জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আল্লাহ তাআলা বলেন,
يَهَبُ لِمَن يَشَآءُ إِنَٰثٗا وَيَهَبُ لِمَن يَشَآءُ ٱلذُّكُورَ أَوۡ يُزَوِّجُهُمۡ ذُكۡرَانٗا وَإِنَٰثٗاۖ وَيَجۡعَلُ مَن يَشَآءُ عَقِيمًاۚ
‘আল্লাহ যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান দান করেন, যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন অথবা ছেলে-মেয়ে উভয়ই দান করেন। আবার যাকে ইচ্ছে বন্ধ্যা করেন।’ (সূরা আশ্শূরা ৫০)
এ আয়াত থেকে আমরা বুঝতে পারি, সন্তান যেমন আল্লাহর ইচ্ছাতেই হয়, তেমনই সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে হবে তাও আল্লাহর ইচ্ছাতেই নির্ধারণ হয়।
এ আকিদা স্মরণ রাখা আবশ্যক যে সব কিছু করার ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর হাতে। ছেলে মেয়ে উভয়ই আল্লাহর দান। মূলত নেক সন্তানই কাম্য হওয়া উচিত। ছেলে মেয়ে যা-ই হোক, যদি নেক সন্তান হয়, তাহলেই সফলতা।
★★পুত্র সন্তান লাভ করতে অনেককে অনেক বুযুর্গানে দ্বীনের দেওয়া বিভিন্ন রকমের তাবিজ ব্যবহার করতে বা দুয়া পড়তে দেখা যায়। উক্ত দোয়া তাবীজে যদি কোন প্রকার শিরকী কথাবার্তা না থাকে, তাবিজের শর্ত সমূহ মেনেই তাহা ব্যবহার করা হয় , তাহলে কোন সমস্যা নেই। সেই সাথে লক্ষ রাখতে হবে, কুরআনের আয়াতের যেন কোন অসম্মান না হয়।
প্রকৃতপক্ষে গর্ভাবস্থার জন্য কোরআন-সু্ন্নাহয় বর্ণিত কোনো নির্দিষ্ট আমল বা দোয়া নেই। বরং একজন স্ত্রী তাঁর স্বামী কর্তৃক গর্ভবতী হওয়াটাই একটি স্বতন্ত্র এবং এতটাই ফজিলতপূর্ণ আমল যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বিখ্যাত মহিলা সাহাবি সালামা রাযি.কে বলেছেন—
أَفَمَا تَرْضَى إِحْدَاكُنَّ أَنَّهَا إِذَا كَانَتْ حَامِلًا مِنْ زَوْجِهَا ، وَهُوَ عَنْهَا رَاضٍ أَنَّ لَهَا مِثْلَ أَجْرِ الصَّائِمِ الْقَائِمِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ، فَإِذَا أَصَابَهَا الطَّلْقُ لَمْ يَعْلَمْ أَهْلُ السَّمَاءِ وَأَهْلُ الأَرْضِ مَا أُخْفِيَ لَهَا مِنْ قُرَّةِ أَعْيُنٍ ، فَإِذَا وَضَعَتْ لَمْ يَخْرُجْ مِنْهَا جُرْعَةٌ مِنْ لَبَنِهَا ، وَلَمْ يَمُصَّ مَصَّةً إِلا كَانَ لَهَا بِكُلِّ جُرْعَةٍ وَبِكُلِّ مَصَّةٍ حَسَنَةٌ ، فَإِنْ أَسْهَرَها لَيْلَةً كَانَ لَهَا مِثْلُ أَجْرِ سَبْعِينَ رَقَبَةً تُعْتِقُهُنَّ فِي سَبِيلِ اللَّهِ
তোমাদের কেউ কি এতে খুশি নয় যে, সে যখন স্বামী কর্তৃক গর্ভবতী হয় এবং স্বামী তার প্রতি সন্তুষ্টও থাকে তখন (এই গর্ভকালীন) সে আল্লাহর পথে সর্বদা রোজা পালনকারী ও সারারাত নফল ইবাদতকারীর মতো সওয়াব পাবে? তার যখন প্রসব ব্যথা শুরু হয় তখন তার জন্য নয়ন শীতলকারী কী কী নিয়ামত লুকিয়ে রাখা হয়, তা আসমান জমিনের কোনো অধিবাসীই জানে না। সে যখন সন্তান প্রসব করে তখন তার দুধের প্রতিটি ফোঁটার পরিবর্তে একটি করে নেকি দেওয়া হয়। এ সন্তান যদি কোনো রাতে তাকে জাগিয়ে রাখে (অসুখ ইত্যাদির কারণে বিরক্ত করে মাকে ঘুমুতে না দেয়) তাহলে সে আল্লাহর পথে নিখুঁত সত্তরটি গোলাম আযাদ করার সওয়াব পাবে। (আলমু’জাম, তাবরানী: ৬৯০৮, আবু নুআইম: ৭০৮৯, মাজমাউজজাওয়াইদ: ৪/৩০৫ )
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
পুত্র সন্তান কামনায় নবী রাসুল ও সালফে সালেহীনদের কোন আমল খুজে পাইনি।
তবে কিছু বুযুর্গানে দ্বীন কিছু আমল বলেছেন।
আকীদা বিশুদ্ধ রেখে আবশ্যকীয় মনে না করে এমন আমল করা যেতে পারে।