بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব ,
যদি মৃত ব্যক্তি তার সম্পদ থেকে তার নামায রোজার কাফফারা আদায়ের
জন্য অসিয়ত করে যায়, আর তার
নিজের মালও থাকে। তাহলে তার এক তৃতীয়াংশ সম্পদ থেকে কাফফারা আদায় করা সন্তানদের উপর
ওয়াজিব।
আর যদি তার কোন সম্পদ না থাকে, বা সে মাল রেখে গেছে কিন্তু কোন কাফফারা আদায়ের
অসিয়ত করে যায়নি। তাহলে মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কাফফারা আদায় করা আত্মীয়-স্বজন কিংবা
সন্তানদের উপর জরুরী নয়। তবে স্বজনদের কাফফারা আদায় করে দেয়াই উত্তম। এটা মৃত ব্যক্তিকে
দায়মুক্ত করার জন্য তাদের পক্ষ থেকে অনুগ্রহ।
কাফফারার পরিমাণ হল, প্রতিদিন বিতরসহ ছয় ওয়াক্ত নামায হিসেব করে প্রত্যেক ওয়াক্তের
জন্য পৌনে দুই সের গম বা আটা অথবা এর বাজার মূল্য গরীব মিসকিনকে মালিক বানিয়ে দিতে
হবে। অথবা প্রতি ওয়াক্তের বদলে একজন গরীবকে দুই বেলা তৃপ্তি সহকারে খানা খাওয়াতে হবে।
(ফতাওয়া শামী-২/৭২)
আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ
فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ
‘আর যাদের জন্য
তা (সিয়াম পালন) কষ্টকর হবে, তাদের কর্তব্য ফিদিয়া তথা একজন দরিদ্রকে খাবার প্রদান করা। (সূরা বাক্বারা
১৮৪)
ইবনে আব্বাস রাযি. বলেছেন,
هُوَ الشَّيْخُ الْكَبِيرُ
وَالْمَرْأَةُ الْكَبِيرَةُ لا يَسْتَطِيعَانِ أَنْ يَصُومَا فَيُطْعِمَانِ
مَكَانَ كُلِّ يَوْمٍ مِسْكِينًا
এরা হল অশীতিপর বৃদ্ধ নর ও নারী। যারা রোযা পালন করতে সক্ষম
নয়। তারা প্রতিদিনের পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাওয়াবে। (বুখারী ৪৫০৫)
হযরত ইবনে রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ، ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ
ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : " ﻳﺼﻠﻲ ﺍﻟﻤﺮﻳﺾ ﻗﺎﺋﻤﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﺟﺎﻟﺴﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ
ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﻧﺎﺋﻤﺎ ﻳﻮﻣﺊ ﺑﺮﺃﺳﻪ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺳﺒﺢ "
অসুস্থ ব্যক্তি দাড়িয়ে দাড়িয়ে নামাজ পড়বে।যদি দাড়াতে কষ্ট হয়,তাহলে বসে বসে নামায পড়বে।যদি বসে বসে নামায
পড়তে কষ্ট হয়,তাহলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে তার মাথা দ্বারা ইশারা করে
সে নামায আদায় করবে।যদি তারপরও তার কোনো প্রকার কষ্ট হয়,তাহলে
সে যিকির করবে। (এ'লাউস-সুনান-৭/১৭৪)
যে ব্যক্তি বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে সর্বশেষ ইশারার মাধ্যমেও
নামায আদায় করতে অক্ষম।এবং সুস্থতার আশা প্রায় গৌণ।এমন ব্যক্তি শরীয়তের বিধি-বিধানের
মুকাল্লাফ নয়।অর্থা ঐ ব্যক্তির যিম্মা থেকে নামায-কে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে।(ফাতাওয়ায়ে
মাহমুদিয়্যাহ-৭/৫৪৫)
আরো জানুনঃ https://www.ifatwa.info/1411
প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনি ভাই / বোন!
একটি রোযার ফিদইয়া এবং এক ওয়াক্ত নামাযের কাফফারা প্রায় একই, অর্থাৎ এক ফিতরার সমপরিমাণ টাকা। কারো ফরয নামায
বা রোযা অন্য কেউ আদায় করতে পারবে না।