আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
489 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম

১.চন্দ্র গ্রহণের সময় প্রাকৃতিক গত কারনে গর্ভবতী
মায়েদের সতর্ক রাখে। না রাখলে বেশির ভাগের সন্তান
এর একটা সাইড ইফেক্ট হয় ।সন্তান নাকি বিকলাঙ্গ হয়?

এটা কতটুকু সঠিক??

 আসলেই কি চন্দ্র বা সূর্য গ্ৰহনের কোনো প্রভাব আছে

 গর্ভবতী মায়েদের উপর??
২. বদনজর লেগেছে ভেবে  তা থেকে বাঁচার জন্য পান পাতা চুলায় পুড়ায়  অনেকে instant remedy হিসাবে। এটা কি শিরক???

৩. মায়েরা বাচ্চাদের কপালে কাজল দেয় ,বড় বাসের পিছে জুতা , গাছের ফলের দিকে জুতা রাখেন চোখ যেন না লাগে।  নজরে প্রভাবে রেমেডি হিসেবে উপস্থিত ব্যবহার করছে । এগুলো কি শিরক???

৪. (২,৩ নং  প্রশ্নে) নজর থেকে বাঁচার জন্য এসব মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করলে কি সে শিরক করল? যদিও সে আল্লাহ বিশ্বাস করে কিন্তু এগুলো উপস্থিত প্রতিকার হিসেবে ব্যবহার করে ।

জাযাকুমুল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (567,180 points)
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১) চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণ হলো আল্লাহ তাআলা কর্তৃক নির্ধারিত একটি প্রক্রিয়া। চাঁদ যখন পরিভ্রমণ অবস্থায় কিছুক্ষণের জন্য পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে এসে পড়ে, তখন পৃথিবীর কোনো দর্শকের কাছে কিছু সময়ের জন্য সূর্য আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে যায়। এটাই সূর্যগ্রহণ (Solar eclipse) বা কুসুফ। আর পৃথিবী যখন তার পরিভ্রমণ অবস্থায় চাঁদ ও সূর্যের মাঝখানে এসে পড়ে, তখনই পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে চাঁদ কিছুক্ষণের জন্য অদৃশ্য হয়ে যায়। এটাই চন্দ্রগ্রহণ (Lunar eclipse) বা খুসুফ।
.
সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণ নিয়ে আমাদের সমাজে অনেক কুসংস্কার আছে। ওই সময় খেতে নেই, তৈরি করা খাবার ফেলে দিতে হবে, গর্ভবতী মায়েরা এ সময় যা করেন, তার প্রভাব সন্তানের ওপর পড়ে, চন্দ্র বা সূর্যগ্রহণের সময় যদি গর্ভবতী নারী কিছু কাটাকাটি করেন, তাহলে গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতি হয়—
এটি ভুল বিশ্বাস। এ সময় কোনো নারীকে ঘুম বা পানাহার থেকে বারণ করাও অন্যায়। ইসলামী শরিয়াহ ও বাস্তবতার সঙ্গে এগুলোর কোনো মিল নেই। জাহেলি যুগেও এ ধরনের কিছু ধারণা ছিল। সেকালে মানুষ ধারণা করত যে চন্দ্রগ্রহণ কিংবা সূর্যগ্রহণ হলে অচিরেই দুর্যোগ বা দুর্ভিক্ষ হবে। চন্দ্র বা সূর্যগ্রহণ পৃথিবীতে কোনো মহাপুরুষের জন্ম বা মৃত্যুর বার্তাও বহন করে বলে তারা মনে করত। 
.
বিশ্বমানবতার পরম বন্ধু, মহান সংস্কারক, প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সেগুলোকে ভ্রান্ত ধারণা হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রত্যাখ্যান করেছেন। মুগিরা ইবনু শুবা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পুত্র ইবরাহিমের ইন্তিকালের দিনটিতেই সূর্যগ্রহণ হলে আমরা বলাবলি করছিলাম যে নবীপুত্রের মৃত্যুর কারণেই সূর্যগ্রহণ হয়েছে। 
.
এসব কথা শুনে নবীজি (সা.) বললেন, ‘সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহ তাআলার অগণিত নিদর্শনের দুটি।
কারো মৃত্যু বা জন্মের কারণে চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণ হয় না।’ (সহিহ বুখারি : ১০৪৩) 
.
চন্দ্র বা সূর্যগ্রহণকে আল্লাহ তাআলার কুদরত হিসেবে অভিহিত করে অন্য হদিসে নবীজি (সা.) সাহাবিদের চন্দ্র বা সূর্যগ্রহণের সময় নামাজ আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কোনো লোকের মৃত্যুর কারণে কখনো সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হয় না। তবে তা আল্লাহ তাআলার নিদর্শনগুলোর দুটি। তোমরা সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হতে দেখলে নামাজে দাঁড়িয়ে যাবে। (সহিহ বুখারি : ৯৮৪)
.

