আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
213 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (2 points)
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমরা কাকে নিঃসন্তান বলো? সাহাবীগণ বলেন, যার সন্তান হয় না সে নিঃসন্তান। তিনি বলেনঃ না, বরং নিঃসন্তান হলো যে কোন সন্তান অগ্রে প্রেরণ করেনি অর্থাৎ যার কোন সন্তান মারা যায়নি (বুখারী, মুসলিম)।

আদাবুল মুফরাদ, হাদিস নং ১৫৩
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব ,

   عن عبد الله بن مسعود قَالَ: وَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: مَا تَعُدُّونَ فِيكُمُ الرَّقُوبَ؟ قَالُوا: الرَّقُوبُ الَّذِي لاَ يُولَدُ لَهُ، قَالَ: لاَ، وَلَكِنَّ الرَّقُوبَ الَّذِي لَمْ يُقَدِّمْ مِنْ وَلَدِهِ شَيْئًا.

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমরা কাকে নিঃসন্তান বলো? সাহাবীগণ বলেন, যার সন্তান হয় না সে নিঃসন্তান। তিনি বলেনঃ না, বরং নিঃসন্তান হলো যে কোন সন্তান অগ্রে প্রেরণ করেনি অর্থাৎ যার কোন সন্তান মারা যায়নি (বুখারী, মুসলিম)।

উক্ত হাদীস দ্বারা নবী আলাইহিস সালামের উদ্দেশ্য ছিল, ঐ সমস্ত সাহাবীদের সাত্বনা ও তাসাল্লি প্রদাণ করা যারা তাদের সন্তানকে শৈশবকালে হারিয়েছে। তারা তাদের সন্তানদের কে পরকালে নাজাতের উছিলা ও মাধ্যম হিসেবে পাবে। যাদের সন্তান আছে তাদের কে ছোট করা নবীজির উদ্দেশ্য ছিল না। ছোট্ট বেলায় যাদের সন্তান ইন্তেকাল করে তাদেরকে উদ্দেশ্য করে নবীজির অনেক হাদীস রয়েছে।নিম্নে কিছু হাদীস তুলে ধরা হলো।

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ أَبِي الأَسْوَدِ، قَالَ: حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ عُمَارَةَ الأَنْصَارِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: مَنْ مَاتَ لَهُ ثَلاَثَةٌ لَمْ يَبْلُغُوا الْحِنْثَ، أَدْخَلَهُ اللَّهُ وَإِيَّاهُمْ بِفَضْلِ رَحْمَتِهِ الْجَنَّةَ.

আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যার তিনটি সন্তান অপ্রাপ্ত বয়সে মারা গেছে আল্লাহ তার প্রতি দয়াপরবশ হয়ে তাকে এবং তাদেরকে অবশ্যই বেহেশতে প্রবেশ করাবেন (বুখারী, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ)।

حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ قَالَ: قَرَأْتُ عَلَى الْفُضَيْلِ: عَنْ أَبِي حَرِيزٍ، أَنَّ الْحَسَنَ حَدَّثَهُ بِوَاسِطَ، أَنَّ صَعْصَعَةَ بْنَ مُعَاوِيَةَ حَدَّثَهُ، أَنَّهُ لَقِيَ أَبَا ذَرٍّ مُتَوَشِّحًا قِرْبَةً، قَالَ: مَا لَكَ مِنَ الْوَلَدِ يَا أَبَا ذَرٍّ قَالَ: أَلاَ أُحَدِّثُكَ؟ قُلْتُ: بَلَى، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَمُوتُ لَهُ ثَلاَثَةٌ مِنَ الْوَلَدِ لَمْ يَبْلُغُوا الْحِنْثَ، إِلاَّ أَدْخَلَهُ اللَّهُ الْجَنَّةَ بِفَضْلِ رَحْمَتِهِ إِيَّاهُمْ، وَمَا مِنْ رَجُلٍ أَعْتَقَ مُسْلِمًا إِلاَّ جَعَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ كُلَّ عُضْوٍ مِنْهُ، فِكَاكَهُ لِكُلِّ عُضْوٍ مِنْهُ.

সাসাআ ইবনে মুয়াবিয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আবু যার (রাঃ)-এর সাথে সাক্ষাত করলেন। আবু যার (রাঃ) একটি মশক জড়িয়ে ধরা অবস্থায় ছিলেন। তিনি বলেন, হে আবু যার! আপনার সন্তানের কী প্রয়োজন! তিনি বলেন, আমি তোমাকে হাদীস শুনাবো না? আমি বললাম, হাঁ। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ যে মুসলিমের তিনটি সন্তান নাবালেগ অবস্থায় মারা যায়, তাদের প্রতি তার মায়ার কারণে আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করবেন। আর যে ব্যক্তি কোন মুসলিমকে দাসত্বমুক্ত করবে, মহামহিম আল্লাহ তার প্রতিটি অঙ্গ-প্রতঙ্গের বিনিময়ে তার প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ মুক্তি দিবেন।( আল আদাবুল মুফরাদ)

 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...