আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
199 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (101 points)
আসসালামুআলাইকুম,

১) এমন বড় চাদর যা হাত দিয়ে চিপা অনেক কষ্টের তা নাপাক হলে তা ধোয়ার নিয়ম আমি জানি যে তা তিনবার পানি দিয়ে ভিজাতে হবে এমনভাবে যাতে পানি টপকায় এবং প্রত্যেকবার ভেজানোর পর কোনো কিছুতে ঝুলিয়ে রাখতে হবে যাতে পানি টপকানো বন্ধ হয়।কিন্তু এভাবে চাদর ধুলে তো কাপড় ধুতেই অনেক সময় চলে যাবে আর আজকাল সাধারণত বাথরুমগুলো অনেক ছোট হয়।যেমনঃ আমাদের বাথরুম দৈর্ঘ্যে ৩ হাতের মতো আর প্রস্থে ২ হাতের মতো ।তো এত ছোট বাথরুমের রোলে যদি নাপাক চাদর রাখি আর তা থেকে যদি পানি টপকাতে থাকে তাহলে তার ছিটা গায়ে লাগা নিশ্চিত।এমতাবস্থায় গোসল করবো কীভাবে? এর অন্য কোনো সমাধান আছে কি?

২) একটি বালতিতে অনেক নাপাক কাপড় ধোয়া হলে একটির পর আরেকটি বের করে করে চিপে নিই ও মাটিতে রাখি।তো এতে স্বাভাবিকভাবে আগের চিপা কাপড়ে পরের কাপড়ের পানির ছিটা লাগে।এমতাবস্থায় কি আবার শুরু থেকে কাপড় ধুতে হবে নাকি এভাবে তিনবার ধুয়ে প্রতিবার চিপে নিলে হয়ে যাবে?

৩) কাপড় বালতি হতে বের করে চিপে নিয়ে মাটিতে রেখে এক্টু সামান্য দুরে বালতি নিয়ে পানি ফেলে দিই কিন্তু বাথরুম ছোট হওয়ায় কিছু পানি কাপড়ে লেগে যায় তো এতে কি আবার কাপড়গুলো শুরু থেকে ধুতে হবে ?

৪) কাপড় ধোয়াকালীন দ্বিতীয় বার ধোয়ার পর কোনো নাপাক লেগে গেলে কি আবার প্রথম থেকে ধুতে হবে?

৫)নাপাক কাপড় তৃতীয়বার ধোয়ার পর তো বালতি পাক হয়ে যায় কিন্তু বালতির বাইরের অংশে তো নাপাক পানির ছিটা লাগে।সেগুলো ধোয়া কি আবশ্যক নাকি তা জরুরতের খাতিরে মাফ?

৬)কোনো স্টেইনলেস স্টিল এর মসৃণ জিনিসে নাজাসাত লাগলে তো তা মুছে নিলেই পবিত্র হয়ে যায় কিন্তু যদি ঐ জিনিসটার কোনো অংশে দেয়ালের রং পড়ে তা জমে আস্তর তৈরি করে তাহলে কি সেই অংশ মুছলে হবে নাকি তা ধুতে হবে?

৭) আজকে আমার আম্মু এক জায়গায় যাচ্ছিলেন তো তখন একটা বাটীতে জোর করে খাবার দেই কারন তিনি নিতে চাচ্ছিলেন না।কিন্তু খাবারগুলো তার জন্য দরকারি ছিল তাই জোর করে দেওয়ায় আমার মা বলেন যে,আল্লাহর কসম! এ বাটী আমাকে দিলে আমি নিব না।কিন্তু পরবর্তীতে তিনি বুঝতে পারেন এবং সে খাবারগুলো নিতে চান।কিন্তু আমি সে খাবারগুলো না দিয়ে অন্য খাবার দেই সেই বাটীতে কারন তিনি কসম করেছেন।কিন্তু পরে আমার মনে হলো যে তিনি তো বাটী না নেয়ার কসম করেছেন আর আমি তো সেই বাটীতেই তাকে অন্য খাবার দিছি।তবে আমার মনে হয় তিনি খাবারকে উদ্দেশ্য করেই সে কসম করেছিলেন যদিও তিনি মুখে বাটী বলেছিলেন।কেননা,জোর করে খাবার না দিলে তো তিনি এমন কথা বলতেন না।তো এক্ষেত্রে কি কসম ভেঙ্গেছে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْعَلَاءِ ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شَوْكَرِ بْنِ رَافِعٍ الطُّوسِيُّ ، نَا أَبُو إِسْحَاقَ الضَّرِيرُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ زَكَرِيَّا ، نَا ثَابِتُ بْنُ حَمَّادٍ ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ ، قَالَ : أَتَى عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأَنَا عَلَى بِئْرٍ أَدْلُو مَاءً فِي رِكْوَةٍ لِي ، فَقَالَ : يَا عَمَّارُ ، مَا تَصْنَعُ ؟ قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، بِأَبِي وَأُمِّي ، أَغْسِلُ ثَوْبِي مِنْ نُخَامَةٍ أَصَابَتْهُ . فَقَالَ " يَا عَمَّارُ ، إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ : مِنَ الْغَائِطِ ، وَالْبَوْلِ ، وَالْقَيْءِ ، وَالدَّمِ ، وَالْمَنِيِّ ، يَا عَمَّارُ ، مَا نُخَامَتُكَ وَدُمُوعُ عَيْنَيْكَ وَالْمَاءُ الَّذِي فِي رِكْوَتِكَ إِلَّا سَوَاءٌ "

