بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন-
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لِیَسْتَاْذِنْكُمُ
الَّذِیْنَ مَلَكَتْ اَیْمَانُكُمْ وَ الَّذِیْنَ لَمْ یَبْلُغُوا الْحُلُمَ
مِنْكُمْ ثَلٰثَ مَرّٰتٍ مِنْ قَبْلِ
صَلٰوةِ الْفَجْرِ وَ حِیْنَ تَضَعُوْنَ ثِیَابَكُمْ مِّنَ الظَّهِیْرَةِ وَ مِنْۢ
بَعْدِ صَلٰوةِ الْعِشَآءِ ثَلٰثُ
عَوْرٰتٍ لَّكُمْ لَیْسَ عَلَیْكُمْ وَ
لَا عَلَیْهِمْ جُنَاحٌۢ بَعْدَهُنَّ
طَوّٰفُوْنَ عَلَیْكُمْ بَعْضُكُمْ عَلٰی بَعْضٍ كَذٰلِكَ یُبَیِّنُ اللهُ
لَكُمُ الْاٰیٰتِ وَ اللهُ عَلِیْمٌ حَكِیْمٌ
. وَ اِذَا بَلَغَ الْاَطْفَالُ مِنْكُمُ الْحُلُمَ فَلْیَسْتَاْذِنُوْا كَمَا
اسْتَاْذَنَ الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ كَذٰلِكَ یُبَیِّنُ اللهُ لَكُمْ اٰیٰتِهٖ
وَ اللهُ عَلِیْمٌ حَكِیْمٌ.
হে মুমিনগণ! তোমাদের মালিকানাধীন দাস-দাসীরা
এবং তোমাদের মধ্যে যারা এখনো সাবালকত্বে পৌঁছেনি সেই শিশুরা যেন তিনটি সময়ে অনুমতি
গ্রহণ করে- ফজরের নামাযের আগে, দুপুর বেলা যখন তোমরা পোশাক খুলে রাখ এবং এশার
নামাযের পর। এ তিনটি তোমাদের গোপনীয়তা অবলম্বনের সময়। এ তিন সময় ছাড়া অন্য সময়ে তোমাদের ও তাদের প্রতি
কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তোমাদের পরস্পরের মধ্যে তো সার্বক্ষণিক যাতায়াত থাকেই। এভাবেই
আল্লাহ তোমাদের কাছে তার আয়াতসমূহ সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করে থাকেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
তোমাদের শিশুরা সাবালক হয়ে গেলে যেন অনুমতি গ্রহণ করে, যেমন
তাদের আগের বয়ঃপ্রাপ্তরা অনুমতি গ্রহণ করে আসছে। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। -(সূরা নূর (২৪) : ৫৮-৫৯)
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
১,২. রুম খোলা থাকুক
বা খোলা না থাকুক, রুমে কেহ থাকলেই সেই ঘরে প্রবেশ করতে হলে সালাম
বা গলা দিয়ে আওয়াজ করে হলেও একটু জানান দিতে হবে।উত্তম হল অকস্মাৎ ঢুকে না পড়া,
বরং গলা খাঁকারি, পায়ের আওয়াজ অথবা অন্য কোনো
উপায়ে অবগত করে প্রবেশ করা।
যয়নব সাকাফী রা. (আবদুল্লাহ ইবনে
মাসউদ রা.-এর স্ত্রী) বলেন, আবদুল্লাহ যখন কোনো প্রয়োজন সেরে দরজায় এসে
পৌঁছতেন তখন গলা খাঁকারি দিতেন এবং থুথু ফেলতেন। যাতে অকস্মাৎ আমাদেরকে এমন কোনো অবস্থায়
দেখে না ফেলেন যা তার খারাপ লাগবে। -তাফসীরে তাবারী ১৭/২৪৫; তাফসীরে
ইবনে কাসীর ৬/৪১-৪২
তবে যদি আপনি জানেন যে এখন সে রুমে
কেহই নেই,তাহলে
সেই অবস্থায় আপনার সেই রুমে প্রবেশ করতে কোনো অনুমতি/সালামের প্রয়োজন নেই।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
لَیْسَ عَلَیْكُمْ جُنَاحٌ اَنْ
تَدْخُلُوْا بُیُوْتًا غَیْرَ مَسْكُوْنَةٍ فِیْهَا مَتَاعٌ لَّكُمْ وَ اللهُ یَعْلَمُ مَا تُبْدُوْنَ وَ مَا
تَكْتُمُوْنَ.
যে ঘরে কেউ বাস করে না এবং তা দ্বারা
তোমাদের উপকার গ্রহণের অধিকার আছে, তাতে তোমাদের প্রবেশে কোনো গোনাহ
নেই। তোমরা যা প্রকাশ্যে কর এবং যা গোপনে কর আল্লাহ তা জানেন। (সূরা নূর : ২৯)
৩. আপনি যদি আপনার জিনিসপত্র
ব্যবহার করেন তাহলে তা আপনার জন্য জায়েয আছে।