বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/10843 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে
(وَمِنْهَا الْقَهْقَهَةُ) وَحَدُّ الْقَهْقَهَةِ أَنْ يَكُونَ مَسْمُوعًا لَهُ وَلِجِيرَانِهِ وَالضَّحِكُ أَنْ يَكُونَ مَسْمُوعًا لَهُ وَلَا يَكُونُ مَسْمُوعًا لِجِيرَانِهِ وَالتَّبَسُّمُ أَنْ لَا يَكُونَ مَسْمُوعًا لَهُ وَلَا لِجِيرَانِهِ. كَذَا فِي الذَّخِيرَةِ الْقَهْقَهَةُ فِي كُلِّ صَلَاةٍ فِيهَا رُكُوعٌ وَسُجُودٌ تَنْقُضُ الصَّلَاةَ وَالْوُضُوءَ عِنْدَنَا. كَذَا فِي الْمُحِيطِ سَوَاءٌ كَانَتْ عَمْدًا أَوْ نِسْيَانًا كَذَا فِي الْخُلَاصَةِ.
وَلَا تَنْقُضُ الطَّهَارَةَ خَارِجَ الصَّلَاةِ وَالضَّحِكُ يُبْطِلُ الصَّلَاةَ وَلَا يُبْطِلُ الطَّهَارَةَ وَالتَّبَسُّمُ لَا يُبْطِلُ الصَّلَاةَ وَلَا الطَّهَارَةَ،
হাসি তিন প্রকার। প্রত্যেকটির সংজ্ঞা নিম্নরূপ। যথা-
(১)ক্বাহ্ক্বাহাঃ যা সে নিজেও শুনবে এবং তার প্রতিবেশীগণ ও শুনবে।
(২)দ্বিহকঃযা সে নিজে শুনবে,তবে তার প্রতিবেশীগণ শুনবে না।
(৩)তাবাস্সুমঃযা সে নিজেও শুনবে না এবং প্রতিবেশীরা ও শুনবে না।(যাখিরাহ)
আমাদের মাযহাবমতে প্রত্যেক রুকু-সেজদা বিশিষ্ট নামাযে ক্বাহ্ক্বাহা নামায এবং অজু উভয়টিকে নষ্ট করে দেয়।(মুহিত)চায় ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক(খুলাসাহ)তবে নামাযের বাহিরে হলে অজু নষ্ট হবে না।আর দ্বিহক নামাযকে নষ্ট করে দিলেও অজুকে নষ্ট করবে না।আর তাবাস্সুম নামায এবং অজু কিছুকেই নষ্ট করবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া;১/১২)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
নিজের কানে হাসির শব্দ আসলে, নামায ভঙ্গ হবে।
(২)
হাত বাঁধা অবস্হায় হাতের আঙুল অল্প অল্প করে তিনবার নাড়ানো হলে নামায ভঙ্গ হবে না।তবে ইচ্ছাকৃত এমনটা করা মাকরুহ।
(৩)
https://www.ifatwa.info/462 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইসলামি সরকার ব্যবস্থার তিনটি পদ্ধতি শরীয়তে রয়েছে।যথা-
(১)আবু-বকর রাযি কে খলিফা নির্বাচন পদ্ধতি কে অনুসরণ করা।জনসাধারণের রায়ের উপর আবু বকর রাযি খলিফা নির্বাচিত হয়েছিলেন।
(২)উমর রাযি কে খলিফা নির্বাচনের পদ্ধতি কে নির্বাচন করা।পূর্ববর্তী খলিফা কর্তৃক নাম ঘোষণার মাধ্যমে উমর রাযি খলিফা নির্বাচিত হয়েছিলেন।
(৩)উসমান রাযি কে খলিফা নির্বাচন পদ্ধতি পদ্ধতিকে খলিফা নির্বাচন করা।পূর্ববর্তী খলিফা কর্তৃক কয়েকজনের একটি ঘোষিত কমিটির নিকট খেলাফত হস্তান্তর।অতঃপর কমিটির সবার মতামতে কাউকে খলিফা নির্বাচন।যেমন হযরত উসমান রাযি হয়েছিলেন।
এ তিন পদ্ধতির যে কোনো একটি পদ্ধতির দ্বারা খলিফা বা মুসলমানদের সরকার প্রদান নির্বাচন করা যায়।
সুতরাং বর্তমান পদ্ধতির নির্বাচনকে কুফরী আখ্যায়িত করা যাবে না।
(৪)
না, কুফরী হবে না। তবে অধিকাংশর চেয়ে বিজ্ঞজনের ভোটকে অগ্রাধিকার দেয়াই ইসলামের নিয়ম।