ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
জ্বী, ইমাম সাহেবের জন্য মাঝেমধ্যে অপেক্ষা করা যাবে।তবে নিয়মিত এমনটা করা যাবে না।
(২)
ক্বাতাদাহ রাঃ থেকে বর্ণিতঃ-
ﻓﻌﻦ ﺃﺑﻲ ﻗﺘﺎﺩﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ( ﺇِﺫَﺍ ﺃُﻗِﻴﻤَﺖْ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓُ ﻓَﻠَﺎ ﺗَﻘُﻮﻣُﻮﺍ ﺣَﺘَّﻰ ﺗَﺮَﻭْﻧِﻲ ) ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ( 637 ) ﻭﻣﺴﻠﻢ ( 604 ) ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻟﻤﺴﻠﻢ : ( ﺣَﺘَّﻰ ﺗَﺮَﻭْﻧِﻲ ﻗَﺪْ ﺧَﺮَﺟْﺖُ ) .
নবীজী সাঃ বলেনঃ- তোমরা মসজিদে আমাকে দেখার পুর্বে নামাযের জন্য দাড়িও না।
দেখুন উক্ত হাদীসে এক্বামত বলা হচ্ছে না, বরং ইমাম সাহেবকে দেখে দাড়ানোর কথা বলা হচ্ছে।তাই বুঝাগেল নামাযে দাড়ানোর বিষয়টা ইমাম সাহেবের আগমনের উপর নির্ভরশীল।(ইমদাদুল ফাতাওয়া ১/৪৭০-৭৪)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সময়ে জামাতে দাড়ানোর সম্পর্ক মসজিদে ইমাম সাহেব তথা রাসূলুল্লাহ সাঃ এর আগমনের সাথেই ছিলো। অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাঃ যখনই মসজিদে আসতেন, তখনই জামাত হত।তাই ইমাম সাহেবের জন্য মাঝেমধ্যে অপেক্ষা করা যাবে। এতে কোনো বিধিনিষেধ নাই। তবে মানুষের সুবিধার স্বার্থে এবং সুশৃঙ্খলাকে বজায় রাখতে নামাজের জন্য কোনো সময়কে নির্দিষ্ট করা যাবে।এতে কোনো অসুবিধে নাই। এবং ইমাম সাহেবের উচিৎ, সঠিক সময়ে উপস্থিত হয়ে নামায সম্পন্ন করা।