আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
161 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (49 points)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ্


উস্তাদজী ,

১/ অনেকে বলে মুখ পর্দার অন্তর্ভুক্ত নয় ।
অনেকে বলেন অন্তর্ভূক্ত , কোথায় আছে এর সমাধান?

আযহারী হুজুর, জাকির নায়েক ফতোয়া দিয়েছেন মুখ খোলা রেখে চলা যায় প্রয়োজন । এবং এই ফতোয়া মহিলারা দিয়ে থাকেন এর সমাধান কি ?
পর্দা ফরয , সালাত ফরয যা প্রতিনিয়ত দরকার হচ্ছে  অথচ এত ইখতিলাফ এই নিয়ে কই যাবো আমরা আল্লাহ্ ?
২/ আযহারী হুজুর বলেছেন সর্বোত্তম নফল ইবাদত কুরআন পড়া , ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা ডিসেম্বর ২ তারিখ থেকে ,এখন সে যদি  বাবা মায়ের বারণ সত্ত্বেও কুরআন পড়তে আসে তবে কি সে মেয়ের গোনাহ হবে? মেয়েটি তার বাবা মায়ের কোনো বারণ শুনে না , বাড়িতে অশান্তি করে তার বাবা মা কেন পরীক্ষা সময় কুরআন পড়তে যায় , এ ক্ষেত্রে করণীয় কি?
৩/ জায়নামাজ সামনে পেছনে সমান , নির্দিষ্ট কোনো পাশ নেই যে চিহ্ন দেখে এক পাশেই সিজদা পড়বে , এখন যদি কেউ দুই পাশেই সিজদা দেই তবে কি গোনাহ হবে?
৪/  কোনো মেয়ে যদি ফ্রিল্যান্সিং শিখে এবং তার প্রোফাইল তৈরি করতে মুখ খুলে ছবি দেওয়া লাগে ,যা বাইরের বা দেশের যেকোনো নন মাহরাম দেখতে পাবে তবে কি গোনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (566,400 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. বলেন, আমরা যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ইহরাম অবস্থায় ছিলাম তখন আমাদের পাশ দিয়ে অনেক কাফেলা অতিক্রম করত। তারা যখন আমাদের সামনাসামনি চলে আসত তখন আমাদের সকলেই চেহারার ওপর ওড়না টেনে দিতাম। তারা চলে গেলে আবার তা সরিয়ে নিতাম।-মুসনাদে আহমাদ ৬/৩০; ইবনে মাজাহ,হাদীস: ২৯৩৫

এই হাদীস থেকে বোঝা যায়, পরপুরুষের সামনে চেহারা ঢেকে রাখা আবশ্যক।

 আসমা বিনতে আবু বকর রা. বলেন, আমরা পুরুষদের সামনে মুখমন্ডল আবৃত করে রাখতাম। ...-মুসতাদরাকে হাকেম ১/৪৫৪

ফাতিমা বিনতে মুনযির রাহ. বলেন, আমরা আসমা বিনতে আবু বকর রা.-এর সাথে ইহরাম অবস্থায় থাকাকালে আমাদের মুখমন্ডল ঢেকে রাখতাম।-মুয়াত্তা, ইমাম মালেক ১/৩২৮; মুসতাদরাকে হাকেম ১/৪৫৪
,

فأخرج ابن جریر وابن أبی حاتم وابن مردویہ عن ابن عباس 
فی ہذہ الآیة قال: أمر اللّٰہ نساء الموٴمنین اذا خرجن من بیوتہن فی حاجة أن یغطین وجوہہن من فوق روٴوسہن بالجلابیب ویبدین عینًا واحدة۔ وأخرج عبدالرزاق وأبو داوٴد وابن أبی حاتم عن أم سلمةقالت: لمّا نزلت ہٰذہ الآیة : ”یدنین علیہن من جلابیہن“ خرج نساء الأنصار کأن علی روٴوسہن الغربان من السکینة وعلیہن أکسیة سود یلبسونہا۔ (فتح القدیر: ۳۵۲/۴، ط: دارابن کثیر)  
وقال الواحدی: قال المفسرون: یغطین وجوہہن وروٴسہن الاعینًا واحدةً(فتح القدیر: /۴ ۳۴۹، دارابن کثیر) 

সারমর্মঃ উক্ত আয়াত নাজিল হওয়ার পর মহিলারা তাদের চেহারা এবং মাথা ঢেকে রাখতো,কিন্তু শুধু এক চোখ খোলা রাখতো। 

وعن محمدبن سیرین قال سألتُ عبیدة السلمانی عن ہٰذہ الآیة: یدنین علیہن من جلابیبہن ، فرفع ملحفةً کانت علیہ وغطی رأسہ کلّہ حتی بلغ الحاجبین وغطی وجہہ وأخرج عینہ الیُسریٰ من شق وجہہ الأیسر وقال قتادة: تلوی الجلباب فوق الجبین وتشدہ ثم تعطفہ علی الأنف وان ظہرت عیناہا لکن تستر الصدرومعظم الوجہ(روح المعانی: ۲۶۴/۱۱، ط: دارالکتب العلمیة، بیروت) 
সারমর্মঃ এমন কাপড় রাখতো,যাহা দ্বারা চেহারা মাথা সবই ঢেকে যেতো,,, 

হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন
أمر اللہ نساء الموٴمنین إذا خرجن من بیوتہن في حاجة أن یغطین وجوہہن من فوق روٴوسہن بالجلابیب ویبدین عینا واحدة (احکام القرآن: ۳/۱۴۳، ط: ادارة القرآن کراچی) 

সারমর্মঃ আল্লাহ তায়ালা মুমিন মহিলাদের আদেশ করেছেন যখন তারা কোনো প্রয়োজনে বাহিরে বের হয়,জিলবাব দ্বারা তাদের মাথার উপর থেকে নিয়ে চেহারা ঢেকে রাখবে।
এক চোখ শুধু খোলা রাখবে।
,
★ মহিলাদের সমস্ত দেহ আবৃত থাকবে কিন্তু ফিতনার আশংকা না থাকলে মুখমণ্ডল ও হাতের তালু খোলা রাখা যাবে।এ মাসয়ালা নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে।তবে সর্বাবস্থায় ফিতনার আশংকা না থাকাই লক্ষণীয়।
তাই চেহারা হাত পায়েরও পর্দা করা আবশ্যক।

বিস্তারিত জানুনঃ  

(০২)
যেহেতু কুরআন তিলাওয়াত নফল ইবাদত।
তাই বাবা মার আদেশ মানা তার জন্য উচিত।
এক্ষেত্রে সে দিনের অল্প সময় কুরআন তিলাওয়াতেও দিতে পারে।
বিষয়টি সম্পর্কে বাবা মাকে বুঝাতে হবে।
অল্প সময় দেওয়ার ক্ষেত্রে তারা রাজি হবেন,ইনশাআল্লাহ। 
,
(০৩)
না,এতে কোনো গুনাহ হবেনা।
কোনো সমস্যা নেই।
,
(০৪)
হ্যাঁ গুনাহ হবে।     


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...