত্তম মাধ্যম। মাতাপিতাকে কষ্ট দিয়ে জীবনে সূখী হওয়া যাবে না। তাছাড়া বৈধ ও ভালো কাজে মাতাপিতার নির্দেশ মান্য করাও ওয়াজিব। পিতা মাতা সাধারণত সন্তানদের থেকে ভালো বুঝেন৷ সর্বদা তারা সন্তানদের কল্যাণ চান৷ বিশেষ করে বিয়ে শাদীর বিষয়ে পিতা মাতার মতকেই প্রাধাণ্য দেওয়া উচিত৷ অন্যথায় অনেক সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়৷ এটা বিয়ের আগে বুঝে আসে না, তবে বিয়ের পরে ঠিকই সবাই বুঝে৷ অনেক ছেলে মেয়ে যারা নিজেদের পছন্দের ছেলে মেয়েকে আবেগবশত বিয়ে করে পরবর্তীতে অনেক কষ্টে আছে৷

 

. কোনো পছন্দের-ছেলে থাকলে যেভাবে হোক পিতা মাতাকে রাজি না করিয়ে তাকে বিয়ে করা উচিৎ নয়৷

 

৩. জাহান্নামের শাস্তি অনেক কঠিন। তাই হারাম রিলেশন থেকে বিরত থাকা চাই। আল্লাহকে ভয় করুন।


৪. পূর্বে অনেক ফাতাওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে,মাতাপিতার সম্মতি ব্যতীত কখনো কোনো মুসলমান যুবক যুবতীর জন্য একা একা বিয়ে করা সমীচীন হবে না,মঙ্গলজনক হবে না। মাতাপিতাকে না জানিয়ে বালিগ ছেলে মেয়ের বিবাহ নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। অনেক উলামায়ে কেরাম অভিভাবকহীন বিয়েকে বাতিল বলে মনে করেন। হানাফি মাযহাব মতে কু'ফু হিসেবে ছেলে মেয়ের সমকক্ষ বা বেশী মর্যাদার অধীকারী হলেই কেবল বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে। নতুবা মেয়ের অভিভাবকের অনুমতির উপর বিয়ে মওকুফ থাকবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (0 points)
আপনি বেশি বেশি কোরআন তেলোয়াত করুন। তাহলে সহজেই ভুলতে পারবেন।হাদীসে আছে রাসুল সাঃ বলেছেন তুমি আল্লাহর ভয়ে যা ত্যাগ দিবে আল্লাহ তার চাইতে উত্তম কিছু অবশ্যই দিবেন।মুসনাদে আহমাদ।
যখনিই ছেলের কথা মনে হবে নামাযে দাড়িযে যাবেন আর দোয়া করবেন।যেন যা আপনার দুনিয়া ও আখেরাতে কল্যান হয় আল্লাহ সেরকম স্বামি মিলিয়ে দেয়

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...