আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
263 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (84 points)
আসসালামু আলাইকুম,
আমি ঘরের কোন খাবার বা এ জাতীয় কিছু,

আমার স্বামীকে না বলে বাসার খাদেমাকে দিতে পারব??

এতে কি গুনাহ হবে?

(যেগুলা হয়তো আমরা কম কম খাই বা আর খাওয়া হবে না,

আমার স্বামী নিজেই সেগুলো দিতে বলে।

কিন্তু যেগুলা খাওয়া হয়,

সেগুলা দিলে একটু মন খারাপ করে।)

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)
edited by



             بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://www.ifatwa.info/1111নং ফাতওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে,স্বামী-স্ত্রী পরস্পর অনুমতি ব্যতীত একে অন্যর সম্পত্তি থেকে কোনো প্রকার খরচ করতে পারবে না।নিজ পিতা-মাতা বা আত্মীয়-স্বজনদেরকে সাহায্য-সহযোগীতা করতে পারবেন না।এমনকি আল্লাহর রাহে দান-খায়রাত পর্যন্ত ও করতে পারবেন না।

যেমন হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে....
হযরত আবু উমামা বাহেলী রাঃ থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
عَنْ أَبِي أُمَامَةَ البَاهِلِيِّ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي خُطْبَتِهِ عَامَ حَجَّةِ الوَدَاعِ يَقُولُ: «لَا تُنْفِقُ امْرَأَةٌ شَيْئًامِنْ بَيْتِ زَوْجِهَا إِلَّا بِإِذْنِ زَوْجِهَا»، قِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَلَا الطَّعَامُ، قَالَ: «ذَاكَ أَفْضَلُ أَمْوَالِنَا
তরজমাঃ-
আমি বিদায় হজ্বের ভাষণে আল্লাহর রাসুল সাঃ কে বলতে শনেছি তিনি বলেনঃ-কোনো মহিলা তার স্বামীর অনুমিত ব্যতীত স্বামীর মাল থেকে খরছ করতে পারবে না।নবী কারীম সাঃ কে জিজ্ঞাসা করা হলো, হে আল্লাহর রাসুল সাঃ খাদ্যও কি(কাউকে দিতে) পারবে না? তদুত্তরে নবী কারীম সাঃ বললেনঃ এটাতো আমাদের উত্তম মাল( অর্থাৎঅনুত্তম মাল না পারলে উত্তম মাল কিভাবে খরচ করতে পারবে?)।(তিরমিযি শরীফ-৬৮)

উক্ত হাদীস থেকে বুঝা যায় স্বামীর অনুমিত ব্যতীত কোনোপ্রকার লেনদেন বৈধ হবে না।

তবে স্ত্রী তার স্বামীর মাল থেকে ওয়াজিব হক্ব পরিমাণ সম্পদ গ্রহণ করতে পারবে।অর্থাৎ স্বামীর উপর স্ত্রীর খোরাকি এবং নিজ সন্তানাদির খোরাকি পরিমাণ শরীয়ত কর্তৃক যা ওয়াজিব ছিলো, সেটাকে স্ত্রী গ্রহণ করতে পারবে।
 ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ : ﺃﻥ ﻫﻨﺪ ﺑﻨﺖ ﻋﺘﺒﺔ ﻗﺎﻟﺖ : ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ، ﺇﻥ ﺃﺑﺎ ﺳﻔﻴﺎﻥ ﺭﺟﻞ ﺷﺤﻴﺢ ﻭﻟﻴﺲ ﻳﻌﻄﻴﻨﻲ ﻣﺎ ﻳﻜﻔﻴﻨﻲ ﻭﻭﻟﺪﻱ ﺇﻻ ﻣﺎ ﺃﺧﺬﺕ ﻣﻨﻪ ﻭﻫﻮ ﻻ ﻳﻌﻠﻢ، ﻓﻘﺎﻝ : ﺧﺬﻱ ﻣﺎ ﻳﻜﻔﻴﻚ ﻭﻭﻟﺪﻙ ﺑﺎﻟﻤﻌﺮﻭﻑ .
"হযরত আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত,হিনদ বিনতে উতবা রাঃ নবী কারীম সাঃ এর কাছে (নিজ স্বামীর অভিযোগ নিয়ে এসে) বললেনঃহে রাসুলুল্লাহ সাঃ আবু সুফিয়ান একজন কৃপন মানুষ, সে আমাকে ও আমার সন্তানদেরকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভরণ-পোষণ দেয় না,যদ্দরুন তার অজান্তে তার মাল থেকে আমি খরছ করে ফেলি, (এ বিষয়ে শরীয়তের দিকনির্দেশনা আমাদেরকে বলুন)রাসুলুল্লাহ সাঃ বললেনঃ ন্যায়সঙ্গত ভাবে তোমার ও তোমার সন্তানদের যা প্রয়োজন তা (তার অজান্তে)নিয়ে নিতে পারো(এতে কোনো অসুবিধা হবে না)।"(সহীহ বুখারীঃ৫৩৬৪)আরও বর্ণিত আছে৫৭৮৬ নং হাদীসে।

স্বামীর উপর স্ত্রী ও নাবালিগ সন্তানদের ভরণ-পোষণ ওয়াজিব,এই ওয়াজিব হক্ব আদায় না করা দরুণ রাসুলুল্লাহ সাঃ স্বামীর অজান্তে স্বামীর মাল থেকে স্ত্রীকে উসূলের অনুমতি দিয়েছেন।

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্বামী-স্ত্রী পরস্পর মৌখিক সম্মতি বা মৌন সম্মতি ব্যতীত একে অন্যর সম্পত্তিতে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে  আপনার স্বামী যেই খাবার গুলি অন্যকে দিতে বলেন তা দেওয়া জায়েয আছে এবং এতে সওয়াব হবে ইনশাআল্লা। কারণ, খাবার অপচয় করা আসা নষ্ট করা গুনাহ। সুতরাং তা দিয়ে দেওয়াই উত্তম। তবে  যেই খাদ্য উপযোগী  খাবার গুলি অন্যকে দিতে আপনার স্বামী নিষেধ করেন বা দিলে মন খারাপ করেন তা না দেওয়াই শ্রেয়। তবে তার অনুমতি থাকলে উক্ত খাবার খাদেমাকে দিলে কোন গুনাহ হবে না।  

(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...