আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
231 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
এমনটা কি ধরা হয় যে কিছু কিতাব বিলুপ্ত এবং কিছু কিতাব বিকৃত? নাকি সবই বিকৃত?
আমার আগের একটা প্রশ্ন এর সমাধান দেওয়া হয় নাই, যদি একটু দেখতেন অন্য প্রশ্নের কারণে চাপা পরে গেল কি না
https://ifatwa.info/30446/

1 Answer

0 votes
by (566,400 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


বর্তমানে পৃথিবিতে যে সমস্ত অন্যান্য আসমানী কিতাব সমুহ পাওয়া যায়,তার বিকৃত ছাড়া অরিজিনাল কপি নেই।
সবই বিকৃত হয়েছে।

আল্লাহ তাআলা বলেন , 

أَفَتَطْمَعُونَ أَنْ يُؤْمِنُوا لَكُمْ وَقَدْ كَانَ فَرِيقٌ مِنْهُمْ يَسْمَعُونَ كَلَامَ اللَّهِ ثُمَّ يُحَرِّفُونَهُ مِنْ بَعْدِ مَا عَقَلُوهُ وَهُمْ يَعْلَمُونَ 

‘তোমরা কি এই আশা করছ যে, তারা তোমাদের প্রতি ঈমান আনবে? অথচ তাদের একটি দল ছিল যারা আল্লাহর বাণী শুনত অতঃপর তা বুঝে নেয়ার পর তা তারা বিকৃত করত, জেনে বুঝে’-(সূরা আল বাকারা , ৭৫)। 

তিনি আরও বলেন , 

مِنَ الَّذِينَ هَادُوا يُحَرِّفُونَ الْكَلِمَ عَنْ مَوَاضِعِهِ

 ইহুদিদের মধ্যে কিছু লোক আছে যারা কালামসমূহকে তার স্থান থেকে পরিবর্তন করে ফেলে’-(সুরা আন্-নিসা , ৪৬)।
,
আরো জানুনঃ 


(যেই কিতাব গুলো বিলুপ্ত হয়েছে,সেগুলো যেহেতু আমাদের সামনে নেই,তাই সে সম্পর্কে বলার সুযোগ নেই।) 

,
আল কুরআন হলো একমাত্র আসমানী গ্রন্থ যা সংরক্ষিত আকারে রাখার দায়িত্ব আল্লাহ তাআলা নিজ হাতে নিয়েছেন।

 ইরশাদ হয়েছে , 

إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُونَ

 ‘নিশ্চয় আমি কোরান নাজিল করেছি, আর আমিই তার হেফাযতকারী’-(সূরা আল হিজর , ৯)। 

অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে ,

 وَإِنَّهُ لَكِتَابٌ عَزِيزٌ. لَا يَأْتِيهِ الْبَاطِلُ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ وَلَا مِنْ خَلْفِهِ تَنْزِيلٌ مِنْ حَكِيمٍ حَمِيدٍ. 

‘আর এটি নিশ্চয় এক সম্মানিত গ্রন্থ। বাতিল এতে অনুপ্রবেশ করতে পারে না, না সামনে থেকে, না পিছন থেকে। এটি প্রজ্ঞাময়, সপ্রশংসিতের পক্ষ থেকে নাজিলকৃত’-(সূরা ফুস্সিলাত , ৪১-৪২)। 
,
অন্যান্য আসমানী কিতাব নিয়ে আল্লাহ তায়ালা এমন কিছুই বলেননি।

আল কুরআন যেহেতু সুনির্দিষ্ট কোনো জাতির জন্য নয় বরং সমগ্র মানব সম্প্রদায়ের জন্য অবতীর্ণ একটি গ্রন্থ, তাই এটিকে বিকৃতি ও মানুষের হস্তক্ষেপ থেকে সুরক্ষিত রাখা অত্যাবশ্যক ছিল; যাতে তা কিয়ামত পর্যন্তের জন্য মানুষের ওপর আল্লাহর প্রমাণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত থাকতে পারে। পক্ষান্তরে অন্যান্য কিতাবের বাণীগুলো, যে জাতির উদ্দেশে কিতাব নাজিল হয়েছিল, শুধু তাদেরকেই খেতাব করেছে, অন্যান্য জাতিকে খেতাব করেনি, যদিও দ্বীনের মৌলিক নীতি-আদর্শগুলো সব কিতাবেই ছিল অভিন্ন। তবে তাতে যে শরীয়া ও হুকুম আহকাম নাজিল হয়েছিল, তা ছিল বিশেষ কাল ও পাত্রের জন্য সুনির্ধারিত। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...