উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো কাহারো সম্পদ যদি পুরাটাই হারাম হয়,তাহলে সেটা দিয়ে কোনো কিছু ক্রয় করা জায়েজ নেই।
বরং তা তার মালিকের কাছে ফেরত দিতে হবে,অথবা তার মালিকের ছওয়াবের উদ্দেশ্যে এটা ছদকাহ করে দিবে।
আর যদি কাহারো হারাম সম্পদের সাথে হালাল সম্পদের মিশ্রণ থাকে,তাহলে সেই সম্পদ দিয়ে কোনো কিছু ক্রয় করা জায়েজ আছে।
সেটা দিয়ে যাহা কিছু ক্রয় করবে,সেটা হালাল হবে।
তবে এক্ষেত্রেও সতর্কতা মূলক উক্ত সম্পদ ছদকাহ করে দেওয়াই ভালো।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু ২য় জনের টাকায় কিছু টাকা সূদের টাকা বিদ্যমান আছে,যার পুরো টাকা যেহেতু সূদ নয়,তাই সেই টাকা দিয়ে উক্ত প্রোপার্টি ক্রয় করা জায়েজ আছে।
১ম জন এক্ষেত্রে কোনো গুনাহ বহন করবেনা।
উক্ত টাকায় ১ম জন যে উমরাহ করতে চাচ্ছে,এই উমরাহ ছহীহ হবে।
তবে তার জন্য উত্তম হলো অন্য কাহারো থেকে ঋণ নিয়ে উমরাহ করতে যাওয়া।
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছে
لما قال العلامۃ ابن عابدینؒ: والحاصل ان علم ارباب الاموال وجب ردہ علیہم والاّ فان علم عین الحرام لایحل لہ ویتصدق بہٖ بنیۃ صاحبہ وان کان مالاً محتلطاً مجتمعًا من الحرام ولایعلم اربابہ ولاشیٔ منہ بعینہ حل لہٗ حکمًا والاحسن دیانۃ التنزہ عنہ۔ (ردالمحتار:ج؍۵،ص؍۹۹، مطلب فی من ورث مالاً حراماً)
যার সারমর্ম হলো যদি হারাম সম্পদের সাথে হালাল সম্পদ মিশ্রণ থাকে,তাহলে উক্ত সম্পদ দিয়ে কোনো কিছু ক্রয় করা জায়েজ হবে।
তবে ভালো হলো তা থেকে বিরত থাকা।
,
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছে
إذا أراد الرجل أن یحج بمال حلال فیہ شبہۃ فإنہ یستدین للحج ویقضي دینہ من مالہ۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۱؍۲۲۰)
যার সারমর্ম হলো সে ঋন নিয়ে হজ্জ করবে,আর উক্ত টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করবে।