আহমাদ ইবনে আলী ইবনুল 'আলা (রহঃ) ... আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এলেন, তখন আমি একটি কূপ থেকে বালতি দিয়ে পানি তুলে আমার একটি পানির পাত্রে ভর্তি করছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আম্মার! তুমি কি করছো? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কোরবান হোক। আমি আমার পরিধেয় বস্ত্রে লেগে যাওয়া শ্লেষ্মা পরিষ্কার করছি। তিনি বলেনঃ হে আম্মার! পাঁচটি জিনিস থেকে কাপড় ধৌত করা প্রয়োজনঃ বিষ্ঠা, পেশাব, বমি, রক্ত ও বীর্য। হে আম্মার! তোমার নাকের শ্লেষ্মা, তোমার উভয় চোখের অশ্রু এবং তোমার এই পানির পাত্রের পানি একই সমান (পাক-নাপাকীর হুকুমের ক্ষেত্রে)।
(সুনানে দারা কুতনি ৪৫০)

হাদীস শরীফে পেশাব থেকে ভালোভাবে পবিত্রতা অর্জনের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছেঃ
  
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: مَرَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَبْرَيْنِ، فَقَالَ: ” إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ، وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ، أَمَّا أَحَدُهُمَا: فَكَانَ لَا يَسْتَنْزِهُ مِنَ البَوْلِ – قَالَ وَكِيعٌ: مِنْ بَوْلِهِ – وَأَمَّا الْآخَرُ: فَكَانَ يَمْشِي بِالنَّمِيمَةِ “.

হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূল সাঃ দু’টি কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম হচ্ছিলেন। বললেন, এ দু’টি কবরে আযাব হচ্ছে। কোন বড় কারণে আজাব হচ্ছে না। একজনের কবরে আজাব হচ্ছে সে পেশাব থেকে ভাল করে ইস্তিঞ্জা করতো না। আরেকজন চোগোলখুরী করতো। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৯৮০, বুখারী, হাদীস নং-১৩৬১}

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন

(০১)
এক্ষেত্রে আরেকজনের সহায়তা নিয়ে সেই বড় চাদর নিংড়াবেন।

(০২)
এভাবে তিনবার ধুয়ে প্রতিবার চিপে নিলে হয়ে যাবে।
শুরু থেকে আবার কাপড় ধৌত করতে হবেনা।

(০৩)
কাপড়গুলো শুরু থেকে ধৌত করতে হবেনা।

(০৪)
আবার নতুন ভাবে নাপাকি লেগে গেলে পুনরায় তিনবার ধৌত করতে হবে।

(০৫)
বালতির বাইরের অংশে তো নাপাক পানির ছিটা লাগলে সেটি ধৌত করতে হবে।
নতুবা সেই পানি শরীরে/কাপড়ে লাগলে কাপড় নাপাক হবে।

(০৬)
শুকিয়ে গেলে সেটি পাক হবে।
মুছলে পাক হবেনা।

(০৭)
এখানে সেই খাবার উদ্দেশ্য। 
খাবার গ্রহন করলে কসম ভেঙ্গে যাবে।
কাফফারা দিতে হবে।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
–1
অর্থাৎ প্রথম খাবারটা গ্রহন করলে কসম ভেঙ্গে যাবে? আর সেই জায়গা থেকে ঘরে ফিরে আসার পর উক্ত খাবার খেলে কসম ভঙ্গ হবে কি?কারন তা আমার মায়ের প্রিয় খাবার ছিল বলে রেখে দিয়েছিলাম যাতে আসে খায়।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...