আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
198 views
in পবিত্রতা (Purity) by (129 points)
আসসালামু 'আলাইকুম

আমার স্ত্রীর পিরিয়ড এর শেষ দিকে এসে কাল মাগ্রিব শেষ হবার আগমুহুর্তে ফ্লো বন্ধ হয়,সে মনে করে পিরিয়িড শেষ,কিন্ত্য গুসল করে সালাত আদায় করার মত সময় না থাকায় সে ঘুমিয়ে যায়,রাত আড়াইটারটার দিকে উঠে টয়লেট করার পর তখন উঠেও কিছু পায়নি,তখন আরেকটু ঘুমায় ফজর বাদ উঠে নয়টায় গোসল করতে গিয়ে কোনো ব্লাড পায়নি,তবে লালাভ কালচে আঠালো জিনিস এসেছে, পুরা সাদা না। সে এটাকে নিশ্চিত ভাবে পিরিয়ড ধরেছে,পরে যুহরের ওয়াক্তেও সে মেটে কালারের জিনিস দেখতে পায়।

এখন প্রশ্ন হল,

তার কি গতকালের মাগ্রিব,ইশা ফজর  যুহর কাযা করতে হবে?

আরেকটা প্রশ্ন, তার এই পিরিয়ডের তরল বস্তু কি গোপনাংগের বাইরে আসা জরুরি? যদি বাইরে না আসে তবে আংগুল দিয়ে পাওয়া যায় তখন?


এরপরের প্রশ্ন,পিরিয়ড এক দুই ওয়াক্ত এমন বন্ধ থেকে এরপর আবার আসে,এরকম ওর প্রায় হয়।কখনো কখনো একবারেই বন্ধ হয়।এই সময়টাতে সে অনেক দুসচিন্তায় থাকে যে সালাত আদায় শুরু করবে কি করবেনা,কখনো কখনো আবার না শুরু হলেত কাযা হয়ে সালাত পরিত্যাগের পাপ হয়।


এক্ষেত্রে করণীয় কি

1 Answer

+1 vote
by (560,820 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,

أن النساء کن یبعثن بالکرسف إلی عائشۃ رضی اللہ تعالیٰ عنھا فکانت تقول : لا حتی ترین القصۃ البیضاء‘‘ ( المؤطأ للإمام مالک : ۱/۵۹۱ ،  : مصنف ابن عبد الرزاق، حدیث نمبر : ۱۱۵۹ )
সারমর্মঃ আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ সেই সমস্ত মহিলাদের বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা দেখিতে না পাও। 
,
আরো জানুনঃ
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত আপনার স্ত্রীর যে লালাভ কালচে আঠালো জিনিস বের হয়েছে,যেটি স্পষ্ট সাদা নয়।
এটি হায়েজ শুরু হওয়ার দশ দিনের মধ্যেই পড়ে?
নাকি পড়েনা?

যদি হায়েজ শুরু হওয়ার ১০ দিনের মধ্যেই হয়ে,তাহলে সেটি হায়েজ।
এই সময়ে নামাজ পড়া যাবেনা।
তাই প্রশ্নে  উল্লেখিত নামাজগুলি তার আদায় করতে হবেনা।
দশদিন পরে যদি এমন কিছু এসে থাকে,তাহলে সেটিকে ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা ধরা হবে। 
সেক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত  নামাজ গুলি পড়তে হবে।

(০২)
গোপনাঙ্গের বাহিরে আসতে হবে।
ভিতরে থাকা ধর্তব্য নয়।

(০৩)
দশদিন পার হয়ে যাওয়ার পর এমনটি হলে তো তাকে নামাজ আদায় করতেই হবে।
,
দশদিনের আগেই এহেন অবস্থা হলে যেহেতু পরবর্তীতে রক্ত আসা বা না আসা উভয়টিরই সম্ভাবনা রয়েছে,তাই যেই ওয়াক্তে বন্ধ হয়,সে সময় থেকে এক নামাজের ওয়াক্ত অপেক্ষা করবে,এই নামাজের ওয়াক্তের মধ্যেও হায়েজ না আসলে সে পবিত্র হয়ে নামাজ আদায় করে নিবে।  
নামাজ আদায়ের পরে যদি সে ওয়াক্তে বা অন্য ওয়াক্তে (হায়েজ শুরু হওয়ার দশ দিনের মধ্যেই)  আবার রক্ত আসে,তাহলে আবার নামাজ ছেড়ে দিবে।
   
আগের নামাজ হায়েজ অবস্থায় হয়ে যাওয়ায় এতে তার কোনো গুনাহ হবেনা।
,
আর যদি সে নিশ্চিত থাকে যে দশদিনের মধ্যে আবার হায়েজ আসবেই,এমনটি সব সময় তার হয়।
তাহলে সে নামাজ পড়বেনা।
আবার হায়েজ আসার পর তাহা শেষ হলে বা দশদিন অতিক্রম হয়ে গেলে সে পবিত্র হবে।
দশদিন পর থেকে নামাজ আদায় করবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 128 views
0 votes
1 answer 210 views
...