حَدَّثَنَا أَصْبَغُ، قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، حَدَّثَهُ عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّهُ كَانَ يُخْبِرُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم. " إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لاَ يَخْسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ، وَلَكِنَّهُمَا آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ، فَإِذَا رَأَيْتُمُوهَا فَصَلُّوا ".

আসবাগ (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, কারো মৃত্যুর বা জন্মের কারণে সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ হয় না। তবে তা আল্লাহর নিদর্শন সমূহের মধ্যে দু’টি নিদর্শন। কাজেই তোমরা যখনই গ্রহণ হতে দেখবে তখনই সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করবে।
(বুখারী ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৯৮৫, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১০৪২)

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، قَالَ حَدَّثَنَا شَيْبَانُ أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلاَقَةَ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، قَالَ كَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ مَاتَ إِبْرَاهِيمُ، فَقَالَ النَّاسُ كَسَفَتِ الشَّمْسُ لِمَوْتِ إِبْرَاهِيمَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لاَ يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ، فَإِذَا رَأَيْتُمْ فَصَلُّوا وَادْعُوا اللَّهَ ".

আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ... মুগীরা ইবন শু’বা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময় যে দিন (তাঁর পুত্র) ইব্রাহীম (রাঃ) ইন্তেকাল করেন, সেদিন সূর্য গ্রহণ হয়েছিল। লোকেরা তখন বলতে লাগলো, ইব্রাহীম (রাঃ) এর মৃত্যুর কারণেই সুর্যগ্রহণ হয়েছিল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ কারো মৃত্যু অথবা জন্মের কারণে সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণ হয় না। তোমরা যখন তা দেখবে, তখন সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করবে এবং আল্লাহর নিকট দু’আ করবে।
(বুখারী শরীফ,ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৯৮৬, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১০৪৩।)

নবীজি (সা.)-এর হাদিসগুলো থেকে এটিই প্রতীয়মান হয় যে চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণের কোনো প্রভাব সৃষ্টির ওপর পড়ে না। সমাজে প্রচলিত বিশ্বাসগুলো নিছকই কুসংস্কার।
,
(২.৩) বদনজর লেগেছে ভেবে  তা থেকে বাঁচার জন্য। অনেকে পান পাতা চুলায় পুড়ায়,  
মায়েরা বাচ্চাদের কপালে কাজল দেয় ,বড় বাসের পিছে জুতা , গাছের ফলের দিকে জুতা রাখেন চোখ যেন না লাগে।  নজরে প্রভাবে রেমেডি হিসেবে উপস্থিত ব্যবহার করছে । 
 এগুলো সবই নিছক কুসংস্কার ছাড়া কিছু নয়। একজন মুসলিম হিসাবে এজাতীয় কুসংস্কার পরিহার করা উচিত।  কারণ এটি বদ নজর রোধ করে না। শিশুকে বদ নজর ইত্যাদি থেকে রক্ষা করার জন্য কী করতে হবে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তা শিক্ষা দিয়েছেন।
হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) হাসান ও হুসাইন রা. এর জন্য এই দোয়া পড়ে আল্লাহর আশ্রয় কামনা করতেন-
أُعِيْذُكُمَا بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَّهَامَّةٍ وَّمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لاَمَّةٍ.
অর্থ : সকল শয়তান, কীটপতঙ্গ ও বদনজর হতে তোমাদেরকে আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ কালিমাসমূহের আশ্রয়ে দিচ্ছি।
(দোয়াটি এক সন্তানের জন্য পড়লে ‘উয়ীযুকা’, দুইজনের জন্য ‘উয়ীযুকুমা’ আর দুইয়ের অধিক হলে ‘উয়ীযুকুম’ বলতে হবে। ) (বুখারীঃ ৩৩৭১)
শিশুকে বদ নজর ইত্যাদি থেকে রক্ষা করার জন্য এই দোয়াটি পড়েও ফু দেয়া যেতে পারে। হাদীসে এসেছে, জিবরীল (আঃ) রাসূলুল্লাহ (সাঃ)কে এই দোয়ার মাধ্যমে ঝাড়তেন।
بِاسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ اللَّهُ يَشْفِيكَ بِاسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ
“আমি আপনাকে আল্লাহর নামে ঝাড়-ফুঁক করছি প্রতিটি এমন জিনিষ হতে, যা আপনাকে কষ্ট দেয় এবং প্রত্যেক জীবের অমঙ্গল হতে ও হিংসুকের বদ নজর হতে আল্লাহ আপনাকে আরোগ্য দান করুন। আমি আপনাকে আল্লাহর নামে ঝাড়-ফুঁক করছি।” (মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুস্ সালাম)
পাশাপাশি আয়াতুল কুরসী, তিন কুল ও হাদীসের অন্যান্য  দোয়াও এক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যেতে পারে ।
শিশুদের বদনজর থেকে বাঁচতে কপালে টিপ দেয়া,এটি পরিত্যাজ্য। টিপ দিলে বদনজর থেকে বাঁচা যায় এটি লোকমুখে প্রচলিত একটি কথা মাত্র। কুরআন ও হাদীসতো দূরে থাক  বাস্তবতার সাথেও এর কোন সম্পর্ক নেই।
তাই একাজ অবশ্য পরিত্যাজ্য।
এগুলো হিন্দুয়ানী প্রথা।  
.

