জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
(০১)
শরীয়তের বিধান হলো আকীদা বিশুদ্ধ রেখে স্ত্রী সহবাসের সময় স্ত্রীর অনুমতিক্রমে আযলের অনুমতি রয়েছে।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا یَحِلُّ لَکُمۡ اَنۡ تَرِثُوا النِّسَآءَ کَرۡہًا ؕ وَ لَا تَعۡضُلُوۡہُنَّ لِتَذۡہَبُوۡا بِبَعۡضِ مَاۤ اٰتَیۡتُمُوۡہُنَّ اِلَّاۤ اَنۡ یَّاۡتِیۡنَ بِفَاحِشَۃٍ مُّبَیِّنَۃٍ ۚ وَ عَاشِرُوۡہُنَّ بِالۡمَعۡرُوۡفِ ۚ فَاِنۡ کَرِہۡتُمُوۡہُنَّ فَعَسٰۤی اَنۡ تَکۡرَہُوۡا شَیۡئًا وَّ یَجۡعَلَ اللّٰہُ فِیۡہِ خَیۡرًا کَثِیۡرًا ﴿۱۹﴾
হে ঈমানদারগণ! যবরদস্তি করে নারীদের উত্তরাধিকার হওয়া তোমাদের জন্য বৈধ নয়। তোমরা তাদেরকে যা দিয়েছ তা থেকে কিছু আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রেখো না, যদি না তারা স্পষ্ট খারাপ আচরণ করে। আর তোমরা তাদের সাথে সৎভাবে জীবন যাপন করবে; তোমরা যদি তাদেরকে অপছন্দ কর তবে এমন হতে পারে যে, আল্লাহ যাতে প্রভূত কল্যাণ রেখেছেন তোমরা তাকেই অপছন্দ করছ।
(সুরা নিসা ১৯)
قال الكاساني الحنفي رحمه الله :
" يكره للزوج أن يعزل عن امرأته الحرة بغير رضاها ؛ لأن الوطء عن إنزال سبب لحصول الولد ، ولها في الولد حق ، وبالعزل يفوت الولد ، فكان سببا لفوات حقها " .
انتهى من " بدائع الصنائع " (2/334) .
সারমর্মঃ
স্বামীর জন্য আযাদ স্ত্রীর সাথে আযল করা তার অনুমতি ব্যাতিত মাকরুহ।
কেননা সহবাস সন্তান অর্জনের কারন।
আর স্ত্রীরও এক্ষেত্রে হক রয়েছে।
আর আযলের দ্বারা সন্তান জন্মের বিষয়টি শেষ হয়ে যায়। সুতরাং এটি স্ত্রীর হক নষ্টের কারন।
وقال الخرشي المالكي رحمه الله :
" يجوز للرجل أن يعزل عن زوجته ... إن كانت حرة ويكفي إذنها " .
انتهى من " شرح مختصر خليل " (3/225) .
সারমর্মঃ
স্বামীর জন্য তার স্ত্রী থেকে আযল করা জায়েজ আছে।
যদি স্ত্রী আযাদ হয়,তাহলে তার অনুমতি যথেষ্ট।
وقال المرداوي الحنبلي رحمه الله :
" لا يعزل عن الحرة إلا بإذنها... هذا هو المذهب [يعني مذهب الإمام أحمد] " .
انتهى من " الإنصاف " (8/348) .
সারমর্মঃ
আযাদ স্ত্রী থেকে আযল করা তার অনুমতি ব্যাতিত জায়েজ নেই।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই
প্রতি সহবাসেই আযল করতে স্ত্রীর অনুমতি নিতে হবে।
হ্যাঁ যদি স্ত্রী এভাবে বলে যে তোমার প্রতি সহবাসের ক্ষেত্রে আযলের অনুমতি নিতে হবেনা।
তুমি আযল করতে পারো।
তাহলে প্রতি সহবাসেই আযল করতে স্ত্রীর অনুমতি নিতে হবেনা।
(০২)
সাময়িক জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি (যেমনঃকনডম) ব্যবহার করতে স্ত্রী থেকে অনুমতি নিতে হবে।
কেননা এটিও তার হক নষ্টের শামিল।
,
(০৩)
যেহেতু এটি তার হক নষ্টের শামিল।
তাই স্ত্রীর মৌখিক সম্মতির প্রয়োজন।
কেননা হতেও পারে,যে তিনি ভয়ে বা লজ্জায় নিষেধ করছেননা।
,
(০৪)
এক্ষেত্রে স্ত্রীর হক নষ্টের গুনাহ হবে।
পরবর্তীতে স্ত্রী থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।