আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
143 views
in সালাত(Prayer) by (1 point)
edited by
অনেক সময় ভালোভাবে অজু করার পরও দাঁতে খাবার লেগে থাকে যেটা চোখে পড়ে না। এরপর নামাজ শুরু করে দিলে তখন দাত থেকে খাবার এর কিছু অংশ বা ক্ণা বের হয়।সেক্ষেত্রে করণীয় কি?


সহসহসকসকলসকসকসজসমসমসঙসহসবসজসলসকসৃৃসমসমসনসনস স নসজসজসহসহসহহসহসববসবীহসহহসগসবূহজূকূকূমসমহসহসনসননূমসজসওসপসপডকডজডকসজডনীহূজূজূজূপূকজাজজাজসজজসজসনসনসনসননসনসহসহসহগসনসবাববসনসহাজূেডেরকরমমরন(২০০ শব্দ করার জন্য)

1 Answer

0 votes
by (582,990 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ
https://www.ifatwa.info/9528 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
যে ব্যক্তি নামাযে ইচ্ছাকৃত কিছু খাবে বা পান করবে,তার নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।

ইবনুল মুনযির রাহ বলেন,
" أَجْمَعَ أَهْلُ الْعِلْمِ عَلَى أَنَّ الْمُصَلِّيَ مَمْنُوعٌ مِنْ الْأَكْلِ وَالشُّرْبِ ، وَأَجْمَعَ كُلُّ مَنْ نَحْفَظُ عَنْهُ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ عَلَى أَنَّ على مَنْ أَكَلَ أَوْ شَرِبَ فِي صَلَاةِ الْفَرْضِ عَامِدًا الْإِعَادَةَ "
সমস্ত উলামায়ে কেরাম একমত যে,নামাযে কোনো কিছু খাওয়া বা পান করা নিষিদ্ধ।এবং যে ব্যক্তি নামাযে ইচ্ছাকৃত কিছু খেয়ে ফেলবে বা পান করে ফেলবে,তাকে নামায দোহরাতে হবে।(আল-আওসাত-৫/১০৯)

ইমাম নববী রাহ বলেন,
" وان كان بين أسنانه شيء فابتلعه عمداً .... بطلت صلاته بلا خلاف .فإن ابتلع شيئاً مغلوباً ، بأن جرى الريق بباقي الطعام بغير تعمد منه ، لم تبطل صلاته بالاتفاق " انتهى "
যদি কারো দাতের মধ্যে কিছু লেগে থাকে,এবং সে ইচ্ছাকৃত ঐ জিনিষকে খেয়ে ফেলে,তাহলে তার নামায বাতিল হয়ে যাবে।তবে যদি দাতে লেগে যাওয়া ঐ জিনিষ থুথুর সাথে মিশে যায়,এবং থুথুর পরিমাণ বেশী থাকে,তাহলে তার নামায সর্বসম্মতিক্রমে ফাসিদ হবে না।(আল-মাজমু'-৪/৮৯)

ইবনে কুদামা বলেন
" وَإِنْ بَقِيَ بَيْنَ أَسْنَانِهِ ، أَوْ فِي فِيهِ مِنْ بَقَايَا الطَّعَامِ يَسِيرٌ يَجْرِي بِهِ الرِّيقُ ، فَابْتَلَعَهُ ، لَمْ تَفْسُدْ صَلَاتُهُ ؛ لِأَنَّهُ لَا يُمْكِنُ الِاحْتِرَازُ مِنْهُ "
যদি কারো দাতে কিছু থেকে যায়,যা থুথুর সাথে মিশে যায়,এবং সে গিলে ফেলে,তাহলে তার নামায ফাসিদ হবে না।(আল-মুগনি-৩/২১১)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
নামাযে খাবারের সামান্য কিছু অংশ বাকী থাকে, এবং মুখের ভিতর চলে যায়, তাহলে এতেকরে নামাযের কোনো ক্ষতি হবে না।কিন্তু যদি ছানা বরাবর কোনো জিনিষ দাতে আটকে থাকে, এবং গলার ভিতর চলে যায়, তাহলে তখন নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 167 views
...