পবিত্রতা বিষয়ক,,,,,,

Question

আসসালামু আলাইকুম,,, আমি হোস্টেলে থাকি। আলহমদুলিল্লাহ এখন ওয়াশরুম মোটামুটি পরিস্কার। তাই ওয়াশরুম + বাথরুম  + টয়লেটে যেতে আলাদা জুতা ব্যাবহার করতে হয়। কিন্তু পরে দেখা যায় বাইরে থাকার কারণে আমার জুতা অনেকেই পাড়া দেই। এইটাতেকি কোন সমস্যা হবে??

আর ওয়াশরুম থেকে বের হওয়ার সময় যখন জুতা পরিবর্তন করি তখন আমি খেয়াল করেছি জুতা খুলতে গেলে নিচে পা পড়ে যায়। এইখানে সন্দেহের বিষয় হলো এই একটা টয়লেট কিন্তু অনেকে ব্যবহার করে। অনেকে টয়লেটেই দাড়িয়ে প্রস্রাব করে। তাই পুরোপুরি পরিস্কার রাখা সম্ভব হয় না। আবার দেখা যায় নিজের জুতা পরার সময় নিচে পা পড়ে যায়। এর পর আর পা ধোয়ার সুযোগ থাকে না। এখন এইভাবে কি বিছানায় ওঠা যাবে?? না গেলে আমার করণীয় কি??

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যতক্ষণ না দৃশ্যমান কোনো নাজাসত আপনার জুতায় দেখা যাচ্ছে, ততক্ষণ আপনার জুতাকে অপবিত্র বলা যাবে না।হ্যা, আপনার উচিৎ,সন্দেহ যুক্ত স্থানে জুতা না রেখে বরং জুতাকে এমন কোনো স্থানে রাখবেন, যা সন্দেহ বহির্ভূত হবে। আর সন্দেহযুক্ত স্থানে জুতা রাখলে আপনার উচিৎ ধৌত করে পরিধান করা।তাতেকরে আপনার মনের সন্দেহ দূর হবে।