আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
140 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)

আসসালামু আলাইকুম

 

মুহতারাম মুফতী সাহেবের কাছে আমার প্রশ্ন

 

১)মাগরিবের নামাজ অথবা অন্য যে কোন ওয়াক্তের নামাজ ঈমাম সাহেব নিজ ক্ষমতা বলে দু তিন মিনিট দেরি করে শুরু করতে পারবে কিনা?

দলিলসহ জানালে উপকৃত হতাম।

 

২) ঈমাম সাহেব মিম্বরে আসতে দেরি হয়ে গেলে কোন কোন মুসুল্লি বিশেষ করে সামনের কাতারের মুসল্লি দাঁড়িয়ে যায় এবং অনেকে কাতারও রেডি করে ঈমাম সাহেবের জন্য বিরক্তি ভাব নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে। 

শরিয়তে এর হুকুম এবং সমাধান কি?

1 Answer

+1 vote
by (582,600 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
জ্বী, ইমাম সাহেবের জন্য মাঝেমধ্যে অপেক্ষা করা যাবে।তবে নিয়মিত এমনটা করা যাবে না।

(২)
ক্বাতাদাহ রাঃ থেকে বর্ণিতঃ-
ﻓﻌﻦ ﺃﺑﻲ ﻗﺘﺎﺩﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ( ﺇِﺫَﺍ ﺃُﻗِﻴﻤَﺖْ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓُ ﻓَﻠَﺎ ﺗَﻘُﻮﻣُﻮﺍ ﺣَﺘَّﻰ ﺗَﺮَﻭْﻧِﻲ ) ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ( 637 ) ﻭﻣﺴﻠﻢ ( 604 ) ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻟﻤﺴﻠﻢ : ( ﺣَﺘَّﻰ ﺗَﺮَﻭْﻧِﻲ ﻗَﺪْ ﺧَﺮَﺟْﺖُ ) .
নবীজী সাঃ বলেনঃ- তোমরা মসজিদে আমাকে দেখার পুর্বে  নামাযের জন্য দাড়িও না।
দেখুন উক্ত হাদীসে এক্বামত বলা হচ্ছে না, বরং ইমাম সাহেবকে দেখে দাড়ানোর কথা বলা হচ্ছে।তাই বুঝাগেল নামাযে দাড়ানোর বিষয়টা ইমাম সাহেবের আগমনের উপর নির্ভরশীল।(ইমদাদুল ফাতাওয়া ১/৪৭০-৭৪)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সময়ে জামাতে দাড়ানোর সম্পর্ক মসজিদে ইমাম সাহেব তথা রাসূলুল্লাহ সাঃ এর আগমনের সাথেই ছিলো। অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাঃ যখনই মসজিদে আসতেন, তখনই জামাত হত।তাই ইমাম সাহেবের জন্য মাঝেমধ্যে অপেক্ষা করা যাবে। এতে কোনো বিধিনিষেধ নাই। তবে মানুষের সুবিধার স্বার্থে এবং সুশৃঙ্খলাকে বজায় রাখতে নামাজের জন্য কোনো সময়কে নির্দিষ্ট করা যাবে।এতে কোনো অসুবিধে নাই। এবং ইমাম সাহেবের উচিৎ, সঠিক সময়ে উপস্থিত হয়ে নামায সম্পন্ন করা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (582,600 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...