আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
213 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (40 points)
edited by
১. তাবিজ কাটানোর নিয়ম জানিনা আমি।তবে অনেকে বলে কবিরাজ কে দিয়ে তাবিজ কাটাতে হবে। তারা যা বলে-

* আক্রান্ত ব্যক্তির পেট টানায় দেখায় তাবিজ বের করেছে। ইসলামে কি এত ভিত্তি আছে বা এর সত্যতা কত?
* বলে কুফুরি দিয়ে কুফুরি কাটাতে হবে, নাউজুবিল্লাহ।
এগুলো কি জায়িজ? কেউ তাবিজ করলে কি করণীয়?


২. স্ত্রী অসুস্থ, এখন স্বামী যদি স্ত্রীর চিকিৎসার খরচ না দেয়, বোঝা মনে করে কিংবা বলে যে " চিকিৎসার খরচ আমার না,তোমার বাবা মার থেকে টাকা এনে চিকিৎসা করাও" তবে স্বামীকে না বলে যতটুকু প্রয়োজন তার সম্পদ থেকে ব্যয় করতে পারবে? নাকি জব দেখবে?
সে কোনটার চেষ্টা আগে করবে?


৩. বিয়ের সময় ৪-৫ লক্ষটাকার কাবিন ধরে বাসর রাতে স্ত্রী যদি মাফ করে দেয়। পরবর্তীতে যদি ছাড়াছাড়ী হয় তবে সে কি মোহরানা আবার দাবী করতে পারে? তার কি জন্য কি এটা জায়িজ?


ইসলামী দৃষ্টিকোণ কেমন হওয়া উচিত?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
কুফরি দ্বারা কুফরি কাটানো কখনো জায়েয হবে না।বরং কুরআন দ্বারাই কুফরি কাটানো সম্ভব।

https://www.ifatwa.info/4313নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
আল্লাহ সবকিছুর খালিক ও মালিক,জগতের সব কিছু উনার হুকুমেই সংগঠিত হয়,তাবিজ বা ঔষধের অদ্য কোনো ক্ষমতা নেই। এমন আক্বিদা পোষণ করে জায়েয ও বৈধ কালামের মাধ্যমে চিকিৎসা হিসেবে ঝাড়-ফুক ও তাবিজ ব্যবহার বৈধ আছে।বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/226

সুতরাং আকিদা বিশুদ্ধ তথা শে'ফা দানকারী একমাত্র আল্লাহ তা'আলা এমন আকিদা বিশ্বাস রেখে ঔষধী গাছের অংশ বিশেষ দ্বারা তাবিজ ব্যবহার করতে পারবেন।

নিম্নোক্ত হাদীসে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি নিজ নাবালিগ সন্তাদিকে তাবিজ লঠকিয়ে দিতেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়-

(২)
প্রথমে স্ত্রী নিজ সম্পত্তি বা মহরের টাকা কিংবা বাবার কাছ থেকে প্রাপ্ত ফারাইয দ্বারা চিকিৎসা করানোর চেষ্টা করবে।যদি এগুলোর কোনো কিছু না থাকে, তাহলে পর্দা সম্মত জবের চেষ্টা করবে।যদি পর্দা সম্মত জব খুজে না পাওয়া যায়, তাহলে স্বামীর কাছ থেকে প্রয়োজন মত যাবে। প্রয়োজনে না বলেও নেওয়া যাবে।

(৩)
একবার মাফ করে দেওয়ার পর আবার মহর চাওয়া যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...