আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
159 views
in পবিত্রতা (Purity) by (26 points)
কেবলমাত্র কুরআন ও সহিহ হাদিসের আলোকে উত্তর দিবেন।অন্য কোনো ফতোয়ার কিতাব থেকে নয়।

১/ ফরজ গোসলে ৩ বার গরগরা সহ কুলি করা লাগে।এটা জানি।কিন্তু কুলি  করার সময় কী ৩ বার হাত দিয়ে মুখের দাত মাজা লাগে।কুলি করার সময়।

২/ যেকোন কলম(যেমনঃ কালো কলম,রঙিন কলম,sign pen,মার্কার পেন।ফাউন্টেন পেন, বল পেন মানে যেকোন কলম যা বাজারে কিনতে পাওয়া যায়।আমরা ব্যবহার করি।) এগুলোর কালি কী নাপাক।হাতে লাগলে লী নাপাক হবে

৩/ ৩ নং এর এই কলমগুলোর কালি হাতে লেগে থাকলে তা দিয়ে শৌচকাজ করতে গেলে যে  পানি হাতে লাগবে তাতে কী হাতের কালি উঠানো আবশ্যক হবে।যেমনঃ স্বাভাবিক হাত দিয়ে শৌচকাজ করা আর কালিযুক্ত হাতে শৌচকাজ করা কী একই।

৪/ আমার হাতে যদি  যেকোন কলমের কালি লাগে তখন আমি পায়খানা করে শৌচকাজ করব তখন হাতের কালি থাকা অবস্থয় শৌচকাজ করলে কী পবিত্রতা অর্জনে  কোনো সমস্যা হবে।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/5183 নং ফাতাওয়ায় আমরা লিখেছি যে,
গোসলের ফরয ১১টি।
(১)মুখ ধৌত করা।
(২)নাক ধৌত করা।
(৩)সমস্ত শরীর একবার ধৌত করা।
গোসলের ফরয সাধারনত এ তিনটিই।কেননা সমস্ত শরীরের মধ্যে পরবর্তী সবগুলাই ঢুকে গেছে।কিন্ত বিশেষ গুরুত্বের ধরুণ কোনো কোনো কিতাবে পৃথক পৃথক করে গননা করা হয়।
(৪)খতনাবিহীন ব্যক্তির পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগের চামড়া যদি খুলতে কষ্ট হয়,তবে তার ভেতরাংশ ধৌত করা।
(৫)নাভি ধৌত করা।
(৬)শরীরের এরূপ ছিদ্রে পানি পৌঁছানো, যা বুঁজে যায়নি।
(৭)পুরুষের চুলের বেণীর ভেতরে পানি পৌঁছানো, এতে চুলের গোড়ায় পানি পৌঁছা বা না পৌঁছার কোন শর্ত নেই।
তবে মহিলার চুলের গোড়ায় যদি পানি পৌঁছে, তাহলে মহিলার চুলের বেণীর ভেতরে পানি পৌঁছানো ফরয নয়।
(৮)দাড়ির ভেতরস্থ চামড়া ধৌত করা।
(৯)গোঁফের ভেতরস্থ চামড়া ধৌত করা।
(১০)ভ্রুর ভেতরস্থ চামড়া ধৌত করা।
(১১)যোনি মুখবরনের বহিরাংশ ধৌত করা।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ফরয গোসলে গড়গড়া করে কুলি করতে হবে।তবে প্রত্যেকবার দাত মাজতে হবে। এমন কোনো নিয়ম নাই।

(২)
যে কোনো প্রকার কালি নাপাক নয়।তবে উক্ত কালি যদি পানি প্রতিবন্ধক হয়, তাহলে উক্ত কালি শরীরে লাগলে অজু হবে না এবং নামাযও হবে না।

(৩)
স্বাভাবিক হাত দিয়ে শৌচকাজ করা আর কালিযুক্ত হাতে শৌচকাজ করা একই।

(৪)
হাতে কালি থাকা অবস্থয় শৌচকাজ করলে পবিত্রতা অর্জনে কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...