عَنْ عَبْدِ اللهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ:: ” الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঈদ রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, ব্যক্তি [কিয়ামতের দিন] তার সাথে থাকবে যাকে সে মোহাব্বত করে। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৩৭১৮, বুখারী, হাদীস নং-৬১৬৮, ৫৮১৬}
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
হযরত ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি যার সাদৃশ্য গ্রহণ করে, সে তাদেরই অন্তর্ভূক্ত। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪০৩১}
,
(০৪) বদনজর থেকে বাচার জন্য এগুলোকে মাধ্যম হিসেবে গ্রহন করা কুসংস্কার। 
তাই এহেন কাজ করা নাজায়েজ। 
মুসলমানদের এহেন ইমান বিধ্বংসি কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত। 
(কিতাবুন নাওয়াজেল  ১৬/১৮১)
,
তবে অনেক উলামায়ে কেরামগন এগুলো বিশ্বাস করাকে শিরক বলে আখ্যায়িত করেছেন।
.
তারা দলিল হিসেবে অনেক হাদিস পেশ করেছেনঃ    
হাদীস শরীফে আছে   
عن قطن بن قبیصۃ عن أبیہ رضي اللّٰہ عنہ قال: سمعت رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم یقول: العیافۃ والطیرۃ والطَّرق من الجِبت۔ (سنن أبي داؤد، کتاب الطب / باب في الخط وزجر الطیر ۲؍۵۴۵ رقم: ۳۹۰۷ دار الفکر بیروت، مشکاۃ المصابیح ۲؍۳۹۲، وأخرجہ ابن أبي شیبۃ ۵؍۳۱۱ رقم: ۲۶۴۰۳، وأحمد في مسندہ ۲۵؍۲۵۶ رقم: ۱۵۹۱۵، والطحاوي في شرح معاني الآثار برقم: ۷۰۹۱، وابن حبان في صحیحہ ۱۳؍۵۰۲ رقم: ۶۱۳۱، والمعجم الکبیر للطبراني ۱۸؍۳۶۹)
  কত্বান ইবনু কবীসাহ্ (রহঃ) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (ভাগ্যের ভালো-মন্দ নির্ণয়ের জন্য) পাখি উড়ানো বা ঢিল ছোঁড়া বা কোন কিছুতে অশুভ লক্ষণ মান্য করা শির্কের অন্তরভুক্ত।
,
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَوُفٌ، حَدَّثَنَا حَيَّانُ، قَالَ: غَيْر مُسَدَّدٍ، حَيَانُ بْنُ الْعَلَاءِ حَدَّثَنَا قَطَنُ بْنُ قَبِيصَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: الْعِيَافَةُ، وَالطِّيَرَةُ، وَالطَّرْقُ مِنَ الجِبْتِ الطَّرْقُ: الزَّجْرُ، وَالْعِيَافَةُ: الْخَطُّ ضعيف
 কাতান ইবনু কাবীসাহ (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ পাখীর সাহায্যে ভাল-মন্দ নির্ণয় করা, কোনো কিছুকে অশুভ লক্ষণ ভাবা এবং মাটিতে রেখা টেনে শুভ-অশুভ নির্ণয় কুফরী। ‘আত-তারক; হচ্ছে কংকর নিক্ষেপ করে অশুভ লক্ষণ নির্ণয় করা। ‘আল-ইয়াফা’ হচ্ছে মাটিতে দাগ টেনে শুভ-অশুভ নির্ণয় করা
(আবু দাউদ  ৩৯০৭)
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَوْفٌ، حَدَّثَنَا حَيَّانُ، - قَالَ غَيْرُ مُسَدَّدٍ حَيَّانُ بْنُ الْعَلاَءِ - حَدَّثَنَا قَطَنُ بْنُ قَبِيصَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " الْعِيَافَةُ وَالطِّيَرَةُ وَالطَّرْقُ مِنَ الْجِبْتِ " . الطَّرْقُ الزَّجْرُ وَالْعِيَافَةُ الْخَطُّ .
মুসাদ্দাদ (রহঃ) - - - কাবীসা (রহঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এরূপ বলতে শুনেছি যে, জ্যোতিষীদের মাটিতে দাগ কেটে যাত্রা শুভ-অশুভ নির্ধারণের কথায় বিশ্বাস করা, ভাল-মন্দ নির্ণয়ের জন্য লটারীর ব্যবস্থা করা, কুফরী রসমরিওয়াজের অন্তর্ভুক্ত।
(আবু দাউদ ৩৮৬৭.) 
.
★★সুতরাং এহেন কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...